শামীম ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকা ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে বিটিআরসি ও সিআইডিকে তদন্ত করে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইেকার্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। আদালেত আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির।

গত ১৪ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘জালিয়াতিতে ওসমান পরিবার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সম্প্রতি ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সাখাওয়াত হোসেন নামের এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে অভিযোগ তদন্তের আদেশ দেন হাইকোর্ট।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কে টেলিকমের’ কাছে বিটিআরসির পাওনা ১২৬ কোটি টাকার বেশি। কে টেলিকমের মালিক ছিল নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পরিবার। শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান ও ছেলে ইমতিনান ওসমানের নামে ২০১২ সালে ১৫ বছরের জন্য কে টেলিকমের লাইসেন্স নেওয়া হয়।

নথিপত্রের বরাতে খবরে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট ওসমান পরিবার কে টেলিকমের মালিকানা সাখাওয়াত হোসেন, সিলেটের স্কুলশিক্ষক দেবব্রত চৌধুরী ও বগুড়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী রাকিবুল ইসলামের নামে হস্তান্তর করে। বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকা ফাঁকি দিতে এ তিনজনকে মালিক সাজানো হয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ম ম ওসম ন ট ল কম র ১২৬ ক ট ব ট আরস তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পবিত্র রমজান মাসে গাজায় ইসরাইলের ভয়াবহ বিমান হামলায় চার শতাধিক ফিলিস্তিনির শাহাদাতের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রজনতা।

তারা ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় মুসলিম দেশগুলোকে গাজায় সেনা পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুসহ সকল ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধী নেতাকে গ্রেপ্তার করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এক বিক্ষোভ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

বিক্ষোভের আয়োজন করে ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও মিত্র দলগুলো নিষিদ্ধের দাবিতে ৩৪ দিন ধরে গণঅবস্থানকারী ছাত্রজনতা।

বিক্ষোভ থেকে ‘রমজানে হামলা কেন, নেতানিয়াহু জবাব দাও’ ‘যুদ্ধবিরতিতে হামলা কেন, ইসরাইল জবাব দাও’ ‘গাজায় হামলা কেন, আমেরিকা জবাব দাও’ ‘বিশ্ববাসী এক হও, গাজা দখল রুখে দাও’ ‘ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, ইসরাইল নিপাত যাক’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়।

এ সময় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শিল্পী সাইয়েদ কুতুব বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি চুক্তি করিয়ে ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজার লোকালয়ে জড়ো করেছিলেন। পবিত্র রমজান মাসে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গতকাল রাতে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস ও রাফাহ, উত্তরে গাজা সিটি ও দেইর এল-বালাহ এলাকাজুড়ে তাদের ওপর ভয়াবহ গণহত্যা চালানো হয়েছে।

অসহায় ফিলিস্তিনিদের পাশে বিশ্ববাসীকে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গাজায় শুধু মুসলমানেরা আক্রান্ত হয়েছে মনে করবেন না। মূলত বিশ্বমানবতাই আজ ঔপনিবেশিক হানাদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শিকার।

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজাবাসীর ওপর পরিচালিত নির্মম গণহত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

ছাত্রজনতার গণঅবস্থানের সংগঠক ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, ইসরাইল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গণহত্যা শুরু করেছে। এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষিত গাজা দখল পরিকল্পনারই অংশ। এ অবস্থায় আমরা বিশ্বের সকল মুসলমানকে গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় সদস্য তামিম আনোয়ার ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম নূর শাফায়েতুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সদস্য কাজী আশিক প্রমুখ।

ঢাকা/সৌরভ/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ