ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় রোধে সিয়াম সাধনার প্রভাব শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ক্যাম্পাসের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের গণ হরকরা গ্যালারিতে ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন গ্রিন ফোরাম এ সভার আয়োজন করে।
সংগঠনটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবু সিনার সভাপতিত্বে এতে প্রধান আলোচক ছিলেন অধ্যাপক আ ছ ম তরীকুল ইসলাম।
আরো পড়ুন:
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি নিয়ে বিএনপিপন্থি শিক্ষকের গবেষণা, অতঃপর.
ইবিতে ১৫ বছরের নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে কমিটি
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক তোজাম্মেল হোসেন, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ওবাইদুল ইসলাম, জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ফারুকুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক মুখলেসুর রহমান সুইট, ছাত্রদল ইবি শাখার সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ইবি শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসানসহ বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক তরীকুল ইসলাম বলেন, “সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে সিয়ামের রয়েছে অনবদ্য ভূমিকা। আমরা সবাই চাই একটা সুন্দর সমাজ হোক। কিন্তু সুন্দর সমাজ গড়তে যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা দরকার, আমরা তা গ্রহণ করতে পারিনি।”
তিনি বলেন, “নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় রোধে উপযুক্ত গাইড বুক আল-কোরআনকে অবতীর্ণ করা হয়েছে। এই গাইড বুক গোটা পৃথিবীকে নান্দনিক করে গড়ে তুলতে যেভাবে কথা বলে, এতে করে নৈতিক অবক্ষয় আর থাকার কথা নয়।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এক অঙ্কের ভ্যাট হার চায় ঢাকা চেম্বার
আগামী অর্থবছরে ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। একই সঙ্গে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটে এক অঙ্কের অভিন্ন হার নির্ধারণ ও বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের জন্য আগাম কর কমানোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে অনুষ্ঠিত আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব প্রস্তাব দেন সংগঠনটির সভাপতি তাসকীন আহমেদ। এ ছাড়া কৃষি, হিমাগারসহ বেশ কয়েকটি খাতের ব্যবসায়ীরা তাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ করা উচিত। ব্যক্তির সর্বোচ্চ কর কমানো ও করজাল বাড়ানোর জন্য এনবিআরের পদক্ষেপ নিতে হবে। বাণিজ্যিক আমদানিতে আগাম কর কমানো এবং ভ্যাটের একক হার করার প্রস্তাব দেন তিনি।
ডিসিসিআইর পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমানে ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ নির্ধারিত হলেও, বিভিন্ন খাতে তা ১০, ৭ দশমিক ৫, ও ৫ শতাংশ হারে রয়েছে। এতে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। কর রেয়াতের সুবিধা সবক্ষেত্রে নিশ্চিত না হওয়ায় বাড়তি করের বোঝা বহন করতে হচ্ছে। তাই এক অঙ্কের একক ভ্যাট হার করার পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক খাতের ব্যবসায়ীদের ভ্যাট ১ শতাংশ নির্ধারণ করা দরকার।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ব্যক্তির কর বেশি হওয়া উচিত। কম হওয়া দরকার কোম্পানির। এবার ব্যক্তির কর সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ থাকবে। ভারতেও বেশি। উন্নত দেশে ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ। এটাকে কমানো ঠিক হবে না। বরং বাড়াতে হবে। নইলে বৈষম্য কমবে না। পাশাপাশি মানুষের সেবাও নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে মানুষ হাতে কম টাকা রাখবে।
ব্যবসায়ীদের আপত্তির কারণে ভ্যাটের একক হার হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভ্যাটহার নিয়ে ব্যবসায়ীরাই এখন ভুগছে। যত ঝগড়া ভ্যাটের বিভিন্ন হারের কারণে। সবাই একমত হলে, কিছুটা কমিয়ে হলেও একক হার করা দরকার। এফবিসিসিআই প্রস্তাব দিলে প্রয়োজনে তাদের জন্য সফটওয়্যারও করা হবে।
সভায় বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ককর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে। সংগঠনটি বলছে, হিমাগারের মূলধনি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক ১, ভ্যাট ১৫, অগ্রিম কর ৫ এবং অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশসহ সব মিলিয়ে মোট ২৬ শতাংশ শুল্ককর দিতে হয়। আলু, সবজিসহ বিভিন্ন পচনশীল খাদ্যপণ্য রাখা হয় হিমাগারে। তাই কৃষি খাত বিবেচনা করে এসব যন্ত্র আমদানিতে শুল্ককর প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেন তারা।
কৃষিজ পণ্য সরবরাহের বিপরীতে উৎসে কর কর্তনে অব্যাহতি, বিক্রির ওপর ন্যূনতম ০ দশমিক ৬০ শতাংশ আয়কর বাতিল, মূসকের আদর্শ হার কমানো ও আগের মতো নগদ সহায়তা ২০ শতাংশ বহাল রাখার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)। শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বাগদা ও ভেনামী চিংড়ি আমদানিতে অগ্রিম আয়কর ও আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। রং ও রং জাতীয় পণ্যকে অত্যাবশকীয় পণ্য হিসেবে বিবেচনা করে স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার চেয়েছে বাংলাদেশ পেইন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।