এক সপ্তাহ আগেই গাজায় হামলার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করেছিল ইসরায়েল। এরপরেই হামলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। মঙ্গলবার আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চার শতাধিক ছাড়িয়েছে।

জানুয়ারিতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। মার্চে চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে আলোচনা চলছিল। অথচ মঙ্গলবারের হামলার প্রায় এক সপ্তাহ আগে ইসরায়েল গাজায় নতুন করে হামলার অনুমোদন দেয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করেছিল। ওই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ কাতারে হামাসের সঙ্গে চুক্তির জন্য আলোচনা করছিলেন।

গাজায় হামলার জন্য ইসরায়েলের পক্ষে সাফাই গেয়ে হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র ব্রায়ান হগস বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তি না দিয়ে হামাস যুদ্ধকে বেছে নিয়েছে।

আল জাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেন, ইসরায়েল কেন যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার অন্তত তিনটি ব্যাখ্যা রয়েছে।

সামরিক স্তরে নেতানিয়াহু অনেক আগেই হামাস ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। জিম্মিদের নাটকীয় মুক্তি ‘নেতানিয়াহুকে অপমানিত’ করেছে এবং তার শিবিরকে রাজি করিয়েছে যে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।

বিশারা বলেন, “এর একটি কৌশলগত যুক্তিও রয়েছে এবং এটি ট্রাম্পের (গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বের করে দেওয়ার) দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করে তৈরি। যুদ্ধ ছাড়া আপনি লাখ লাখ মানুষকে স্থানান্তর করতে পারবেন না।”

সর্বশেষ ব্যাখ্যাটি হচ্ছে, নেতানিয়াহু “অনেক দুর্নীতির অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি এবং গাজায় আরেকটি রক্তক্ষয়ী অভিযান শুরু করে মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নিতে চান।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল কর ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা, ৪ মাদক কারবারি ছিনতাই

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলার কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালিয়ে চার মাদক কারবারিকে ছিনিয়ে নিয়েছে সহযোগী মাদক কারবারিরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 
এ ঘটনার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাদক 
কারবারি সেলিম কসাইয়ের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও দেশি অস্ত্র জব্দ করে। তবে ছিনিয়ে নেওয়া মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি তারা। 
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক রিফাত হোসেন জানান, তাঁর নেতৃত্বে একটি দল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মাসদাইর রোকেয়া খন্দকার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিপরীত দিকের গলিতে রাসেল মাস্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী কসাই সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। ঘটনাস্থল থেকে মাদক কারবারি কসাই সেলিম, রাসেল, পোড়া কাকন ও শাওনকে আটক করা হয়। এ সময় মাদক কারবারি কসাই সেলিমের সহযোগী ২০ থেকে ২৫ জন মিলে অভিযানে যাওয়া মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দলকে ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে মাদক কারবারিরা হামলা চালিয়ে আটক চার মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরপরই জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোনাব্বর হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবি ও জেলা পুলিশ ফের অভিযান চালায়। তারা ২০ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ১ হাজার ৭০০ পিস ইয়াবা, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ১৪ বোতল ফেনসিডিল, হেরোইন, চাপাতি, ছুরি, সুইস গিয়ার চাকুসহ দেশি অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোনাব্বর হোসেন জানান, জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি। মাদক কারবারিরা হামলা চালিয়ে চার মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ