গাজীপুর মহানগরীর তারগাছ এলাকায় আজ মঙ্গলবার বিকেলে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত শ্রমিকেরা এক ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।

কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ জানায়, তারগাছ এলাকার সিগনেচার অ্যাপারেলস নামের পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনের দাবিতে বেলা তিনটা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। পুলিশ তাঁদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেন। শ্রমিকেরা মহাসড়ক ছেড়ে দিলে প্রায় এক ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরে শ্রমিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়, ২২ মার্চ কারখানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করবে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো.

মেজবাহ উদ্দিন জানান, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে এক ঘণ্টার মতো মহাসড়ক বন্ধ ছিল।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মাইক্রোবাস চাপায় নারী শ্রমিকের মৃত্যু, প্রতিবাদে দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ২০ 

গাজীপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় সাবিনা আক্তার নামে এক নারী শ্রমিক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ও শ্রমিকদের মধ্যে দফায় সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন। আহতদের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য, অন্যরা শ্রমিক। সোমবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকা এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাবিনা আক্তার ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার খালসাইদ ফুনা গ্রামের বাসিন্দা রাব্বির স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, ইফতারের পর ‌‘গোল্ডেন রিপিট’ কারখানার শ্রমিক সাবিনা বাসা থেকে ইফতার শেষে কারখানার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মহাসড়ক পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা প্রথমে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়। 

নারী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সহকর্মী শ্রমিক ও স্থানীয়রা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিক ও জনতা কারখানায় ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়।

সংঘর্ষের সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা মহাসড়কে ব্যাপক গাড়ি ভাঙচুর চালায়। এতে অনেক যাত্রী আহত হয়। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগ দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, শ্রমিক নিয়ন্ত্রণের সময় বহিরাগতরা সুযোগ নিয়ে কারখানায় ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। পুলিশ বাধা দিলে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বকেয়ার বেতন ও ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরে দুটি কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ
  • গাজীপুরে দুই কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ
  • নির্মাণে অনিয়মের প্রতিবাদ জনতার পালালেন ঠিকাদার
  • গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী শ্রমিক নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ১০
  • মাইক্রোবাস চাপায় নারী শ্রমিকের মৃত্যু, প্রতিবাদে দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ২০ 
  • সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
  • ঘুমন্ত স্ত্রীর পায়ের রগ কেটে হাত-পা থেঁতলে দিয়েছেন স্বামী
  • সাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা হত্যা: এমপি ও এসপির বিরুদ্ধে মামলা
  • বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে সাবেক শ্বশুরের কবজি কাটার অভিযোগ