চট্টগ্রাম শহর থেকে গিয়ে পটিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলার মধ্যবর্তী শিকলবাহা ভেল্লাপাড়া সেতু এলাকায় মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে গত রোববার রাত পৌনে তিনটার দিকে তিন থেকে চার মিনিটের এ মিছিল করে দ্রুত চলে যান তাঁরা। পরে তাঁদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে পোস্ট করা মিছিলের ভিডিও ফুটেজ দেখে নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে আজ মঙ্গলবার সকালে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার কর্মীরা হলেন খুলশী থানা এলাকার মো.

জিহাদ হোসেন (১৯), মো. রাকিব হোসেন (১৯), পাঁচলাইশ থানার মো. জলিল আহমেদ (২৪), পাঁচলাইশ মেয়র গলির রেদোয়ান হোসেন (১৯)।

পুলিশ জানায়, গত রোববার রাত পৌনে তিনটার সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন সদস্য ষড়যন্ত্র করার উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের শিকলবাহা ইউনিয়নের ভেল্লাপাড়া এলাকায় বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিল করে। পরে তাঁরা মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে ওই সব ভিডিও দেখে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পটিয়া উপজেলার শান্তির হাট এলাকার জে কে রাজু নামের একজনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তাঁরা নগর থেকে এসে এ মিছিল করেন বলে জানা যায়।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, এলাকায় নাশকতার পাশাপাশি ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করতে চট্টগ্রাম শহর থেকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী নিয়ে মিছিল করে ভিডিও ছড়িয়ে দেন তাঁরা। ওই ভিডিও দেখে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য ব্যক্তিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ম ছ ল কর

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের পথে জার্মানিও, ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করায় চারজনকে বিতাড়নের নির্দেশ

জার্মানির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনপন্থীদের কণ্ঠরোধ করার অভিযোগ উঠেছে। দেশটি ফিলিস্তিনপন্থী চার বিদেশি নাগরিককে বিতাড়নের নির্দেশ দিয়েছে। ওই চারজনের কারও বিরুদ্ধেই অপরাধে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ নেই।

যাঁদের জার্মানি থেকে বিতাড়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের তিনজন ইউরোপীয় ও একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

চারজনই এ বছর জানুয়ারিতে ডাকযোগে প্রথম এ বিষয়ে চিঠি পান। ওই চিঠিতে তাঁদের স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকার হারানোর কথা জানানো হয়।

দুই মাস পর ওই চারজনের আইনজীবীরা তাঁদের মক্কেলের পক্ষে বার্লিনের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিতাড়নের নির্দেশসংবলিত চিঠি পান। তাঁদের ২১ এপ্রিলের মধ্যে জার্মানি ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নতুবা তাঁদের জোর করে বিতাড়ন করা হবে।

ওই চার ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী হলেন মার্কিন নাগরিক ২৭ বছর বয়সী কুপার লংবটম। তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। বাকি তিনজন হলেন পোল্যান্ডের নাগরিক ৩৫ বছরের কাসা ব্লেচেক এবং দুই আইরিশ নাগরিক শেন ও’ব্রায়ান (২৯) ও রবার্টা মারে (৩১)।

এই চারজনই বার্লিনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন।

এই চারজনের বিরুদ্ধে আনা একটি পুলিশি অভিযোগ আল–জাজিরা দেখেছে। ওই অভিযোগে জার্মান কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই চার ব্যক্তি ইহুদিবিদ্বেষ ছড়িয়েছেন এবং উসকানি দিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগও করা হয়েছে।

তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারে বাধা দেওয়া, সম্পদের ক্ষতি করা এবং শান্তি বিঘ্নিত করার মতো অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগও আনা হয়েছে।

ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার হয়েছেন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ডধারী। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন মার্কিন অভিবাসন আদালতের এক বিচারক।

আরও পড়ুনফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করা যেতে পারে বলে বিচারকের মত১২ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনফিলিস্তিনের জন্য বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করছে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়৩০ এপ্রিল ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রাম্পের পথে জার্মানিও, ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করায় চারজনকে বিতাড়নের নির্দেশ