ঢাকা শহরের কথা ভাবলে মনে পড়ে, একটি শহুরে শিশুর অলিগলিতে ছুটে বেড়ানো শৈশব। সকালবেলা সাইকেলের প্যাডেলে দৈনিক পত্রিকা বিলানো অথবা মুরগি-সবজি বেচার জন্য দূর থেকে ভেসে আসা হাঁক। ধীরে ধীরে শৈশব পেরিয়ে কৈশোর, কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পৌঁছাতেই ঢাকা হয়ে উঠল কাঠখোট্টা। ট্রাফিকের ক্যাকোফোনি, ভ্যাপসা গরম, উঁচু উঁচু অপরিকল্পিত দালান, ধুলাবালু আরও কত কী একে একে ভিড় করতে লাগল ঢাকায়। উন্নত জীবনের খোঁজে আসা মানুষের ঢল ঠেকাতে কত রকমের পরিকল্পনা, চেষ্টা। কিন্তু অনিয়মের বেড়াজালে গড়ে ওঠা গোটা শহরটাকে তো বদলানো সহজ কথা নয়।

তারপর নতুন নকশা ও পরিকল্পনা নিয়ে হাজির হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তারা এক ‘ফিউচারিস্টিক সিটি’ নির্মাণের নকশা উপস্থাপন করে, যেটি কিনা হবে ভবিষ্যতের স্মার্ট ঢাকা, নাম ‘জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প’। আর এই স্মার্ট উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রায় চার দশকের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান শেলটেক (প্রা.

) লিমিটেড।

১৬০টির বেশি অ্যাপার্টমেন্টের নির্মাণকাজ শুরু করেছে শেলটেক (প্রা.) লিমিটেড

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বরফঠান্ডা পানিতে একসঙ্গে ২৪৬১ মানুষের গোসল

প্রচণ্ড শীতে জলাশয়ের প্রায় বরফঠান্ডা পানিতে গোসল করার কথা শুনলে অনেকেই পিছিয়ে যাবেন। তবে চেক প্রজাতন্ত্রের ২ হাজার ৪৬১ জন একসঙ্গে এই কঠিন কাজ করে দেখিয়েছেন। ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রার পানিতে গোসল করেছেন তাঁরা। যেটাকে বলা হয় ‘পোলার বিয়ার ডিপ’।

‘সাহসী’ এই কাজের লক্ষ্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখানো। চেক প্রজাতন্ত্রের দ্বিতীয় বৃহৎ হ্রদ মোস্ট লেকে গত ১ মার্চ ওই গোসলের আয়োজন করা হয়।

ওই আয়োজনের উদ্যোক্তা ডেভিড ভেনকল। তিনি একজন ফ্রিডাইভার। ‘কোল্ড থেরাপি’ পরামর্শক হিসেবেও চেক প্রজাতন্ত্রে তাঁর নামডাক আছে।

সাঁতারের পোশাকে ঠান্ডা পানিতে নেমে ‘পোলার বিয়ার ডিপ’ করতে হয়। অনেক দেশেই এ ধরনের আয়োজন করা হয়। সাধারণত দাতব্যকাজের জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে কিংবা নতুন বছরের প্রথম দিন উদ্‌যাপন করতে এমন আয়োজন করা হয়।

আগে ‘পোলার বিয়ার ডিপ’-এর রেকর্ড ছিল পোল্যান্ডের একটি দলের। ২০১৫ সালে পোল্যান্ডের ১ হাজার ৭৯৯ জনের একটি দল ঠান্ডা পানিতে গোসল করে ওই রেকর্ড গড়েছিল।

ভেনকলের অবশ্য এটাই প্রথম রেকর্ড গড়ার উদ্যোগ নয়। এর আগে তিনি কোনো ধরনের পাখনা ও ডাইভিং স্যুট ছাড়া বরফপানির নিচে সবচেয়ে বেশি সময় সাঁতার কাটার রেকর্ড গড়েছিলেন। ২০২১ সালে তিনি ওই রেকর্ড গড়েন এবং চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ওই রেকর্ডের মালিক ছিলেন।

‘কোল্ড থেরাপি’ শরীর ও মনের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভালো, তা দেখাতে ২ হাজার ৪৬১ জনকে নিয়ে বরফঠান্ডা পানিতে গোসলের আয়োজন করা হয়েছিল।

গোসলের দিন সকালে অংশগ্রহণকারীরা নাম নিবন্ধন করেন এবং বিকেলে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রার পানিতে নেমে গোসল করেন।

গোসলে অংশ নেওয়ার আগে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর সঙ্গে কথা বলেছেন কোল্ড থেরাপি বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার জন্য ঠান্ডা পানিতে গোসলে নামার আগে বেশ কিছু পরামর্শ দেন।

প্রথমে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা পানিতে নামেন। রেকর্ড গড়তে সব অংশগ্রহণকারীকে অন্তত এক মিনিট পানিতে সম্পূর্ণ শরীর ডুবিয়ে রাখতে হয়েছে। সফলভাবে এক মিনিট পার করার পর নতুন রেকর্ড গড়ার উল্লাসে চিৎকার করে ওঠেন অংশগ্রহণকারীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ