সাবেক সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করল দুদক
Published: 18th, March 2025 GMT
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস ও তাঁর স্ত্রী নিলীমা দাসের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ৫৫ লাখ ১৭ হাজার ২৩০ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মৃণাল কান্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাঁর আটটি ব্যাংক হিসাবে ২ কোটি ৪০ লাখ ৯৯ হাজার ৯০৬ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
আক্তার হোসেন আরও বলেন, মৃণাল কান্তির স্ত্রী নিলীমা দাসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ৪৫ লাখ ২৮ হাজার ৮৪ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। তাঁর ৩০টি ব্যাংক হিসাবে ১৬ কোটি ১৯ লাখ ২৭ হাজার ৬৪১ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাস্থ্যের গাড়িচালক মালেকের ৫ বছর, তাঁর স্ত্রীর ৩ বছর কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের আরও একটি মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক মো. আবদুল মালেকর পাঁচ বছর এবং তাঁর স্ত্রী নার্গিস বেগমের তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এই দুইজনের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন আজ বুধবার এ রায় দেন। রায়ের আগে কারাগার থেকে মালেককে আদালতে হাজির করা হয়। রায়ের পর তাঁদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম।
রায়ের তথ্য অনুযায়ী, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পাদনের অভিযোগে আবদুল মালেকের পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর তাঁর স্ত্রীর তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত ২৩ মার্চ দুর্নীতির আরও একটি মামলায় আবদুল মালেককে ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মালেকের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি আবদুল মালেক দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। তিনি তাঁর জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত ১ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রেখেছেন।
অপর মামলায় মালেক ও তাঁর স্ত্রী নার্গিস বেগমকে আসামি করা হয়। এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, মালেক ও তাঁর স্ত্রী নার্গিস বেগম জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ভোগদখলে রাখায় পরস্পরকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেন।
এর আগে ২০২১ সালে অস্ত্র মামলায় মালেককে ৩০ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
মালেক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় দুদক।
অষ্টম শ্রেণি পাস মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক ছিলেন। গ্রেপ্তারের আগপর্যন্ত তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।