পড়ে গেলে ভাঙে না, পর্দায় দাগও পড়ে না এই স্মার্টফোনে
Published: 18th, March 2025 GMT
অসতর্কতার কারণে হাত থেকে পড়ে গেলে ফোনের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পর্দায় ফাটল ধরে বা দাগ পড়ে যায়। এর ফলে স্বাভাবিকভাবে ফোন ব্যবহার করা যায় না। এ সমস্যা সমাধানে অ্যান্টি-ড্রপ ডিসপ্লেযুক্ত নতুন স্মার্টফোন বাজারে এনেছে অনার বাংলাদেশ। ‘অনার এক্স৯সি’ মডেলের ফোনটিতে আলট্রা-টেম্পারড গ্লাস ও রেজিস্ট্যান্স শিল্ড ব্যবহার করায় সাড়ে ছয় ফুট ওপর থেকে পড়ে গেলেও ভাঙে না, পর্দায় দাগও পড়ে না। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে অনার বাংলাদেশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফোনটিতে ৬ হাজার ৬০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি থাকায় একবার চার্জে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যায়। শুধু তা–ই নয়, ৬৬ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার প্রযুক্তি থাকায় দ্রুত চার্জ করারও সুযোগ মিলে থাকে। এর ফলে ফোনটিতে চার্জ শেষ হওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। পানি ও ধুলাপ্রতিরোধক–সুবিধা থাকায় ভিজলে নষ্ট হয় না, ধুলাও জমে না ফোনটিতে।
৬ দশমিক ৭৮ ইঞ্চি পর্দার ফোনটির পেছনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ১০৮ ও ৫ মেগাপিক্সেলের ২টি ক্যামেরা রয়েছে। সামনে রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। এর ফলে ফোনটির মাধ্যমে সহজেই উন্নত রেজল্যুশনের ছবি তোলা যায়। ১২ গিগাবাইট র্যাম ও ২৫৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটির দাম ধরা হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৯৯ টাকা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদে কাপড় বিক্রির লক্ষ্য ৫৫০ কোটি টাকা
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া পাইকারি কাপড়ের মার্কেটের বেচাকেনা জমে উঠেছে। দোকানিরা সাধ্যমতো পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। ক্রেতা আকর্ষণে নানা অফারে ডাকছেন কেউ কেউ। রেডিমেড কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় তুলনামূলক কম হলেও জাকাতের লুঙ্গি এবং শাড়ি কাপড়ের দোকানগুলোয় উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। গত রোজায় মার্কেটটিতে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এ বছর তা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৫৫০ কোটি টাকায়। যদিও কাপড়ের বাড়তি দাম এবং চলমান অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এ লক্ষ্য অর্জনে শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন কয়েক ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, প্রায় ২৪ একর জায়গায় ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত গাউছিয়া মার্কেটে বর্তমানে দোকানের সংখ্যা ৫ হাজার ৪৭২টি। নির্মাণকাজ শেষ হলে এ সংখ্যা ১৪ হাজারে দাঁড়াবে। শনিবার বাদে সপ্তাহের ছয় দিনই চলে জমজমাট বেচাকেনা। ঈদ উপলক্ষে তিন সপ্তাহ ধরে শনিবারও মার্কেট খোলা থাকছে। সপ্তাহের সোম ও মঙ্গলবার তৈরি পোশাকের পাইকারি বেচাকেনা চলে এ মার্কেটে। এ দু’দিন দৈনিক ৫০ থেকে ৭০ কোটি টাকার পাইকারি কাপড় বেচাকেনা হয়। ঈদের সময় বিক্রির পরিমাণ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। বাকি দিনগুলোয় চলে খুচরা বেনাকেনা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানী ঢাকা ছাড়াও রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, সিলেট, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, বরিশালসহ সারাদেশের ব্যবসায়ীরা পাইকারি কাপড় কিনতে এসেছেন। এ বছর দাম একটু বেশি হলেও কেনাবেচার যেন কমতি নেই।
রাজশাহী থেকে আসা আসিয়া ফ্যাশনের মালিক জসীমউদ্দীন বলেন, আমি এই মার্কেট থেকেই পাইকারি কাপড় কিনে থাকি। এই মার্কেটের কাপড়ের দাম বেশ সাশ্রয়ী এবং মানও ভালো। ইদানীং ব্যবসায়ীরা আর আগের মতো বাকিতে পণ্য দিতে চাচ্ছেন না। নগদ টাকায় ব্যবসা করতে অনেকেরই বেগ পেতে হচ্ছে।
গাউছিয়া মার্কেটের আলিফ বস্ত্র বিতানের মালিক রইসুল ইসলাম বলেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য, সর্বনিম্ন লাভ করে সবচেয়ে ভালো কাপড়টি পাইকারি ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়া। ফলে সারাদেশের ব্যবসায়ীরা আমাদের ওপর আস্থা রাখছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, এখানে ৩০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে ভালো মানের বুটিক থ্রিপিস পাবেন। জয়পুরি সুতির কাপড় পাবেন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে। সিল্কের শাড়ি ১ হাজার ৫০০ থেকে ৩-৪ হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। রুহিতপুরি লুঙ্গি ২৫০ থেকে ১ হাজার, জয়পুরহাটের লুঙ্গি পাবেন ২৫০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে। ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০০ টাকার মধ্যে ভালো মানের জাকাতের কাপড় পাবেন। এ ছাড়া সুতি গজ কাপড়, সুতি থ্রিপিস, ওড়না, জামদানি শাড়ি, লুঙ্গিসহ সব ধরনের কাপড় খুব সস্তায় পেয়ে যাবেন।
বিক্রি নিয়ে খুচরা রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসায়ীদের গলার সুর একটু ভিন্ন। সজীব ফ্যাশনের মালিক ইমরান হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছরের বেচাকেনা একটু কম। গত বছরের এ সময় প্রতিদিন গড়ে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার কাপড় বিক্রি করেছি। কিন্তু এবার একটু কমে গেছে। আগামী কয়েকদিন বাড়বে বলে আশা করছি।
ভুলতা গাউছিয়া মার্কেটের বাইরে ফুটপাতের দোকানগুলোও সেজেছে ঈদের সাজে। রংবেরঙের বাহারি জামাকাপড় নিয়ে ফুটপাতে প্রায় ৫০০ দোকান বসেছে। সরকার পরিবর্তনের পর ফুটপাতে ব্যবসা করার জন্য কোনো চাঁদা দিতে হয়নি বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
গাউছিয়া করপোরেশনের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া বলেন, গাউছিয়া করপোরেশন এখন দেশের সর্ববৃহৎ পাইকারি কাপড়ের মার্কেট। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা, আধুনিক ফায়ার ডিফেন্স সিস্টেমসহ সর্বোত্তম সেবা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।