সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ট্রাক্টর খাদে পড়ে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার বারুহাঁস ইউনিয়নের বিনসাড়া-কুসুম্বী আঞ্চলিক সড়কের কুসুম্বী মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন কুসুম্বী গ্রামের আব্দুস সালাম হোসেনের ছেলে মো. রাকিব হোসেন (২০) এবং একই গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে মো. বাবু (২০)।

স্থানীয়রা জানান, চালক বাবু প্রতিবেশী রাকিবকে নিয়ে দ্রুগতিতে ট্রাক্টর নিয়ে বিনসাড়া-কুসুম্বী আঞ্চলিক সড়ক ধরে কুসুম্বী গ্রামের নিজ বাড়িতে ফিরছিল। পথিমধ্যে গ্রামের প্রবেশ পথে দ্রুতগ্রামী ওই ট্রাক্টরটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে সড়ক সংলগ্ন একটি পানি ভর্তি ডোবায় পড়ে ডুবে যায়। সেখানে ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে পানির মধ্যেই ঘটনাস্থলেই ওই দুই যুবক মারা যান। পরে স্থানীয়রা আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাকিব ও বাবুর মরদেহ উদ্ধার করেন। 

এ বিষয়ে তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.

নাজমুল কাদের বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ইফতারের পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সাক্ষাৎ

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। লন্ডনে খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বাসায় তাঁদের এ সাক্ষাৎ হয়। এ সময় তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় দুই সপ্তাহের সফর শেষে গতকাল সোমবার সকালে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান দেশে ফিরেছেন। আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এখনো দেশে ফেরেননি।

জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি স্বীকার করেন জামায়াতের আমির। তিনি আজ মঙ্গলবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আমরা একসঙ্গে অনেক দিন কাজ করেছি। উনি অসুস্থ। ওনার খোঁজখবর নেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বহুদিন পর আমাদের দেখা হয়েছে। আমরা ওনার জন্য দোয়া করেছি, ওনার কাছে দোয়া চেয়েছি।’

লন্ডনে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় আছেন খালেদা জিয়া। তিনি সেখানে থেকে লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তারেক রহমানের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, দুজন মানুষ একসঙ্গে হলে তো অনেক কথাই হয়। অনেক কথাই হয়েছে। তবে তিনি এর বেশি কিছু আর বলতে চাননি।

জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান গত ৪ এপ্রিল ব্রাসেলস সফরে যান। এই সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও আমিরের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তরে একাধিক বৈঠক ও সাক্ষাৎ কর্মসূচি ছিল জামায়াত আমিরের। সফরকালে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাউথ এশিয়ান ককাসের এমপিদের সঙ্গে বৈঠক, ইইউর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের সাউথ এশিয়া ডেস্কের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক হয় জামায়াত প্রতিনিধিদলের।

ব্রাসেলস থেকে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের লন্ডনে যান।

এদিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎ নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান আজ রাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘বেগম জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতার সাক্ষাতে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি। দুই ডাক্তারের (শফিকুর রহমান ও সৈয়দ আবদুল্লাহ আবু তাহের) এই সাক্ষাৎ রাজনীতির রসায়নে নতুন কোনো ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, নাকি নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েই থাকবে তা বুঝতে হলে আমাদের চোখ রাখতে হবে সামনের দিকে।’

মারুফ কামাল খান আরও লিখেছেন, ‘বেগম জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বিলেত যাওয়ার আগে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও সস্ত্রীক তাঁর বাসায় গিয়ে দেখা করেছিলেন। সে সাক্ষাৎ নিয়েও বিশদ কিছু জানা যায়নি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ