নিয়োগ বাতিলের হুমকি এবং অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট ম্যানেজ করে দেওয়ার কথা বলে সাত লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) নিয়োগ কমিটির আহ্বায়কসহ ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। 

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ডিআরইউ-এর সাগর–রুণী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। একই প্রতিষ্ঠানের ভুক্তভোগী কর্মী গাড়িচালক মো.

সানাউল্লাহ এ সংবাদ সম্মেলন করেন। 

অভিযুক্তরা হলেন, বিআইসিএমের আহ্বায়ক মো. নাজমুছ সালেহীন, উপপরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহিল। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সানাউল্লাহ বলেন, আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বিআইসিএম-এর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গাড়িচালক পদে আমি মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় আমার এনআইডি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, দাখিল করে গাড়িচালক পদে চাকরির জন্য আবেদন করি। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর গাড়িচালক হিসেবে নিয়োগ পাই। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটে নিয়োগ কমিটি-২ আমার সমস্ত কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে। নিয়োগ কমিটি-২ ওই নিয়োগের সব কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিআইসিএম এর নিয়োগ কমিটি-২ এর সদস্য ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম সদস্য সচিব এবং আহ্বায়ক নাজমুস সালেহীন। 

সানাউল্লাহ বলেন, বিআরটিসির একজন কর্মকর্তাসহ নিয়োগ কমিটি আমার গাড়ি চালানো পর্যালোচনা-পর্যবেক্ষন করে এবং কমিটি কর্তৃক আমি সুপারিশ প্রাপ্ত হই। পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্নের মাধ্যমে আমার নিয়োগপত্র জারি করে।

এ অবস্থায় একই প্রতিষ্ঠানের নাজমুস সালেহীন এর নেতৃত্বে উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহিল ওয়ারিশ সাত লাখ টাকা দাবি করে। তারা আমাকে জানায় যে, তোমার পাঁচ বছর অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে যেটা তুমি এখানে জমা দেননি। এই অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য বিষয়গুলো আমরা ম্যানেজ করে দিবো এইজন্য টাকা পয়সা লাগবে। এতে আমি আপারগতা জানালে, তারা বলে তুমি যদি এতে রাজি না হও, তাহলে তোমার নিয়োগ আমরা বাতিল করে দিব। তখন আমি উপায় না পেয়ে তাদের কথা অনুযায়ী ৭ লাখ টাকা দেই এবং তারা গ্রহণ করে। অতঃপর মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহিল ওয়ারিশ নিজে অভিজ্ঞতা সনদ বানিয়ে নিয়ে আসে। 

ভুক্তভোগী সানাউল্লাহ আরও বলেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অধীনস্থ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন য় গ কম ট স ন উল ল হ পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

দোহারে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

ঢাকার দোহারে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে জিয়াউর রহমান নামের এক আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁকে দুই লাখ টাকা জরিমানাও করেছেন আদালত।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪–এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান আজ মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার পর পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ১৪ বছর বয়সী কিশোরী পরিবারের সঙ্গে দোহারে বসবাস করত। ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর সকাল ৯টার সময় কিশোরী নিজ বাড়ির পাশে সবজির খেতে গিয়েছিল। এ সময় আসামি জিয়াউর রহমান ওই কিশোরীকে পাশের একটি খেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর চাকু দিয়ে কিশোরীর গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ রেখে পালিয়ে যান আসামি জিয়াউর রহমান। এ ঘটনায় নিহত কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে জিয়াউরকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৮ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খিলগাঁওয়ে যাত্রী বেশে গাড়িতে দুজন, এসি ছাড়তে বলে ছিনতাই: পুলিশ
  • মাদারীপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় তিন ভাইয়ের পর মারা গেলেন আরও একজন
  • তুলসীর কথা কি শুধু কথার কথা
  • পাকিস্তানের নায়িকার পর ভারতীয় ভিলেন
  • নানা বয়সীর আনাগোনায় জমে উঠেছে হাল ফ্যাশন ঈদমেলা
  • অলকার গানের ভক্ত লাদেন, শিল্পী কী বললেন?
  • একজন বলেছিল সেহরির সময় জাগিয়ে দিতে
  • ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’–এ পুলিশের ভূমিকায় ‘দাদাগিরি’ সৌরভের
  • দোহারে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড