ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় ওই শিশু বাসায় একা ছিল। এ সময় প্রতিবেশী সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক (৪৫) মেয়েটিকে গোসলখানায় নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী শিশুটির কান্নাকাটি দেখে স্বজনেরা বিষয়টি জানতে পারেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তখন শিশুটিকে প্রথমে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুর অবস্থা গুরুতর থাকায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানোর পরামর্শ দেন। এদিক রাত আটটায় স্থানীয় জনতা অভিযুক্ত সিএনজিচালককে আটক করে মারধরের পর নবাবগঞ্জ থানা–পুলিশে সোর্পদ করেন।

শিশুটির খালা বলেন, তাঁর ভাগনির অবস্থা ভালো নয়। সে বারবার বমি করছে। মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, জনতা আটক করে সিএনজিচালককে পুলিশে দিয়েছে। বাদীর লিখিত অভিযোগ পেলেই মামলা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রমজানে মহানবীর (সা.) কোরআন অনুশীলন

মহানবী (সা.) বিশেষভাবে রমজানকে তিলাওয়াতের জন্য বেছে নিচ্ছিলেন। কেন তিনি রমজানে এত বেশি তিলাওয়াত করতেন, এর উত্তরে ইবনে বাত্তাল (রহ.) বলেন, রাসুলের (সা.) কোরআন শিক্ষা ও অনুশীলনের একমাত্র কারণ ছিল পরকালের আকাঙ্ক্ষা ও ব্যাকুল ভাবনার জাগরণ এবং পার্থিব বিষয়ে অনীহার সৃষ্টি করা। (ইবনে বাত্তাল, শরহে বুখারি, ১/১৩)

 রমজানে কোরআন শিক্ষায় রাসুলের (সা.) সহপাঠী হওয়ার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে জিবরাইল (আ.) নিয়োজিত হতেন; যিনি রমজানে প্রতি রাতে নবীজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং ফজর অবধি তাঁর সঙ্গে অবস্থান করতেন। নবীজি তাকে কোরআন শোনাতেন। (বুখারি, হাদিস: ১,৯০২)

আরও পড়ুন  যেমন ছিল মহানবীর (সা.) সাহরি১১ মার্চ ২০২৫

অন্য একটি বর্ণনায় আছে, নবীজি (সা.) তাঁর কন্যা ফাতেমাকে গোপনে জানালেন যে, জিবরাইল প্রতি বছর আমাকে একবার কোরআন শোনাতেন এবং শুনতেন, এ বছর তিনি দুবার আমাকে শুনিয়েছেন ও শুনেছেন। একে আমি আমার সময় সমাগত হওয়ার ইঙ্গিত বলে মনে করি। (বুখারি, হাদিস: ৩,৬২৪)

ইবনে হাজার (রহ.) বলেন, জিবরাইল প্রতি বছর নবীজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এক রমজান থেকে অন্য রমজান অবধি যা নাজিল হয়েছে, তা শোনাতেন এবং শুনতেন। যে-বছর রাসুল (সা.) পৃথিবী ছেড়ে যান, সে বছর তিনি দুইবার শোনান ও শোনেন। (ফাতহুল বারি, ১/৪২)

আরও পড়ুনইসলামে যেভাবে রোজা এল১৪ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ