রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে চালককে জিম্মি করে প্রাইভেট কার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত ছিনতাইকারীরা যাত্রী বেশে ওই প্রাইভেট কারে উঠেছিলেন। পরে এসি ছাড়ার কথা বলে গাড়িটি ছিনতাই করেন তাঁরা।

মঙ্গলবার খিলগাঁও থানার ত্রিমোহনী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন নাজমুস সালেহীন (২৮) ও মো.

সুমন (২৬)। ছিনতাইয়ের সাত ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের কাছ থেকে প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি মুঠোফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।

খিলগাঁও থানা–পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে অপরিচিত একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে প্রাইভেট কারের চালক সিরাজুল ইসলামের কাছে ফোন আসে। বলা হয়, তাঁরা খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ঢাল থেকে মোস্তমাঝির মোড়সংলগ্ন গ্রিন সিটিতে যাবেন। পরে সেখান থেকে গুলশানে যাবেন। ভাড়া হিসেবে সাড়ে চার হাজার টাকা ঠিক করা হয়। চালক গাড়ি নিয়ে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ঢালে গেলে একজন (যিনি ড্রাইভারকে ফোন করেছিলেন) গাড়িতে ওঠেন। কিছু দূর যাওয়ার পর আরেকজন গাড়িতে উঠে খিলগাঁও এলাকার নন্দিপাড়া শেখের জায়গা সেতু–সংলগ্ন গ্রিন সিটি বালুর মাঠে যেতে বলেন।

পুলিশ জানায়, চালক বালুর মাঠে যাওয়ার পর দুই যাত্রী বলেন, সেখানে তাঁদের প্লট আছে। তা পরিমাপ করে গুলশানে যাবেন। সেখানে থেকে তাঁদের সঙ্গে আরও একজন যোগ দেন। পরে প্রাইভেট কারে উঠে গরম লাগছে বলে চালককে এসি ছাড়তে বলে। চালক এসি ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা তাঁকে জিম্মি করে মুঠোফোন কেড়ে নেন। বেলা সোয়া একটার দিকে চালককে খিলগাঁও থানাধীন নন্দীপাড়া সেতুর পাশে জোরপূর্বক নামিয়ে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান। পরে গাড়িটির মালিক সাইফুল ইসলাম (৫২) বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা করেন।

থানা সূত্র আরও জানায়, মামলার পর ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এবং গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় সাত ঘণ্টার মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি মুঠোফোন ও ছিনতাই হওয়া প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করা হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ নত ই

এছাড়াও পড়ুন:

দোহারে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

ঢাকার দোহারে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে জিয়াউর রহমান নামের এক আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁকে দুই লাখ টাকা জরিমানাও করেছেন আদালত।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪–এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান আজ মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার পর পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ১৪ বছর বয়সী কিশোরী পরিবারের সঙ্গে দোহারে বসবাস করত। ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর সকাল ৯টার সময় কিশোরী নিজ বাড়ির পাশে সবজির খেতে গিয়েছিল। এ সময় আসামি জিয়াউর রহমান ওই কিশোরীকে পাশের একটি খেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর চাকু দিয়ে কিশোরীর গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ রেখে পালিয়ে যান আসামি জিয়াউর রহমান। এ ঘটনায় নিহত কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে জিয়াউরকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৮ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাদারীপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় তিন ভাইয়ের পর মারা গেলেন আরও একজন
  • বিআইসিএম নিয়োগ কমিটির ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ
  • তুলসীর কথা কি শুধু কথার কথা
  • পাকিস্তানের নায়িকার পর ভারতীয় ভিলেন
  • নানা বয়সীর আনাগোনায় জমে উঠেছে হাল ফ্যাশন ঈদমেলা
  • অলকার গানের ভক্ত লাদেন, শিল্পী কী বললেন?
  • একজন বলেছিল সেহরির সময় জাগিয়ে দিতে
  • ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’–এ পুলিশের ভূমিকায় ‘দাদাগিরি’ সৌরভের
  • দোহারে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড