আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এত দিন যারা নিপীড়িত ও অত‍্যাচারে জর্জরিত ছিল, এখন তাদের অনৈক্য ও সংঘাতে ফ‍্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঘটলে তা খুবই দুঃখজনক হবে। একই সঙ্গে তাতে হাজারো মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ হবে।

মজিবুর রহমান বলেন, সংস্কারের মহৎ উদ্যোগগুলোকে ত্বরান্বিত করা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে পুনর্গঠনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার, রাজনৈতিক দল, নাগরিক এবং বিপ্লবী ছাত্রসমাজকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির ইফতার মাহফিলে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদ, ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সম্মানে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে দলটি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

বিগত আওয়ামী সরকারের সময় ইফতার বা কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হলে গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে অতিথিদের তালিকা দিতে হতো জানিয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, এবার তা হয়নি। বিগত সময়ে কোনো আয়োজন করলেও গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা ছবি তুলে নিয়ে যেত।

মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষদের খুব বেশি চাওয়া ছিল না, সাম্য, মানবিক মর্যাদা আর সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার সামান্য চাওয়া ছিল তাদের। সে চাওয়া পূরণ করতে তাদের বারবার লড়াই করতে হয়েছে, সংগ্রাম করতে হয়েছে। ’২৪–এর এ লড়াই যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে তা হবে আমাদের সবার জন্যই দুঃখজনক।’

এবি পার্টির পথচলা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আপনাদের চোখের সামনেই আমাদের যাত্রা শুরু এবং আপনাদের সামনেই আমরা এক পা, এক পা করে এগিয়ে যাচ্ছি। আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’

ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমদ ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ১২–দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আকতার হোসেন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনীম জারা, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা, এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমদ, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ অনেকে।

রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দূতাবাস ও হাইকমিশনের কূটনীতিকেরাও। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সুইস রাষ্ট্রদূত এইচ ই রেটো রেংগালী, কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াং সিক, পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত এইচ ই সায়েদ মারুফ। আরও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জামার্নি, অস্ট্রেলিয়া, চীন, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা।

বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মামুন আহমেদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোজাহেরুল হক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক আব্দুল হাই শিকদার, দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল্লাহ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নকীব মো.

নসরুল্লাহ, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুল লতিফ মাসুম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা হাতেম আলী, সাবেক রাষ্ট্রদূত সাকিব আলী, মেজর জেনারেল (অব.) ইমামুজ্জামান, লে. জেনারেল (অব.) নাজিম উদ্দিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল্লাহিল আমান আজমী, লে. জেনারেল হাসান নাসিরসহ প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন র রহম ন ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশের কাছ থেকে ছাত্রলীগ নেতা ‘ছিনতাই’, গ্রেপ্তার ৪

বড়লেখায় রাজনৈতিক মামলার আসামি এক ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ কাজে তাঁর স্বজন ও স্থানীয় লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কলাজুরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন– উপজেলা কলাজুরা গ্রামের তাজুল ইসলাম, জামিল আহমদ, গৌরধন সিংহ ও মুরাদ আহমদ। স্থানীয়দের অভিযোগ, মূল অপরাধীদের গ্রেপ্তার না করে পুলিশ নিরীহ তিন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতেই বড়লেখা থানার এসআই দেবল চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

থানা পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কলাজুরা গ্রামের বাসিন্দা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজির উদ্দিনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মাসুম আহমদ হাসানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে।

শনিবার রাতে বড়লেখা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই তৌহিদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ কলাজুরা বাজারে অভিযান চালিয়ে মাসুমকে গ্রেপ্তার করে। পরে গাড়িতে তোলার সময় স্বজন ও স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা মাসুম পালিয়ে যান। পরে বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকারসহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার বাদী বড়লেখা থানার এসআই দেবল চন্দ্র সরকার রোববার দুপুরে জানান, ছাত্রলীগ নেতা মাসুমকে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় এবং আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকার জানান, রোববার বিকেলে গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ আর নেই
  • মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ আহমদ বাদাওয়ি মারা গেছেন
  • আওয়ামী রাজনীতির মৃত্যু ঢাকায়, দাফন দিল্লিতে: সালাহ উদ্দিন
  • জাতি এবার হিন্দুত্ববাদ প্রভাবমুক্ত বাঙলা নববর্ষ উদযাপন করল: ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ
  • নারায়ণগঞ্জে খেলাফত মজলিস ফিলিস্তিন-বাংলাদেশ সংহতি সমাবেশ
  • বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ পার্কে বর্ষবরণ
  • নববর্ষের ঐতিহ্যকে একটি গোষ্ঠী কুক্ষিগত করে রেখেছিল: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
  • অধ্যাপক আহমদ শামসুল ইসলাম আর নেই
  • পুলিশের কাছ থেকে ছাত্রলীগ নেতা ‘ছিনতাই’, গ্রেপ্তার ৪
  • বিনিয়োগ সম্মেলনের সাফল্য না এলে তা হবে দুঃখজনক: এবি পার্টি