সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ আদালত চলতো আর মামলার রায় গণভবন থেকে আসতো বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের অডিটরিয়ামে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদ ঢাকা বার ইউনিটের পক্ষ থেকে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

নুর বলেন, “আওয়ামী লীগের আমলে আদালত চলতো শেখ হাসিনার নির্দেশে। মামলার রায় আসতো গণভবন থেকে। আদালতগুলোতে আওয়ামী লীগ পন্থীরা দখলদারি চালাতো। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর এমন চলতে পারে না। এখানে সব দলের আইনজীবী সমান অধিকার থাকবে। শেখ হাসিনার আমলের মতো এখন আদালতগুলোতে আর দখলদারিত্ব চলতে দেওয়া হবে না।”

আরো পড়ুন:

উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনসহ চার দফা দা‌বি গণঅধিকার প‌রিষ‌দের

পাগলেও ‘মুজিব কোট’ নিতে চায় না: নুর

তিনি বলেন, “ঢাকা বারে অ্যাডহক কমিটি রয়েছে। সব দলের অংশগ্রহণে দ্রুত সময়ের ভেতর ঢাকা বারের নির্বাচনের দাবি জানাই। বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদ কিছুদিন হলো যাত্রা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন বারে বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদের কমিটি দেওয়া হচ্ছে।  বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদ, আইনজীবীদের সুরক্ষা ও জনগণের ন্যায় বিচার প্রাপ্তির জন্য কাজ করে যাবে।”

বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী বলেন, “ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন দ্রুত দিতে হবে। অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি করে ঢাকা বারের নির্বাচন প্রলম্বিত করার কোনো সুযোগ নেই। আইনজীবী অধিকার পরিষদ সারাদেশের সাধারণ আইনজীবীদের অধিকার নিয়ে কাজ করবে।”

বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদ ঢাকা বারের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলামে সভাপতিত্বে সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট শওকত হোসেন, অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান, অ্যাডভোকেট সাজেদুল ইসলাম রুবেল, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

ঢাকা/মামুন/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র ল হক ন র ল দ শ আইনজ ব গণঅধ ক র প সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

আদালতপাড়ায় এক হয়ে যুবককে পেটালেন সাবেক দুই স্ত্রী

সাবেক দুই স্ত্রী এক হয়েছে জুতা দিয়ে পিটিয়েছেন নুর মোহাম্মদ নামে এক যুবককে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে পুরান ঢাকার নিম্ন আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, শাহনাজ আক্তার নুর মোহাম্মদের প্রথম স্ত্রী, হ্যাপী দ্বিতীয়। এদিন একটি মামলার ধার্য তারিখ ছিল। তারা তিনজনই আদালতে হাজির হন। হাজিরা শেষে মারামারির ঘটনা ঘটে। শাহনাজ আক্তার ও হ্যাপী আক্তার পায়ের জুতা খুলে নুর মোহাম্মদকে পেটান। এ সময় নুর মোহাম্মদ সাহায্যের আকুতি জানান। উপস্থিত জনতা তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। তবে তারা তা মানেননি। মাঝেমধ্যে নুর মোহাম্মদ সুযোগ খুঁজে দৌড়ে পালানোরও চেষ্টা করেন। তাতেও সফল হননি। তারা দৌড়ে গিয়ে তাকে ধরে আবার মেরেছেন। এতে কিছুটা আহত হন নুর মোহাম্মদ। তার পরনের শার্ট, গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলেন তারা। যেভাবে পেরেছেন কিল, ঘুষি, জুতাপেটা করেছেন সাবেক এই দুই স্ত্রী। কিছুটা সময় পরে তাদের আইনজীবী তাদের নিয়ে যান।

শাহনাজ আক্তার ও হ্যাপী আক্তারের আইনজীবী পাপিয়া সুলতানা বলেন, ‘‘আজ একটা মামলার ধার্য তারিখ ছিল। আসামি নুর মোহাম্মদ আদালতে হাজির হন। তার সাবেক দুই স্ত্রীও আদালতে হাজির হন। শুনানি শেষে শাহনাজ আক্তার ও হ্যাপী আক্তার মিডিয়ার সাথে কথা বলছিলেন। তখন নুর মোহাম্মদ দুইজনকেই তলপেটে লাথি মারেন। এরপরের ঘটনা তো আপনারা দেখলেন।’’

হ্যাপী আক্তার বলেন, ‘‘বিয়ের কয়েক মাস পর সে আমাকে জোর করে তালাক দেওয়ায়। এরপর লুকিয়ে বেড়ায়। এরওর কাছে বলে বেড়ায় আমি খারাপ। আমি যদি এত খারাপ হয়, বিয়ের আগে দেখোস নাই? আমি বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে। কোনো অন্যায় ছিল না আমার। ধুমধাম করে, ওর চাহিদা পূরণ করে বিয়ের ব্যবস্থা করেছে। ও একটা ফ্রট। ওর সুষ্ঠু বিচার চাই। ও যেন আর কোনো মেয়ের জীবন নষ্ট করতে না পারে।’’

শাহনাজ আক্তার বলেন, ‘‘২০১৫ সালে আমাদের বিয়ে হয়। ২০১৭ সালে আমার প্রথম বেবি (মেয়ে) হয়। ২০২২ সালে দ্বিতীয় মেয়ে হয়। মেয়ে হওয়ায় ও আমাকে ডিভোর্স দেয়। পরে জানতে পারি ও দ্বিতীয় বিয়ে করছে। আকুতি-মিনতি করে বলেছি, ছোট একটা বাসা নিয়ে মেয়েসহ আমাকে রাখ। আমাকে কোনোভাবে রাখে নাই। মেয়ে দুইটাকেও দেখতে দেয় না। আমাকে শেষ করে ফেলছে। ওর এ ধরনের ক্রাইমের সাথে ওর পরিবারও জড়িত। ওদের ফাঁসি চাই। ওরে আমি আমার জীবনের চেয়ে বেশি পছন্দ করছি। ওর ফাঁসি চাই।’’

নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘‘হ্যাপী আক্তার প্রতারণা করে আমাকে বিয়ে করছে। তাকে বলছি, আমার স্ত্রীকে ছাড়তে পারবো না। সে এত খারাপ মানুষ না। হুমকি দেয়, প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দিলে থানায় নিয়ে যাব। বাধ্য করে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিই।’’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমার প্রথম স্ত্রীর পরিবার আর্থিকভাবে চাপ দেয়। এ নিয়ে তাদের সাথে মনোমালিন্য হয়। এ কারণে তাকে তালাক দিই। দ্বিতীয় ফ্রট এসে বলে বাচ্চার দায়িত্ব নেবে। প্রথম স্ত্রীর ভাই কয়েকদিন পর পর শুধু টাকা চায়। না দিলে বিভিন্নভাবে আমাকে চাপ দেয়। মিথ্যা রটনা রটায়। হেয় প্রতিপন্ন করে। আমার মেয়ে বলে, আব্বু বিভিন্ন লোকজন বাসায় আসে, তারা থাকে। আমার মারধর করে অন্য রুমে রেখে দেয়। পরে তাকে তালাক দিই। হ্যাপী আমাকে প্রতারণা করে বিয়ে করে। সে আমার প্রথম স্ত্রীকেও মিসগাইড করছে। আজ কোর্টে আসছি। আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। আমার কী অবস্থা করছে দেখেন।’’
 

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে আইন সমিতির মানববন্ধন ও পথযাত্রা কর্মসূচি
  • একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামিন পেলেন এনসিসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল
  • আদালতের ভেতরে পুলিশকে মারধর, বিএনপির ৬ নেতাকর্মী আটক
  • ‘মা-মাটি ডাকছে, তারেক রহমান আসছে’ স্লোগানে মুখর আদালতপাড়া 
  • অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে
  • আমাকে হয়রানির জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: টিউলিপ
  • ভারতে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত সন্দেহভাজন নীরব মোদির সহযোগী চোকসি বেলজিয়ামে গ্রেপ্তার
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিটে ভর্তিতে নতুন করে এমসিকিউ পরীক্ষা হবে
  • আদালতপাড়ায় এক হয়ে যুবককে পেটালেন সাবেক দুই স্ত্রী
  • ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আবার হবে