নাসিক ১নং ওয়ার্ডে টিসিবির পণ্য অন্যত্র বিক্রির অভিযোগ
Published: 18th, March 2025 GMT
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য সাধারণ মানুষের কাছে সরকারিভাবে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি না করে তা অন্যত্র বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মো. মিরাজ নামের এক টিসিবির ডিলার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১নং ওয়ার্ডের মিজমিজি বাতানপাড়া ক্যানালপাড় এলাকায়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চলছে বিভিন্ন আলোচনা সমালোচনা। অভিযুক্তরা হলো উক্ত এলাকার টিসিবির ডিলার মো.
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১নং ওয়ার্ডের মিজমিজি বাতানপাড়া ক্যানালপাড় এলাকার টিসিবির ডিলার মো. মিরাজের মাধ্যমে নিন্ম আয়ের প্রায় ১ হাজার নয়শত সাধারণ মানুষের মাঝে এ পণ্য বিক্রি করার কথা থাকলেও তা বিক্রি না করে চড়া মূল্যে অন্যত্র বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওয়ার্ড সচিব মো. হযরত আলী জড়িত বলেও জানা গেছে।
জানা যায় ওয়ার্ড সচিব মো. হযরত আলীকে ম্যানেজ করে এই অনিয়ম করে যাচ্ছে টিসিবির ডিলার মো. মিরাজ ও তার সহযোগীরা। জানা যায় টিসিবির পণ্যের মধ্যে খেঁজুর বিক্রি না করে তা অন্যত্র সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় হোটেলে চড়া মূল্যে বিক্রি করছেন মিরাজের সহযোগী ইমরান ও ওসমান গণী।
ইমরান টিসিবির খেঁজুর সাধারণ মানুষকে ভারতের খেঁজুর বলে বিক্রি করছেন চড়া মূল্যে। এসব অনিয়ম দূর্নীতি করে এ চক্র হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। তাদের এসব অনিয়মের ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই এলাকার টিসিবির ডিলার মিরাজের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিষয়টি জানতে ওয়ার্ড সচিবের দায়িত্বে থাকা মো. হযরত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আগে জনপ্রতিনিধির লোকজন ছিলো তারা বিষয়টি দেখাশোনা করতো। এখন তারা নেই তাই হয়তো এমন হচ্ছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র সহয গ এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলী নৃশংসতার প্রতিবাদে বন্দরে শাহাজাদা জিলানীর বিক্ষোভ
গাজা ও রাফায় ইজরায়েলী বর্বরোচিত নৃশংসতার প্রতিবাদে এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন আল্লামা মাহাবুবুল হক নূরে বাংলা হুজুরের শাহাজাদা রাকিব হাসান জিলানী ও জিলানী গ্রুপের কর্ণধার পেয়ার মোঃ রকি এর উদ্যোগে বন্দরে সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বাদ জুমা স্বল্পের চক বায়তুন নূর জামে মসজিদ থেকে হুজুরের শাহাজাদার ডাকে ২২ ও ২৩ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণ এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। এসময় ডোনাল্ড ট্রাম্পে ও নেতা নিয়াহুর ছবিতে থুতু ও জুতা নিক্ষেপ করা হয়।
শাহাজাদা রাকিব হাসান জিলানী বলেন, এমন একটা দিন আসবে বিশ্বের মানচিত্রে থেকে ইজরায়েলী নামক কোন দেশ থাকবেনা। বিশ্বের মানচিত্রে একমাত্র ফিলিস্তিনি স্বাধীন দেশ হিসেবে টিকে থাকবে। আমরা ঐ দিনের অপেক্ষায় আছি।
আল্লাহ যে ভাবে হযরত মুসা (আঃ) এর জমানায় ফেরাউনকে পতন ঘটিয়েছে। হযরত নূহ (আঃ) জমানায় যেভাবে নবউতকে পতন ঘটিয়েছে। আমরা অপেক্ষায় আছি ইমাম মাহাদী আসবেন ইহুদীদের পতন ঘটাবেন। আল্লাহ আবাবিল পাখি পাঠাবেন ইহুদের ধ্বংশ করার জন্য। আল্লহ রাব্বুল আল-আমিন জিবরাহিল সহ ফেরেস্তাদের পাঠাবেন ইহুদীদের ধ্বংশ করার জন্য।
তিনি আরোও বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলেছেন ইজরায়েলীরা গাজা দখল করবে। এতে কেউ বাধাগ্রস্থ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠর ব্যবস্থা নিবে। এ সমাজ থেকে ড. ইউনুস সাহেবকে বলতে চাই আমরা না খেয়ে মরবো তারপরও ইজরায়েলী কোন পণ্য বাংলাদেশে ঢুকতে দিবেন না।
দোকানি ভাইয়েরা আপনারা ইজরায়েলী পণ্য ফেলে দেন আল্লাহ আপনাদের সহায়ক হবেন। আজ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যারা যুদ্ধ করছেন তাদের হাতে অস্ত্র নেই। আমাদের স্বাদ আছে সাধ্য নাই তাই পন্য বয়কট করতে হবে। এতেই আমাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা হবে।
আমরা তাদের যোগান দিতে চাই মুসলমান ভাইয়েরা একা নন। কিছু না করতে পারলেও নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিবাদ আন্দোলন করে ফিলিস্তিনি গাজাবাসীর পাশে থাকব।
হুজুরের শাহাজাদা ও জীলানী গ্রুপের কর্ণধার পেয়ার মোঃ রকির সভাপতিত্বে এসময় সক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন আল্লামা মাহাবুবুল হক নূরে বাংলা হুজুরের শাহাজাদা রাকিব হাসান জিলানী, বন্দর কেন্দ্রীয় কবরস্থান রোড পঞ্চায়ত কমিটির সভাপতি সোহেল খান বাবু, স্বল্পের চক বায়তুন নূর জামে মসজিদ মোতোয়াল্লী মোঃ কালাম, কোষাধক্ষ মীর মামুন, শরিফ দেওয়ান, মসজিদের মোয়াজ্জিন আব্দুর রহমান, নয়ন বেপারী।
এছাড়া আরোও উপস্থিত ছিলেন, মোঃ জিহাদ, তৌছিফ, মোঃ রবিন, পারভেজ, সৌরভ, রুবেল, ওহাব, আকাশ, মনির হোসেন, সাইফুল প্রমুখ।
ফিলিস্তিনি গাজায় শিশু সহ নিহত আহত সকল জনগণের জন্য ও যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন জামেয়া গাউছিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরীয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল শাহ্ মোয়াজ্জাম আল আজহারী।