সিরাজগঞ্জে ট্রাক্টর উল্টে দুই যুবক নিহত
Published: 19th, March 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ট্রাক্টর খাদে পড়ে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার বারুহাঁস ইউনিয়নের বিনসাড়া-কুসুম্বী আঞ্চলিক সড়কের কুসুম্বী মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন কুসুম্বী গ্রামের আব্দুস সালাম হোসেনের ছেলে মো. রাকিব হোসেন (২০) এবং একই গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে মো. বাবু (২০)।
স্থানীয়রা জানান, চালক বাবু প্রতিবেশী রাকিবকে নিয়ে দ্রুগতিতে ট্রাক্টর নিয়ে বিনসাড়া-কুসুম্বী আঞ্চলিক সড়ক ধরে কুসুম্বী গ্রামের নিজ বাড়িতে ফিরছিল। পথিমধ্যে গ্রামের প্রবেশ পথে দ্রুতগ্রামী ওই ট্রাক্টরটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে সড়ক সংলগ্ন একটি পানি ভর্তি ডোবায় পড়ে ডুবে যায়। সেখানে ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে পানির মধ্যেই ঘটনাস্থলেই ওই দুই যুবক মারা যান। পরে স্থানীয়রা আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাকিব ও বাবুর মরদেহ উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
মৃত ম্যারাডোনার কক্ষে ‘চিকিৎসার সরঞ্জাম ছিল না’
ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর সেখানে প্রথম যে কজন উপস্থিত হন, পুলিশ কর্মকর্তা লুকাস ফারিয়াস তাঁদের একজন। গতকাল সান ইসিদরো আদালতে লুকাস সাক্ষ্য দেন, অস্ত্রোপচারের পর যে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ম্যারাডোনা, সেখানে কোনো ‘চিকিৎসার সরঞ্জাম’ তিনি দেখেননি।
আরও পড়ুনরোজা রেখেই স্পেনের হয়ে খেলবেন ইয়ামাল১ ঘণ্টা আগেকোকেন ও মদ্যপানে আসক্ত ম্যারাডোনা মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের সপ্তাহ দুয়েক পর ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। বুয়েনস এইরেসের এক অভিজাত এলাকায় ভাড়া করা বাড়িতে জীবনের শেষ দিনগুলো কেটেছে ফুটবল কিংবদন্তির।
ম্যারাডোনার চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন যে আটজন, তাঁদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে বিচার চলছে বুয়েনস এইরেসের সান ইসিদরো আদালতে। কৌঁসুলিরা আদালতে ম্যারাডোনার শেষ দিনগুলোকে ‘হরর থিয়েটার’ বলেছেন।
লুকাস বলেছেন, ম্যারাডোনা যে কক্ষে মৃত্যু অবস্থায় পাওয়া গেছে ‘সে কক্ষে কোনো চিকিৎসার সরঞ্জাম দেখেননি’ তিনি, ‘আমি কোনো সিরাম দেখিনি, যেটা ঘরোয়া হাসপাতালের অংশ হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’ ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় প্রদানের ওষুধের কথা বলেছেন লুকাস।
বুয়েনস এইরেসের উত্তরের উপকণ্ঠের শহর সান ইসিদরোয় গত সপ্তাহে এই বিচার শুরু হয়। গতকাল যে চারজন পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে প্রমাণাদি দাখিল করেছেন, লুকাস তাঁদের একজন।
আরও পড়ুন২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ফিট থাকতে বিশেষ যে খাবার খাচ্ছেন রোনালদো১২ ঘণ্টা আগেআদালতকে তিনি বলেছেন, ‘ডিয়েগো ম্যারাডোনার যে বিষয়টি সবার আগে আমার নজর কেড়েছে সেটা হলো, তার মুখের অবস্থান এবং তলপেট এতটাই ফুলেছিল যে মনে হবে বিস্ফোরণ হবে। ওভাবে ম্যারাডোনাকে দেখে আমি চমকে গিয়েছিলাম। কখনো ভাবিনি আমি এই দৃশ্য দেখতে হবে।’
সর্বকালের অন্যতম সেরা এ ফুটবল হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা ও ফুসফুসে তরল জমা হওয়ার কারণে মারা গেছেন।
ম্যারাডোনার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন একজন নিউরোসার্জন, একজন মনোরোগবিদ, একজন মনোবিজ্ঞানী, একজন মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর, একজন নার্স কো-অর্ডিনেটর, একজন চিকিৎসক এবং রাতের পালার নার্স। দিনের বেলায় ম্যারাডোনাকে দেখভাল করতেন যে নার্স, তাঁর বিচার করা হবে আলাদাভাবে। কৌঁসুলিদের অভিযোগ ‘দীর্ঘ এবং যন্ত্রণাকাতর সময়ে’ ম্যারাডোনাকে ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তদের ৮ থেকে ২৫ বছরের জেল হতে পারে। এই মামলায় প্রায় ১২০ জনের সাক্ষ্যদানের কথা রয়েছে, যা চলতে পারে আগামী জুলাই পর্যন্ত।