ছবি: সংগৃহীত

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রমজানে মহানবীর (সা.) কোরআন অনুশীলন

মহানবী (সা.) বিশেষভাবে রমজানকে তিলাওয়াতের জন্য বেছে নিচ্ছিলেন। কেন তিনি রমজানে এত বেশি তিলাওয়াত করতেন, এর উত্তরে ইবনে বাত্তাল (রহ.) বলেন, রাসুলের (সা.) কোরআন শিক্ষা ও অনুশীলনের একমাত্র কারণ ছিল পরকালের আকাঙ্ক্ষা ও ব্যাকুল ভাবনার জাগরণ এবং পার্থিব বিষয়ে অনীহার সৃষ্টি করা। (ইবনে বাত্তাল, শরহে বুখারি, ১/১৩)

 রমজানে কোরআন শিক্ষায় রাসুলের (সা.) সহপাঠী হওয়ার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে জিবরাইল (আ.) নিয়োজিত হতেন; যিনি রমজানে প্রতি রাতে নবীজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং ফজর অবধি তাঁর সঙ্গে অবস্থান করতেন। নবীজি তাকে কোরআন শোনাতেন। (বুখারি, হাদিস: ১,৯০২)

আরও পড়ুন  যেমন ছিল মহানবীর (সা.) সাহরি১১ মার্চ ২০২৫

অন্য একটি বর্ণনায় আছে, নবীজি (সা.) তাঁর কন্যা ফাতেমাকে গোপনে জানালেন যে, জিবরাইল প্রতি বছর আমাকে একবার কোরআন শোনাতেন এবং শুনতেন, এ বছর তিনি দুবার আমাকে শুনিয়েছেন ও শুনেছেন। একে আমি আমার সময় সমাগত হওয়ার ইঙ্গিত বলে মনে করি। (বুখারি, হাদিস: ৩,৬২৪)

ইবনে হাজার (রহ.) বলেন, জিবরাইল প্রতি বছর নবীজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এক রমজান থেকে অন্য রমজান অবধি যা নাজিল হয়েছে, তা শোনাতেন এবং শুনতেন। যে-বছর রাসুল (সা.) পৃথিবী ছেড়ে যান, সে বছর তিনি দুইবার শোনান ও শোনেন। (ফাতহুল বারি, ১/৪২)

আরও পড়ুনইসলামে যেভাবে রোজা এল১৪ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ