বব উলমারের মৃত্যু এখনো চোখ ভিজিয়ে দেয়
Published: 18th, March 2025 GMT
২০০৭ সালের ১৮ মার্চ এ পৃথিবী ছেড়ে গিয়েছিলেন ক্রিকেটের প্রথম ‘ল্যাপটপ কোচ’ হিসেবে খ্যাত বব উলমার। মৃত্যবার্ষিকীতে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা উৎপল শুভ্রের
বব উলমারের মৃত্যুসংবাদটা কখন, কোথায়, কীভাবে পেয়েছিলাম, এখনো তা স্পষ্ট মনে করতে পারি। সেই মৃত্যু এত আলোচিত যে কাউকেই বোধ হয় এটা করিয়ে দেওয়ার দরকার নেই, উলমার মারা গিয়েছিলেন ২০০৭ বিশ্বকাপের সময়। উলমারের জীবনের অজানা শেষ অধ্যায়টা জ্যামাইকার কিংস্টনে। বিশ্বকাপ কাভার করতে যাওয়া আমি তখন ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেনে।
পোর্ট অব স্পেনে বাংলাদেশের বেশির ভাগ সাংবাদিকের ঠিকানা ছিল পাহাড়ের ওপর এক হোটেল। নাম অ্যালিসিয়া প্যালেস। যদিও মোটেই ‘প্যালেস’ জাতীয় কিছু নয়, মাঝারি মানের এক হোটেল। তবে সেই হোটেলে সুন্দর একটা জায়গা ছিল। খোলা চাতালমতো সেই জায়গাটায় চেয়ার-টেবিল বসানো। বেশির ভাগ সময় ওখানে বসেই লিখতাম। সেই সকালেও লিখতে লিখতেই খবরটা পেয়েছিলাম। আগের দিন বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপে মহা হইচই ফেলে দিয়েছে। সেই বীরত্বগাথা লিখছি। গায়ে ফুরফুরে হাওয়া লাগছে। বইছে মনেও। হঠাৎই বাংলাদেশের এক বন্ধু সাংবাদিক এসে ভয়াবহ দুঃসংবাদটা দিল। বব উলমার নাকি মারা গেছেন!
আরও পড়ুনএকাই ৪০৪ রান করল মোস্তাকিম, ২২ ছক্কার সঙ্গে ৫০ চার১ ঘণ্টা আগেপ্রথমে একটু বিরক্তই হয়েছিলাম, এটা আবার কেমন ফাজলামি! ফাজলামি যে নয়, ইন্টারনেটে সার্চ দিতেই তা পরিষ্কার হয়ে গেল। দুই দিন আগে যেখানে বসে মানজারুল ইসলাম রানার মৃত্যুসংবাদ পেয়েছিলাম, উলমারের চলে যাওয়ার খবরটাও পেলাম সেখানে বসেই। রানার চিরবিদায় কাঁদিয়েছিল আর হতভম্ব করে দিয়েছিল উলমারেরটা। রানার অকালমৃত্যুটার শোক ছুঁয়েছিল শুধুই বাংলাদেশের খেলোয়াড়–সাংবাদিকদের। যেখানে বব উলমারের মৃত্যু বিশ্বকাপ তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটকেই ঢেকে দিয়েছিল শোকের চাদরে।
বব উলমারকে শ্রদ্ধাঞ্জলি ইনজামাম-উল-হকের.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বব উলমারের মৃত্যু এখনো চোখ ভিজিয়ে দেয়
২০০৭ সালের ১৮ মার্চ এ পৃথিবী ছেড়ে গিয়েছিলেন ক্রিকেটের প্রথম ‘ল্যাপটপ কোচ’ হিসেবে খ্যাত বব উলমার। মৃত্যবার্ষিকীতে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা উৎপল শুভ্রের
বব উলমারের মৃত্যুসংবাদটা কখন, কোথায়, কীভাবে পেয়েছিলাম, এখনো তা স্পষ্ট মনে করতে পারি। সেই মৃত্যু এত আলোচিত যে কাউকেই বোধ হয় এটা করিয়ে দেওয়ার দরকার নেই, উলমার মারা গিয়েছিলেন ২০০৭ বিশ্বকাপের সময়। উলমারের জীবনের অজানা শেষ অধ্যায়টা জ্যামাইকার কিংস্টনে। বিশ্বকাপ কাভার করতে যাওয়া আমি তখন ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেনে।
পোর্ট অব স্পেনে বাংলাদেশের বেশির ভাগ সাংবাদিকের ঠিকানা ছিল পাহাড়ের ওপর এক হোটেল। নাম অ্যালিসিয়া প্যালেস। যদিও মোটেই ‘প্যালেস’ জাতীয় কিছু নয়, মাঝারি মানের এক হোটেল। তবে সেই হোটেলে সুন্দর একটা জায়গা ছিল। খোলা চাতালমতো সেই জায়গাটায় চেয়ার-টেবিল বসানো। বেশির ভাগ সময় ওখানে বসেই লিখতাম। সেই সকালেও লিখতে লিখতেই খবরটা পেয়েছিলাম। আগের দিন বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপে মহা হইচই ফেলে দিয়েছে। সেই বীরত্বগাথা লিখছি। গায়ে ফুরফুরে হাওয়া লাগছে। বইছে মনেও। হঠাৎই বাংলাদেশের এক বন্ধু সাংবাদিক এসে ভয়াবহ দুঃসংবাদটা দিল। বব উলমার নাকি মারা গেছেন!
আরও পড়ুনএকাই ৪০৪ রান করল মোস্তাকিম, ২২ ছক্কার সঙ্গে ৫০ চার১ ঘণ্টা আগেপ্রথমে একটু বিরক্তই হয়েছিলাম, এটা আবার কেমন ফাজলামি! ফাজলামি যে নয়, ইন্টারনেটে সার্চ দিতেই তা পরিষ্কার হয়ে গেল। দুই দিন আগে যেখানে বসে মানজারুল ইসলাম রানার মৃত্যুসংবাদ পেয়েছিলাম, উলমারের চলে যাওয়ার খবরটাও পেলাম সেখানে বসেই। রানার চিরবিদায় কাঁদিয়েছিল আর হতভম্ব করে দিয়েছিল উলমারেরটা। রানার অকালমৃত্যুটার শোক ছুঁয়েছিল শুধুই বাংলাদেশের খেলোয়াড়–সাংবাদিকদের। যেখানে বব উলমারের মৃত্যু বিশ্বকাপ তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটকেই ঢেকে দিয়েছিল শোকের চাদরে।
বব উলমারকে শ্রদ্ধাঞ্জলি ইনজামাম-উল-হকের