সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর এলাকায় দীর্ঘদিন দখলে থাকা সরকারি প্রায় ৩০ একর খাসজমি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে এসব জমি দখলমুক্ত করে। 
বেলা ৩টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় ১০ নম্বর এলাকার পর্যটন করপোরেশন অধীনে থাকা সরকারি জমি দখল করে গড়ে উঠা স্থাপনা ও শতাধিক স্টোন ক্রাশার মেশিন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালীদের আধিপত্যে গড়ে উঠা চক্র দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন সাদা পাথর এলকার কয়েকশ একর জমি। গড়ে তুলেছেন পাথর ভাঙার কল। এ কারণে তাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। অনেকেই নানা রোগে ভুগছে ক্রাশারের ধুলা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
এলাকাবাসী জানান, স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন মহলে একাধিকবার অভিযোগ জানানোর পরও এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পাথর ভাঙার কলের কারণে তাদের এলাকার পরিবেশ অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে। প্রভাবশালীদের দখলে থাকা এসব খাস জমি সরকার বা সাধারণের কোনো কাজে আসেনি। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পালা করে তারাই নিজেদের দখলে রেখেছে। এমনকি পাথর ভাঙার কাজে মানা হয়নি কোনো নিয়মনীতি। এখানকার শিক্ষার্থীরাও বিপাকে আছেন। এলাকার লোকজন দীর্ঘদিন ধরে এর বিরুদ্ধে থেকেও কোনো লাভ হয়নি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন নাহার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল হাসনাতের নেতৃত্বে অভিযানে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অংশ নেন। অভিযানে সরকারি জমি দখল করে গড়ে উঠা শতাধিক 
স্টোন ক্রাশার মেশিন এবং অর্ধশত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন নাহার বলেন, সরকারি জমি দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা ও স্টোন ক্রাশার মেশিন উচ্ছেদ করা হয়েছে। অতীতে এ ধরনের অভিযান হয়নি। এবার সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখানে আর কাউকে দখলদারী করতে দেওয়া হবে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় কবিতা পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা

জাতীয় কবিতা পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর সাওল হার্ট সেন্টারের কাজল মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান। তিনি বলেন, জাতীয় কবিতা পরিষদ এরশাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানেও কবিতা পরিষদ তার আন্দোলন, সংগ্রামের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। কবিতা চর্চার পাশাপাশি জাতীয় ও সামাজিক বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা প্রতিবাদ ও আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি। ভবিষ্যতেও রাখব।  

সভায় আগামীতে কবিতা পরিষদের কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে, নতুন কাব্য আন্দোলন গড়ে তুলতে, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাষ্ট্রিক পরিবর্তনে জাতীয় কবিতা পরিষদ কী ভূমিকা পালন করবে সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা।  
 
আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউদ্দিন স্টালিন, সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, সহ-সভাপতি এবিএম সোহেল রশীদ, সহ-সভাপতি মানব সুরত, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক শাহীন রেজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল জাকারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুন্নবী সোহেল, আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ করিম, অর্থ সম্পাদক ক্যামেলিয়া আহমেদ, প্রকাশনা সম্পাদক শওকত হোসেন, সেমিনার সম্পাদক মঞ্জুর রহমান, পরিবেশ ও প্রকৃতিবিষয়ক সম্পাদক মিতা অলী, দপ্তর সম্পাদক রোকন জহুর প্রমুখ।  

সভায় উপস্থিত ছিলেন- প্রচার সম্পাদক আসাদ কাজল, জনসংযোগ সম্পাদক রফিক হাসান, শান্তি ও শৃঙ্খলা সম্পাদক ইউসুফ রেজা, সদস্য জমিল জাহাঙ্গীর, সদস্য আবীর বাঙালী প্রমুখ।  

আলোচনা শেষে ইফতার পর্বের মধ্য দিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ