রংপুরের মিঠাপুকুরে বাক্‌ ও শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগে আলম মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার একটি গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গতকাল রাতে আলম মিয়াকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মিঠাপুকুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিশুটির মা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবন্ধী শিশুটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটি স্থানীয় একটি বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিল। পথিমধ্যে আলম মিয়া শিশুটিকে জোর করে পাশের ভুট্টাখেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে বাড়িতে ফিরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত আলম মিয়া গা ঢাকা দেন। গতকাল রাতে বোরকা পরে একটি মোটরসাইকেলের পেছনে বসে এলাকা থেকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় স্থানীয় বাজারের পাশে জনতা তাঁকে আটক করে পুলিশে দেয়।

মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শিশুর মায়ের থানায় করা মামলায় আলম মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আজ বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে রংপুর জেলহাজতে পাঠানো হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আলম ম য় গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে বর্ষবরণে নানা আয়োজন

‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মধ্য দিয়ে কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে নতুন বছর ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে বরণ করেছে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।

আজ সোমবার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এতে জেলা প্রশান, প্রচ্ছদ, হিজিবিজি, সরকারি কলেজ, উদীচী, এনসিটিএফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠন আলাদাভাবে শোভাযাত্রার আয়োজন করে।

জেলার ঐতিহ্য গরুর গাড়ি, পুতুল নাচ, চরের কৃষকদের নানা কথা উঠে আসে শোভাযাত্রার মোটিভগুলোতে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের কুড়িগ্রাম সরোবরে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়াও সেখানে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি কুড়িগ্রাম ইকো পার্কে পুতুল নাচ, ভেলাকোপা গ্রামে লাঠি খেলা, পাঁচগাছির ভেলুর বাজারে ঘোড়া খেলাসহ দিন্যবাপী বর্ষবরণের নানা আয়োজন জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিগত কয়েকবছর ধরে জেলায় বৈশাখী মেলা না হওয়ায় কিছুটা অখুশি দেখা যায় জেলা শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে।

জেলা শহরের বাসিন্দা হামিদুল হক বলেন, ‘প্রতিবছর কুড়িগ্রামে ধুম-ধাম করে বর্ষ বরণ হলেও, বিগত কয়েক বছর থেকে বৈশাখী মেলা হয় না, এটি হলে ভালো হতো।’

পুতুল নাচ দেখতে আসা জারা ইসলাম বলেন, ‘বাবার সঙ্গে প্রথম পুতুল নাচ দেখতে আসলাম, খুব ভালো লাগছে।’

হিজিবিজির সংগঠক রাজ্য জ্যোতি বলেন, ‘বর্ষ বরণের নানা আয়োজন কুড়িগ্রাম সরোবরে দিনব্যাপী চলবে। প্রশাসন থেকে সব ধরণের নিরাপত্তা দিচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ