ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিদেশ যাওয়ার অনুমতির আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
Published: 18th, March 2025 GMT
ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রী আরজুদা করিমের বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়ে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
এর আগে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ১৬ মার্চ ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়ে আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে, যার ওপর আজ শুনানি হয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান। ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ১৬ মার্চ স্পেশাল জজ আদালতের দেওয়া আদেশ আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সেদিন হাইকোর্টে আবার শুনানি হবে।
দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং–সংক্রান্ত অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। যে কারণে ওবায়দুল করিম, তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। প্রথমে স্পেশাল জজ আদালত বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন। পরবর্তী সময়ে ওবায়দুল করিম, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে বিদেশে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। এতে ওবায়দুল করিমের চিকিৎসা ও ওমরাহ হজের জন্য এবং এ ক্ষেত্রে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে স্ত্রী ও মেয়ের বিদেশযাত্রার অনুমতি চাওয়া হয়। স্পেশাল জজ ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রীকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে ১৬ মার্চ আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আবেদন করে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়ে স্পেশাল জজ আদালতের আদেশ আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছেন।
ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়ে স্পেশাল জজ আদালতের ১৬ মার্চ দেওয়া আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান দুদকের এই আইনজীবী।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ য ষ ঠ আইনজ ব ১৬ ম র চ
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা ভোটে জয়ী হচ্ছেন সবাই
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা। আগামী ১৬ এপ্রিল সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে।
আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীদের অভিযোগ, নির্বাচনে অংশ নিতে তারা ফরম নিতে পারেননি। ফরম নিতে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলেও জানান তারা।
গতকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ছিল চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এই দিন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সবগুলো পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন:
নির্বাচনী প্রচারে পোস্টার না রাখার কথা ভাবছে ইসি
বাপ ডাইক্কা নির্বাচন দেওন লাগব, বললেন বিএনপির ফজলুর রহমান
মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট তারিক আহমদ জানান, ২১টি পদের জন্য ২১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাইয়ে সবগুলোই উৎরে গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সবাইকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
মনোননয়ন জমা দেওয়া ২১টি পদের মধ্যে ১৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কাজী মো. সিরু, অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, পাঠাগার সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফী বিনতে মোতালেব, ক্রীড়া সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন এবং সদস্য আহসান উল্লাহ, আসমা খানম, বিবি ফাতেমা, মেজবাহ উল আলম, রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী, রাহিলা গুলশান ও সাজ্জাদ কামরুল হোসেন।
সাতটি পদে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- সহ-সভাপতি আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, সহ-সম্পাদক ফজলুল বারী, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুল জব্বার এবং সদস্য শাহেদ হোসেন, হেলাল উদ্দিন, রোবায়তুল করিম ও মোহাম্মদ মোরশেদ।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী আইনজীবী মো. আবদুর রশীদ লোকমান বলেন, “নির্বাচনে অংশ নিতে আমরা ফরম নিতে পারিনি। দুপুর ও বিকেলে আমরা দুই দফায় সমিতির লাইব্রেরি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনতে গিয়ে বাধার শিকার হয়েছি।”
বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, “আমরা ২১ জন ফরম নিয়েছি। অন্যরা ফরম না নিলে আমাদের তো কিছু করার নেই। তাদের সৎ সাহস নেই। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় যারা ছাত্র-জনতার ওপর লাঠি নিয়ে হামলা করেছিল, তারা নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ