জেনেভাভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা দ্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভ নিউট্রিশন (গেইন) বাংলাদেশে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকায় ক্লাইমেট অ্যাকশন অ্যাট লোকাল লেভেল (কল) প্রকল্পে প্রজেক্ট কো–অর্ডিনেটর, মনিটরিং অ্যান্ড ইমপ্রুভমেন্ট, কল পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর, মনিটরিং অ্যান্ড ইমপ্রুভমেন্ট, কল

পদসংখ্যা:

যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: অ্যাগ্রিকালচার, ফুড সায়েন্স, নিউট্রিশন, এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বা সমাজবিজ্ঞান অনুষদের এ–সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে ও কো–অর্ডিনেশনে  চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, বেনিফিটস ম্যানেজমেন্ট, ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট ও কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্সে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাজেট ম্যানেজমেন্টে দক্ষ হতে হবে। সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা থাকতে হবে। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। এক্সেল, এমএস ওয়ার্ড, আউটলুক, পাওয়ার পয়েন্ট ও স্প্রেডশিটের কাজ জানতে হবে। ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। ভ্রমণের মানসিকতা থাকতে হবে।

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক

কর্মস্থল: ঢাকা। তবে হোম অফিসের সুযোগ আছে।

বেতন: বছরে ১৬,৫০,০৪৮ থেকে ১৮,৮৫,৫৪৮ টাকা (তবে বেতন অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করবে)

সুযোগ-সুবিধা: বছরে ৩৭ দিন ছুটি (বার্ষিক ছুটি, সরকারি ছুটি ও অফিস ছুটি), মাতৃত্বকালীন ছুটি, ২০ দিন পিতৃত্বকালীন ছুটি, উৎসব বোনাস, পেনশন স্কিম এবং স্বাস্থ্য, ভ্রমণ ও জীবনবিমা, ছুটি ভাতা, যোগাযোগ ভাতা, প্রশিক্ষণ ও বছরে বেতন বৃদ্ধির সুযোগ আছে।

আরও পড়ুনকোল পাওয়ার জেনারেশনে চাকরি, মূল বেতন ১ লাখ ৭৫ হাজার, আছে সার্বক্ষণিক গাড়ি১২ ঘণ্টা আগে

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীরা দ্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভ নিউট্রিশনের ওয়েবসাইটের লিংক থেকে নিয়োগ-সংক্রান্ত বিস্তারিত জেনে APPLY NOW বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ: ২৭ মার্চ ২০২৫।

আরও পড়ুনডাক জীবন বীমা ঢাকা অঞ্চলে চাকরি, ৯ ক্যাটাগরিতে পদ ৩০১১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইমপ র ভ

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধে পুতিনের সম্মতি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ফোনালাপ করেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধে শান্তি এবং যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছেন তারা। উভয় নেতাই এই সংঘাতের সমাপ্তি টানতে স্থায়ী শান্তির বিষয়ে একমত হয়েছেন। তারা যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উন্নত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন। কথোপকথনে ৩০ দিনের জন্য ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলা বন্ধে ট্রাম্পের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন পুতিন। ফোনালাপ শেষে এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির সামরিক বাহিনীকে এ-সম্পর্কিত আদেশও দিয়েছেন। পাশাপাশি কৃষ্ণসাগরে নৌ চলাচলের নিরাপত্তা সম্পর্কিত ট্রাম্পের প্রস্তাবেও গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া জানান পুতিন।

গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মধ্যে এটি দ্বিতীয় আলাপ। ফেনালাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যকার ৩০ দিনের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা আলোচনার মূল বিষয় হিসেবে মনে করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে ইউক্রেন এই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছিল। আলোচনায় পুতিন এই যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ এবং ওই সময়ে ইউক্রেনের সেনা সংগ্রহ ও পুনরায় সশস্ত্র হওয়া রোধে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় উত্থাপন করেছেন। পুতিন এ সময় বলেছেন, সংঘাতের সমাধান সমন্বিত, টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি হতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাশিয়ার নিরাপত্তা স্বার্থ ও যুদ্ধের মূল কারণগুলো বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন। 

হোয়াইট হাউস একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফোনালাপে দুই নেতা উল্লেখ করেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়েই এই যুদ্ধে প্রচুর সম্পদ ও প্রাণ হারিয়েছে, যা তাদের জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা উচিত ছিল। এই সংঘাত কখনোই শুরু হওয়া উচিত ছিল না এবং এটি বহু আগেই আন্তরিক ও সদিচ্ছাপূর্ণ শান্তি প্রচেষ্টার মাধ্যমে শেষ হওয়া উচিত ছিল। তারা কৌশলগত অস্ত্রের বিস্তার এবং ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বন্ধ করার বিষয়েও আলোচনা করেছেন। এ ছাড়া দুই নেতা একমত হয়েছেন, ইরান কখনোই এমন অবস্থানে থাকা উচিত নয়, যাতে তারা ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে পারে। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উভয় নেতা বিশ্বাস করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উন্নত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বৃহৎ অর্থনৈতিক চুক্তি এবং ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জিত হবে, যখন শান্তি নিশ্চিত হবে। 

পরে ক্রেমলিনও একটি বিবৃতি দিয়ে জ্বালানি অবকাঠামো সম্পর্কিত যুদ্ধবিরতির তথ্য নিশ্চিত করে। এতে বলা হয়েছে, আলোচনায় ট্রাম্প প্রস্তাব করেন ৩০ দিনের জন্য সংঘর্ষে থাকা পক্ষগুলোকে জ্বালানি অবকাঠামোয় আঘাত থেকে পারস্পরিকভাবে বিরত থাকতে হবে। পুতিন এই উদ্যোগের প্রতি ইতিবাচক সাড়া দেন এবং রুশ সেনাবাহিনীকে তা বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি কৃষ্ণসাগরে নৌ চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে ট্রাম্পের একটি সুপরিচিত উদ্যোগ বাস্তবায়নের প্রস্তাবেও গঠনমূলকভাবে সাড়া দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। উভয় নেতাই এই ধরনের চুক্তির সুনির্দিষ্ট বিবরণ আরও বিস্তারিত আলোচনা শুরু করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। 

ক্রেমলিনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সংঘাতের উত্তেজনা কমাতে এবং রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে এর সমাধান খুঁজতে বিদেশি সামরিক সহায়তা ও কিয়েভকে গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করা জরুরি।
 
এদিকে ট্রাম্প-পুতিনের ফোনালাপ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইউক্রেন। এর আগে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা মঙ্গলবার বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে কিয়েভ বাধা নয়। তিনি বিশ্বাস করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে তারা ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি অর্জন করতে পারবেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ