পুরান ঢাকায় অবস্থিত ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিদের রাখার জন্য হাজতখানায় তিনটি বড় আকারের কক্ষ রয়েছে। কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে আদালত চত্বরে আনার পর আসামিদের রাখা হয় ওই হাজতখানায়।

হাজতখানার ভেতর আসামিদের বসার জন্য রয়েছে মাদুর। আসামিরা মাদুরে বসে থাকেন। যখন আদালত থেকে আসামিদের এজলাসকক্ষে তোলার নির্দেশনা আসে, তখন হাজতখানার পুলিশ সেই আসামিকে আদালতে তুলে থাকেন।

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে করা দুদকের মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল আজ সোমবার।একই সঙ্গে সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর চৌধুরীকেও দুর্নীতির মামলায় হাজির করার দিন ধার্য ছিল।

ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৯টা। একটি প্রিজন ভ্যান এসে থামে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্বরে। প্রিজন ভ্যানের ভেতরে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। হাজতখানার পুলিশ সদস্যরা কামরুল ইসলাম ও এস কে সুর চৌধুরীর দুই হাতেই হাতকড়া পরিয়ে দেন। পরে তাঁদের প্রিজন ভ্যানের সামনে থেকে হাঁটিয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর প্রায় পাঁচ ঘণ্টা হাজতখানায় রাখা হয় এই দুই আসামিকে। সেখানে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সবিস্তার জানা যায় সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে।

তখন সকাল ৯টা ১৫ মিনিট। হাজতখানার ভেতর মেঝেতে মাদুর বিছানো। সেখানে বসে পড়েন কামরুল ইসলাম ও এস কে সুর চৌধুরী। বেলা ২টা পর্যন্ত ওই মাদুরে বসে ছিলেন তাঁরা।

সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছে। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প র জন ভ য ন হ জতখ ন র মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা, ৪ মাদক কারবারি ছিনতাই

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলার কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালিয়ে চার মাদক কারবারিকে ছিনিয়ে নিয়েছে সহযোগী মাদক কারবারিরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 
এ ঘটনার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাদক 
কারবারি সেলিম কসাইয়ের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও দেশি অস্ত্র জব্দ করে। তবে ছিনিয়ে নেওয়া মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি তারা। 
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক রিফাত হোসেন জানান, তাঁর নেতৃত্বে একটি দল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মাসদাইর রোকেয়া খন্দকার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিপরীত দিকের গলিতে রাসেল মাস্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী কসাই সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। ঘটনাস্থল থেকে মাদক কারবারি কসাই সেলিম, রাসেল, পোড়া কাকন ও শাওনকে আটক করা হয়। এ সময় মাদক কারবারি কসাই সেলিমের সহযোগী ২০ থেকে ২৫ জন মিলে অভিযানে যাওয়া মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দলকে ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে মাদক কারবারিরা হামলা চালিয়ে আটক চার মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরপরই জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোনাব্বর হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবি ও জেলা পুলিশ ফের অভিযান চালায়। তারা ২০ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ১ হাজার ৭০০ পিস ইয়াবা, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ১৪ বোতল ফেনসিডিল, হেরোইন, চাপাতি, ছুরি, সুইস গিয়ার চাকুসহ দেশি অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোনাব্বর হোসেন জানান, জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি। মাদক কারবারিরা হামলা চালিয়ে চার মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ