যুদ্ধ বন্ধে পুতিন-ট্রাম্পের ফোনালাপ
Published: 18th, March 2025 GMT
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে ফোনালাপ শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে তাদের আলোচনা হয়। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা ভালোভাবে এগোচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা শুরুর আগে পুতিন রাশিয়ার শিল্পপতি ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞা বৈধ নয় বলে মন্তব্য করেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজকের আলোচনার মূল বিষয় হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যকার ৩০ দিনের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা।
এর আগে সোমবার ট্রাম্প নিজেই জানান, পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউক র ন
এছাড়াও পড়ুন:
কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রকাশ হচ্ছে ৮০ হাজার পৃষ্ঠার গোপন নথি
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মঙ্গলবার প্রায় ৮০ হাজার পৃষ্ঠার গোপন নথি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে যাচ্ছে। ট্রাম্প সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে ১৯৬৩ সালের বহুল আলোচিত ও রহস্যঘেরা ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে এ নথি প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
ওয়াশিংটনের দ্য কেনেডি সেন্টারে সোমবার এক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, এটির জন্য লোকজন দশকের পর দশক অপেক্ষা করে আছেন। এটি খুবই কৌতূহলোদ্দীপক হতে যাচ্ছে। দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চলতি বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছিলেন। সে আদেশে কেনেডি ও তাঁর ভাই রবার্ট কেনেডি এবং মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র হত্যা-সংশ্লিষ্ট নথিপত্র প্রকাশের পরিকল্পনা পেশ করতে ফেডারেল সরকারকে নির্দেশ দেন তিনি।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (এফবিআই) জানায়, কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে তারা নতুন হাজারো নথি পেয়েছে। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ মানতে গিয়ে তারা এসব নথির অনুসন্ধান শুরু করেছিল।
ওই সময় এফবিআই জানিয়েছিল, অনুসন্ধানে প্রায় ২ হাজার ৪০০টি নতুন তালিকাভুক্ত ও ডিজিটালাইজড নথি পাওয়া গেছে। এর আগে কেনেডি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এসব নথির সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হতো না।
১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে টেক্সাসের ডালাসে হত্যা করা হয়। দশকের পর দশক তাঁর হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন জরিপে এ হত্যাকাণ্ডের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা সম্পর্কে নানা সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
ট্রাম্পের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও রবার্ট এফ কেনেডির ছেলে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র ২০২৩ সালে এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, তাঁর চাচার হত্যাকাণ্ডে সিআইএ জড়িত থাকার ব্যাপারে ‘অকাট্য’ ও ‘অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ রয়েছে। খবর রয়টার্সের।