পাবনায় একটি মাদ্রাসা থেকে চার শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। অপহরণের কয়েক ঘণ্টা পর সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসার পরিচালক সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

মাদ্রাসার পরিচালক আল-আমিন জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে পাবনা মধ্য শহরের চক পৌলানপুর মাঠপাড়ার হজরত ওসমান গনি (রা.

) হাফিজিয়া মাদ্রাসার সামনে ছেলেরা নামাজ পড়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। ওই সময় চারটি মোটরসাইকেলে করে ৮ থেকে ১০ জন যুবক এসে তাদের ধাওয়া দেয়। শিক্ষার্থীরা দিগ্বিদিক দৌড়ে পালিয়ে গেলেও সাজিম, জিহাদ, ইকন ও রামিমকে ধরে ফেলে সন্ত্রাসীরা। তাদের সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের কামাল উদ্দিন ছাত্রাবাসের মাঠে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আবার কলেজের বাংলা বিভাগের পেছনের একটি পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। শিক্ষার্থীদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা চার শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে তারা। 

মাদ্রাসার পরিচালক আল-আমিন আরও জানান, রাতেই অজ্ঞাতপরিচয় ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। কারা কী কারণে শিক্ষার্থীদের অপহরণ করে মারধর করল, তিনি বলতে পারেননি। তিনি এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করার দাবি জানান।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন অপহরণ ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

মডেল মেঘনা আলম কেন নিরাপত্তা হেফাজতে, জানাল পুলিশ

মডেল মেঘনা আলমকে অপহরণের যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)। তাঁকে গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার কারণ জানিয়ে শুক্রবার গণমাধ্যমে একটি বার্তা পাঠিয়েছে ডিএমপি।

এতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্ক মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মেঘনা আলমকে সকল আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁকে অপহরণ করার অভিযোগ সঠিক নয়। আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার তাঁর রয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে মেঘনা আলমের লাইভ চলার মধ্যেই তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী বাসার ‘দরজা ভেঙে’ পুলিশ পরিচয়ধারীরা ভেতরে প্রবেশের পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা লাইভটি এরপর ডিলিটও হয়ে যায়। ওই দিন রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাসা থেকে তাঁকে আটকের পর কারাগারে পাঠানো হয়। মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী এ মডেলকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার রাতে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন। শুক্রবার আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিটেনশন আইনে সরকার কোনো ব্যক্তিকে আদালতের আনুষ্ঠানিক বিচার ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক বা বন্দি করতে পারে। এ ধরনের আইন সাধারণত জননিরাপত্তা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে প্রয়োগ করা হয়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১০টায় মেঘনা আলমকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। পরে ডিবি পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতের আদেশের বরাতে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২ (এফ) ধারায় জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ক্ষতিকর কাজ থেকে বিরত করার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আটকাদেশ স্বাক্ষরের দিন থেকে ৩০ দিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেওয়া হয়। পরে তাঁকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। 

তাকে আটকের বিষয়ে ভাটারা থানার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বুধবার মেঘনা আলমকে আটকের জন্য বসুন্ধরা এলাকায় এসেছিলেন। সঙ্গে ভাটারা থানার পুলিশ সদস্যরাও ছিলেন। প্রথমে তিনি দরজা খুলতে চাননি। পরে তাকে আটক করে মিন্টো রোডে নিয়ে যাওয়া হয়।

মডেল ও মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মেঘনা আলম ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্কুলছাত্রী অপহরণের মামলা করায় পরিবারকে হুমকি
  • মডেল মেঘনা আলম কেন নিরাপত্তা হেফাজতে, জানাল পুলিশ