ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রী আরজুদা করিমের বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়ে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

এর আগে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ১৬ মার্চ ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়ে আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে, যার ওপর আজ শুনানি হয়।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান। ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ১৬ মার্চ স্পেশাল জজ আদালতের দেওয়া আদেশ আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সেদিন হাইকোর্টে আবার শুনানি হবে।

দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং–সংক্রান্ত অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। যে কারণে ওবায়দুল করিম, তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। প্রথমে স্পেশাল জজ আদালত বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন। পরবর্তী সময়ে ওবায়দুল করিম, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে বিদেশে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। এতে ওবায়দুল করিমের চিকিৎসা ও ওমরাহ হজের জন্য এবং এ ক্ষেত্রে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে স্ত্রী ও মেয়ের বিদেশযাত্রার অনুমতি চাওয়া হয়। স্পেশাল জজ ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রীকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে ১৬ মার্চ আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আবেদন করে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়ে স্পেশাল জজ আদালতের আদেশ আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছেন।

ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়ে স্পেশাল জজ আদালতের ১৬ মার্চ দেওয়া আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান দুদকের এই আইনজীবী।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ য ষ ঠ আইনজ ব ১৬ ম র চ

এছাড়াও পড়ুন:

সেই এসপিকে আদালতে হাজির, জেলহাজতে প্রেরণ

নাটোরে স্ত্রীর মামলায় বরখাস্ত পুলিশ সুপার এস এম ফজলুল হককে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এ সময় আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন না করায় ফের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার দুপুরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহ রেঞ্জে সংযুক্ত বরখাস্ত পুলিশ সুপার এস এম ফজলুল হককে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। তাঁর আইনজীবী জামিন শুনানির জন্য আবেদন না করায় তাঁকে আবারও জেলহাজতে পাঠানো হয়। এ সময় দুই মাস পর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ১১ মার্চ স্ত্রী মেহনাজ আক্তারের দায়ের করা নির্যাতন মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন এস এম ফজলুল হক। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীরা ভিডিও ফুটেজ নিতে গেলে ফজলুল হক তাদের ওপর হামলা করেন। হামলার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে আলোচনা-সমলোচনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই স্থানীয় সাংবাদিক কাউছার হাবীব বাদী হয়ে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পুলিশ সুপার এস এম ফজলুল হককে আসামি করে মামলা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শামীম ওসমান পরিবারের ১২৬ কোটি টাকা জালিয়াতি: তদন্তের নির্দেশ
  • শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ
  • কোট-গাউন ছাড়া মামলা পরিচালনার অনুমতি চেয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি
  • নাটোরে সাংবাদিকদের ওপর হামলার মামলায় এসপি ফজলুল হকের জামিন নামঞ্জুর
  • নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি প্রশ্নে রুল
  • নতুন দলের নিবন্ধনে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিত, রুল জারি
  • কাগজে আইনজীবী রাহাত বিল তুলেছেন তাপস
  • বিচার বিভাগের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার তাগিদ প্রধান বিচারপতির
  • সেই এসপিকে আদালতে হাজির, জেলহাজতে প্রেরণ