বিএনপি জনগণের জন্য রাজনীতি করে: আমিনুল হক
Published: 18th, March 2025 GMT
বিএনপি ক্ষমতার জন্য নয় জনগণের জন্য রাজনীতি করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি যে জনগণের জন্য- এই বার্তা সারাদেশের মানুষের কাছে আমাদেরকে পৌঁছে দিতে হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ কেন্দ্রীয় মসজিদ মাঠে দক্ষিণখান থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হেলাল তালুকদার এর বাবা মরহুম শাজাহান তালুকদার এর স্মরণে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে কিন্তু পরিপূর্ণ স্বৈরাচার মুক্ত হয়নি।স্বৈরাচারের দোসররা এখনও রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসে দেশ ও দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি এ নেতা আরও বলেন, তাদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। এই অঙ্গীকার নিয়েই আমাদের এগুতে হবে।
আমিনুল হক বলেন, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার বিগত ১৫ বছর ধরে দেশের সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই ধ্বংসস্তূপ হওয়া সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিপূর্ণ সংস্কার হবে।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, আকতার হোসেন, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, আফাজ উদ্দিন আফাজ, মহানগর সদস্য জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, সাবেক সদস্য আলাউদ্দিন সরকার টিপু, দক্ষিণখান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম বাবলু, মতিউর রহমান মতি, কামরুল হাসান আকরাম, দেওয়ান মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ইফত র ব এনপ র জনগণ র র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে জাতীয় পার্টির ৩ নেতার পদত্যাগ
জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছেন খুলনার জাতীয় পার্টির তিন নেতা। শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই ঘোষণা দেন।
তারা হলেন- জাতীয় পার্টির সাবেক মহানগর সভাপতি আবদুল গফফার বিশ্বাস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোল্লা শওকত হোসেন বাবুল ও অ্যাডভোকেট এস এম মাসুদুর রহমান। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে তারা তিনজন দীর্ঘদিন ধরে পার্টির মধ্যে কোনঠাসা ছিলেন। বর্তমান খুলনা জাতীয় পার্টির কোনো পদে তারা নেই। গতবছর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে পার্টির রওশন এরশাদ অনুসারীরা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যে কমিটি করেছিলেন তাতে এই তিনজনের নাম ছিল। কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে দেখা যায়নি।
দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকার পর পদত্যাগের কারণ প্রসঙ্গে এই তিন নেতা বলেন, ভুল স্বীকার ও ক্ষমা চাওয়া রাজনৈতিক সংস্কার ও শিষ্টাচার। আমরা রাষ্ট্রের পূর্ণ সংস্কার চাই, যাতে ভবিষ্যতে জনগণের দোহাই দিয়ে আর কোনো স্বৈরশাসক জাতির কাঁধে চেপে বসতে না পারে।
নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে তারা বলেন, আপাতত নেই। তবে রাজনীতি চলমান প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
গফফার বিশ্বাস এর আগেও কয়েকবার বিএনপি ও জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি থাকা অবস্থায় অপারেশন ক্লিন হার্ট শুরু হয়। অসংখ্য মানুষ নির্যাতন ও হত্যা করা হয়। এর প্রতিবাদে পদত্যাগ করি। পরে জাতীয় পার্টি যে ক’বার জনগণের ভাষা বুঝতে পারেনি, ভুল পথে হেটেছে আমি সরে দাঁড়িয়েছি।
বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে খুলনা মোটরবাস মালিক সমিতি, নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন আবদুল গফফার বিশ্বাস। মাসুদুর রহমানও সরকারি আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন আদালতে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবদুল গফফার বিশ্বাস বলেন, ওই সময় আওয়ামী লীগের অপকর্মের বিষয়ে আমি সবচেয়ে সোচ্চার ছিলাম।