লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে আবাহনীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। শেষ পর্যন্ত নাজমুল শান্তর সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে জিতেছে আবাহনী। ডিপিএলের ষষ্ঠ রাউন্ডে দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এনামুল হক বিজয় সেঞ্চুরি করে তামিমদের ৬৫ রানে হারিয়েছে। এছাড়া ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাবকে ৫৫ রানে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯২ রান তোলে। ওপেনার তানজিদ ২০ বলে ২৪ রান করেন। তিনে নেমে সৌম্য সরকার ৩১ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন। চারে নামা মাহমুদুল জয় ৫৪ বলে ৫০ রান যোগ করেন। জাকের আলী ৩৫ বলে ৩৫ রান করেন। শেখ মাহেদী ১৯ বলে করেন ২৮ রান। 

তারা বলের সঙ্গে মানানসই রান করলেও ওপেনিংয়ে নামা সাইফ হাসান ধীর গতির ব্যাটিং করেন। ১০৩ বলের মুখোমুখি হয়ে এই ডানহাতি ব্যাটিং অলরাউন্ডার ৬৭ রান যোগ করেন। যে কারণে রান তিনশ’ হয়নি রূপগঞ্জের। জবাবে তিনে নামা নাজমুল শান্ত ১০৮ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথে তুলে নেন। তবে ম্যাচ জিতিয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার মাহফুজুর রাব্বি। তিনি ২৫ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় ৩১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। মুমিনুল ৩২ বলে হার না মানা ৩৫ রান করেন। এর আগে ওপেনার জিসান আলম ৪৬ বলে ৪৩ রান করেন। মিঠুন ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন। ৮ বল থাকতে জয় পায় আবাহনী। 

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রানের বড় পুঁজি পায় গাজী গ্রুপ। সাদিকুর রহমান ৭৫ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। অন্য ওপেনার এনামুল ১৪৩ বলে ১৪৯ রান যোগ করেন। তিনি ১২টি চারের সঙ্গে চারটি ছক্কা মারেন। তোফায়েল আহমেদ ৬০ রান যোগ করেন। 

জবাবে মোহামেডান ২৭১ রানে অলআউট হয়। মোহামেডানের ওপেনার রনি তালুকদার ৯০ বলে ৭৪ রান করেন। তামিম ৩৪ বলে ৪৮ রান করে আউট হন। তাওহীদ হৃদয় ৩৬ ও মুশফিকুর রহিম ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন। এই ম্যাচে মোহামেডানের পেসার তাসকিন ১০ ওভারে ১০৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। 

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক চার ফিফটিতে ৫ উইকেটে ৩০৮ রান তোলে। দলটির হয়ে সাব্বির হোসেন ৭০ বলে ৫০, জাকির হাসান ৮৬ বলে ৬৪, ইরফান শুক্কুর ৫২ বলে ৫৬ ও শামীম পাটোয়ারি ৩৭ বলে ৬২ রান করেন। জবাবে ধানমন্ডি ২৫৩ রানে অলআউট হয়। দলটির হয়ে ফজলে রাব্বি ৭৯ রান করেন। ইয়াসির রাব্বি ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল র ন য গ কর ন র ন র ইন র ন কর ন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

নতুনভাবে শুরু করতে গিয়ে ৯১ রানে অলআউট পাকিস্তান

২.২ ওভারে ১/৩। এরপর ১৮.৪ ওভারে ৯১/১০!

পাকিস্তানের নতুন শুরুর এই দশা! বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নতুন যুগের সূচনা করতে চেয়েছিল পাকিস্তান। সেটা করার পথে প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেল দলটি।  

ক্রাইস্টচার্চে আজ টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে সালমান আগার দল গুটিয়ে গেছে মাত্র ৯১ রানে। যা নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের সর্বনিম্ন। নিউজিল্যান্ড এই রান তাড়া করেছে ৯ উইকেট আর ৫৯ বল হাতে রেখে। তাতে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে কিউইরা।

টি–টোয়েন্টির মেজাজ অনুসারে পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারেন না বলে বাবর ও রিজওয়ানকে নিউজিল্যান্ড সফরের দলে রাখা হয়নি। এই দুজনের জায়গায় আজ ওপেন করেন মোহাম্মদ হারিস ও অভিষিক্ত হাসান নওয়াজ। তিন নম্বরে উইকেটে আসেন অধিনায়ক সালমান।

নতুন রূপের এই ব্যাটিং লাইনআপ শুরুতেই কাইল জেমিসন ও জ্যাকব ডাফির তোপের মুখে পড়ে। প্রথম ২.২ ওভারে ১ রান তুলতেই যায় ৩ উইকেট। দুই ওপেনারই ফিরেছেন শূন্য হাতে। পাওয়ার প্লেতে উঠেছে ৪ উইকেটে ১৪ রান।

অধিনায়ক সালমান খেলেন ওয়ানডে মেজাজে ২০ বলে ১৮ রানের ইনিংস। অবশ্য তিনি আর কী করতে পারতেন! যেভাবে অন্য প্রান্ত থেকে একের পর উইকেট পড়েছে, তাতে ধরে খেলার চেষ্টাকেই যথাযথ মনে করেছেন তিনি। সেটিও টিকেছে ২০ বল পর্যন্ত।

রান করেছেন শুধু খুশদিল শাহ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের সেরা পারফর্মার খুশদিল আজ করেছেন ৩০ বলে ৩২। তাঁর এই ইনিংস ও জাহানদাদ খানের ১৭ রানের ইনিংসে ভর করে কোনোমতে ১০০ রানের কাছাকাছি পৌঁছায় পাকিস্তান। ডাফি উইকেট নিয়েছেন ১৪ রানে ৪টি, জেমিসন ৮ রানে ৩টি।

এত ছোট পুঁজি নিয়ে আর যা–ই হোক নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব নয়! আইপিএলে কারণে বড় তারকারা এই সিরিজটি না খেললেও নিউজিল্যান্ড দলে ফিন অ্যালেন ও টিম সাইফার্ট, মার্ক চ্যাপম্যানের মতো পরীক্ষিত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার আছেন। নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার সাইফার্ট ও অ্যালেন ৫.৫ ওভারে ৫৩ রান তুলে ফেলেন। এরপর সাইফার্ট ৪৪ রান করে ফিরলেও অ্যালেন ১৭ বলে ২৯ রানে রানে অপরাজিত থাকেন। সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি ১৮ মার্চ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ১৮.৪ ওভারে ৯১ (খুশদিল ৩২, জাহানদাদ ১৭; ডাফি ৪/১৪, জেমিসন ৩/৮)।
নিউজিল্যান্ড: ১০.১ ওভারে ৯২/১ (সাইফার্ট ৪৪, অ্যালেন ২৯*; আবরার ১/১৫)।
ফল: নিউজিল্যান্ড ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: কাইল জেমিসন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নুরুল–সাদমানের সেঞ্চুরি, জিতেছে তাঁদের দল ধানমন্ডি ও অগ্রণী ব্যাংকও
  • ৯১ রানে অলআউট হয়ে ৯ উইকেটে হারল পাকিস্তান
  • নতুনভাবে শুরু করতে গিয়ে ৯১ রানে অলআউট পাকিস্তান