বগুড়ায় বাদীর টাকা কেড়ে নেওয়া সেই এসআই প্রত্যাহার
Published: 18th, March 2025 GMT
বগুড়া সদর থানায় মামলা করতে আসা নারীর কাছ থেকে টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান (প্রশাসন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানা থেকে এসআই জাহিদ হাসানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। থানা থেকে প্রতিবেদন পেলে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, মা ও বোনকে মারধরের ঘটনায় আফছানা জাহান ১৬ মার্চ মামলা করতে বগুড়া সদর থানায় যান। থানার ডিউটি অফিসার এসআই জাহিদ মামলার খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। এত টাকা নেই বলার একপর্যায় তার হাতে থাকা তিন হাজার টাকা কেড়ে নেন এসআই। এছাড়া আরও সাত হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলেন তিনি।
আফসানা সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় বসে থেকে পরে বাড়ি ফিরে যান। মামলা রেকর্ড না হওয়ায় পর দিন সোমবার আবারও থানায় যান তিনি। বিষয়টি থানার ওসিকে জানালে জাহিদ তিন হাজার টাকা ফেরত দেন এবং মামলা রেকর্ড করেন।
আফছানা বলেন, ‘১১ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের হাড্ডিপট্টি এলাকায় মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করায় তার মা শাহানা পারভিনকে মারধর করে একদল মাদক কারবারী। এ সময় ছোট বোন আরিফা রিকশায় ওই পথে অফিসে যাওয়ার সময় তার মাকে মারধর করতে দেখে উদ্ধার করতে যান। তখন তাকেও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা দুজনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তারা চিকিৎসাধীন থাকায় তিনি রোববার বিকেল ৩টার দিকে মামলা করতে বগুড়া সদর থানায় যান।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতা পরিচয়ে হামলা, লুটপাট ও নির্যাতনের অভিযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি পরিচয়ে নেতা জমির মালিকানা দাবি করে জোরপূর্বক জমি দখল, হামলা, লুটপাট ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকাল ১০টার সময়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন কদমতলী ক্যানেলপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী আকলিমা আক্তার ডলি। অভিযোগের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মাহবুব তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টার দিকে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি পাগলাবাড়ি এলাকার কথিত বিএনপি নেতা ইলিয়াস ও জয়নালের নেতৃত্বে ৭০-৮০ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, রামদা ও চাপাতি নিয়ে, জমির মালিকানা দাবি করে বিভিন্ন বাড়িঘরে হামলা করে, এক ভুক্তভোগীর জমির সীমানা প্রাচীন ভাঙচুর করে এবং দখল করার উদ্দেশ্যে কয়েকটি সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেয়।
এসময় বাড়িওয়ালারা তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা ভুক্তভোগীদের উপর হামলা, নারীদের শ্লীলতাহানি, স্বর্ণালংকার লুট ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় ঘটনাস্থলের সামনে স্থাপিত আল জাকির মাদ্রাসার সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙ্গচুর করা হয়। যেখানে ধরা পরেছিল অভিযুক্তদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কিছু চিত্র।
এদিকে এবিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হামলা, লুটপাট ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ তোলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগকারী খাদিজা ও আসমা আক্তার জানান, তাদের সম্পদের ক্ষতি সাধন কালে তারা বাঁধা দিতে গেলে, ১৫-২০ জন যুবক তাদের উপর হামলা করে এবং তাদের গলাচিপে ধরে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় তাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
অপর এক ভুক্তভোগী সাবেক পুলিশ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আক্ষেপ নিয়ে বলেন, আমি ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে আমাদের উপর হামলার বিষয়ে জানিয়ে সাহায্য চাইলেও আমাদের সাহায্যে এখন পর্যন্ত কোন পুলিশ সদস্য আসেনি। তাই বাধ্য হয়ে এখন থানায় এসে অভিযোগ দিলাম।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার আংশিক সত্যতা স্বীকার করে জানান, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে ভুক্তভোগী বাড়িওয়ালাদের বাকবিতন্ডা হয়েছে এবং অভিযোগকারীর একটি দোকানের তালা খুলেছিল বসার জন্য, পরে এসআই মাহবুবের নেতৃত্বেই সেই তালা পুনরায় ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
এছাড়া নারী নির্যাতন, স্বর্ণালংকার লুট, ও সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙ্গচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।