নব্বই দশকের অন্তিমকালে বলিউডে পা রাখেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। প্রায় তিন দশকের ক্যারিয়ারে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। অভিনয় দক্ষতার পাশাপাশি তার রূপের দ্যুতিতে মুগ্ধ ভক্তরা।

সিনেমার পাত্র-পাত্রীদের চরিত্র অনুযায়ী সাজাতে সাধারণত মেকআপ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সুভাষ ঘাই পরিচালিত একটি সিনেমায় মেকআপ ছাড়াই অভিনয় করেন ঐশ্বরিয়া রাই। টিভি রিয়েলিটি শো ইন্ডিয়ান আইডলে হাজির হয়ে এ তথ্য জানান নির্মাতা। সুভাষ ঘাইয়ের বক্তব্যের ভিডিওটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

সুভাষ ঘাই বলেন, “সীমিত মেকআপ ব্যবহারের জন্য আমি আমার নায়িকাদের সবসময়ই অনুরোধ করেছি। কারণ এতে করে সত্যিকারের আবেগ প্রকাশিত হয়। ‘তাল’ সিনেমার ‘কাহি আগ লাগে লাগ যায়ে’ গানের শুটিংয়ে প্রথমবার মেকআপ নেন ঐশ্বরিয়া রাই। চরিত্রটির জন্য ঐশ্বরিয়াকে যখন নির্বাচন করি, তখন সরল, নিষ্পাপ একটি মেয়ের জীবন চিত্রিত করতে চেয়েছিলাম, যে প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর।”

‘তাল’ সিনেমায় ঐশ্বরিয়ার মেকআপের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় মেকআপ আর্টিস্ট মিকি কন্ট্রাক্টরকে। এ তথ্য উল্লেখ করে পরিচালক সুভাষ ঘাই বলেন, “আমি তাকে (মিকি কন্ট্রাক্টর) বলেছিলাম, ‘তুমি যত টাকা চাও আমি দেব। কিন্তু আমার অনুরোধ, ঐশ্বরিয়াকে মেকআপ দেবে না।’ মিকি একজন পেশাদার মেকআপ আর্টিস্ট হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে আমার বক্তব্য বুঝতে পারে এবং বলেছিল, ‘এটি আরো কঠিন কাজ।”

মিউজিক্যাল-রোমান্টিক-ড্রামা ঘরানার ‘তাল’ সিনেমায় মেকআপ ছাড়াই অভিনয় করেন ঐশ্বরিয়া রাই। বিভিন্ন চরিত্রে আরো অভিনয় করেন— অনিল কাপুর, অক্ষয় খান্না, অমরিশ পুরি, অলক নাথ, সুষমা শেঠ প্রমুখ। ১৯৯৯ সালের ১৩ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি। ১৫ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা বক্স অফিসে আয় করে ৫১ কোটি ১৬ লাখ রুপির বেশি।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য় ম কআপ

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় বিএনপি ও শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে স্কুলের জমি দখলের অভি

ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম হুমায়ুন কবির ও বিএনপি নেতা নাসিম আবেদীনের বিরুদ্ধে। 

একদিকে বিদ্যালয়ের জমি দখলের খবরে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও জাফর সাদিক চৌধুরী। 

জমি দখলের খবরে ছুটে আসেন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও ফতুল্লার বিভিন্ন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এসময় জাফর সাদিক জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের ডেকে বিদ্যালয়ের জমি ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে সদর ইউএনও জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, আমি জমি দখলদার ডেকে তিনদিনের মধ্যে জমির দখল মুক্ত করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ