চাঁদপুরের সাবেক ৫ ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
Published: 18th, March 2025 GMT
ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় চাঁদপুর সদরের পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির আহমেদের আদালতে তাদের জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো চেয়ারম্যানরা হলেন- সদর উপজেলার ২ নম্বর আশিকাটি ইউনিয়ন পরিষদের মো.
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, এই সাবেক পাঁচ চেয়ারম্যানকে গত বছরের ৪ আগস্ট চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলার বাদী আল-আমিন হোসেন। ঘটনা ৪ আগস্ট হলেও মামলা হয় গত ১৮ অক্টোবর।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দুই বছরের প্রকল্প শেষ হয়নি ৬ বছরেও
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পারকি সৈকতকে ঘিরে আধুনিক পর্যটন কমপ্লেক্স গড়ার স্বপ্ন দীর্ঘসূত্রতায় আটকে আছে। ২০১৮ সালে নেওয়া এই প্রকল্পের কাজ ছয় বছরেও সম্পন্ন হয়নি। দীর্ঘ সময়েও প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেশলিংকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) নুর ই আলম।
গত মঙ্গলবার আনোয়ারার পারকি পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে নুর ই আলম বলেন, এই প্রকল্পে অন্যান্য ঠিকাদার কাজ শেষ করলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেশ লিংকের গাফিলতি রয়েছে। বিষয়টি তাদের মাথায় রয়েছে। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পে আরও বেশ কিছু কাজের টেন্ডার হবে। তখন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর অতীতের কাজের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।
এর আগে ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ ও আদিলুর রহমান পারকি পর্যটন কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা প্রকল্পের কাজের মান ও অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এমনকি নতুন করে টেন্ডার আহ্বানের কথাও বলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মাসুদুল আলম বলেন, কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে কাজ ধীরগতিতে হয়েছে। তাদের অনুরোধে দেশলিংক কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ২০১৮ সালে দেশলিংকের সঙ্গে ২২ কোটি ৬০ লাখ টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তির আওতায় ছিল ১০টি সিঙ্গেল কটেজ, চারটি ডুপ্লেক্স কটেজ, একটি রিসিপশন এবং একটি মাল্টিপারপাস বিল্ডিং নির্মাণ। নির্ধারিত দুই বছরের মধ্যে এসব কাজ বাস্তবায়ন করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর পর কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে প্রকল্পের ব্যয়। সংশোধিত ব্যয় গিয়ে দাঁড়ায় ২৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকায়।
সবশেষ সময়সীমা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পারকি পর্যটন কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। এখনও প্রকল্পের প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।