সাব্বির-জাকিরের ফিফটির পর শামীম-শুক্কুর ঝড়ে প্রাইমের দারুণ জয়
Published: 18th, March 2025 GMT
চার ফিফটিতে ভর করে স্কোরবোর্ডে পাহাড়সম রানের পুঁজি গড়েছিল প্রাইমব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। সাব্বির হোসেন, জাকির হাসান, ইরফান শুক্কুরের ফিফটির পর শেষে শামীম হোসেন পাটোয়ারির ঝড়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ক্লাবটি। তা আর টপকাতে পারেনি ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ৩০৮ রান করে প্রাইম ব্যাংক। তাড়া করতে নেমে ধানমন্ডি ২৫৩ রানে থামে। ৫৫ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রাইম ব্যাংক। ষষ্ঠ ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের এটি তৃতীয় জয়। সমান ম্যাচে ধানমন্ডির এটি তৃতীয় হার।
তাড়া করতে নেমে ৩২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ধানমন্ডি। হাল ধরেন ফজলে রাব্বি-ইয়াসির আলী চৌধুরী। দুজনে ধাক্কা সামলে খেলতে থাকেন। ফিফটি থেকে চার রান দূরে থেকে ইয়াসির আলী আউট হলে ভাঙে ১০৭ রানের জুটি। ৬৯ বলে ধীরগতির ফিফটি তুলে নেন ফজলে।
আরো পড়ুন:
রানে ফিরে শান্তর সেঞ্চুরি, জিতে টেবিল টপার আবাহনী
১০৭ রান দিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলিংয়ের রেকর্ড তাসকিনের
৫৬ বলে ৪৬ রান করেন ইয়াসির। তার আউটের পর ধস নামে ধানমন্ডির ব্যাটিংয়ে। এক প্রান্তে ফজলে আকড়ে ধরে থাকেন। ইয়াসির রাব্বির আউটের পর নুরুল হাসান (৮), মঈন খান (৭) জিয়াউর রহমান (১৭) রানে ফিরলে বিপদে পড়ে ধানমন্ডি। জিয়াউর ফিরলে আনামুল হক আনামকে নিয়ে এগোতে থাকেন ফজলে। আনাম ৫ রানে বিদায় নেন। এরপর আউট হন ফজলে রাব্বিও। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৭৯ রান। ১০৪ বলে এই রান করেন তিনি। শেষ দিকে ৩৭ রান করে জয়ের ব্যবধান কমান সানজামুল ইসলাম। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে হাসান-আরাফত সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ঝড়ো শুরু করে প্রাইম ব্যাংক। ১৮ বলে ৩৭ রানে নাঈম শেখ আউট হলে ভাঙে ৬০ রানের জুটি। নাঈম ফিফটি না পেলেও আরেক ওপেনার সাব্বির সাজঘরে ফেরেন বরাবর ৫০ রান করেই। ৭০ বলে ৫০ রান করেন তিনি।
তিনে নামা জাকির হাসানও দেখা পেয়েছেন ফিফটির। ৬২ বলে ফিফটির পর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ৬৪ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর শাহাদাত দিপু ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ১৪ রানে ফেরেন। দিপুর পর আব্দুল্লাহ আল মামুন ৭ রানে ফিরলে হাল ধরেন শুক্কুর-শামীম।
দুজনে ৮৭ বলে ৯৬ রানের জুটি গড়েন। ফিফটি তুলে নেন দুজনেই। মাত্র ৩১ বলে ফিফটি হাঁকানো শামীম অপরাজিত থাকেন ৬২ রানে। আর ৫০ বলে ফিফটি করা শুক্কুর ৫৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ধানমন্ডির হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মঈন খান।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ধ নমন ড র ন কর ন ফজল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
কী দেখে ৬০ বছর বয়সি আমিরের প্রেমে পড়েছেন, জানালেন গৌরী
গত ১৪ মার্চ নিজের ৬০ তম জন্মদিনের বিশেষ চমক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন নতুন প্রেমিকার সঙ্গে। যার সঙ্গে বলিউডের অন্দরে ভেসে বেড়াচ্ছে আমির খানের বিয়ের গুঞ্জন। তবে আমিরের নতুন প্রেমিকার নাম গৌরী স্প্র্যাট।
বলিউডের সঙ্গে গৌরীর কোনও যোগ নেই। আমিরের মাত্র দু’টি ছবি দেখেছেন তিনি। তবুও কীভাবে অভিনেতার প্রেমে পড়লেন?
জানা গেছে, এই জুটির প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল ২৫ বছর আগে। তারপরে আর যোগাযোগ ছিল না। তবে দুই বছর আগে আবারও দেখা হয় দু’জনের।
আমির বলেছেন, ‘এমন কাউকে খুঁজছিলাম, যার সঙ্গে থেকে একটু শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়। ঠিক সেই সময়েই গৌরীর সঙ্গে দেখা। একজন ভদ্র, নরম মনের যত্নশীল মানুষকে চাইতাম আমি।’
এটা শুনেই পাশ থেকে সঙ্গে সঙ্গে আমির খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘এই গুণগুলো চাইতে। আর শেষে আমাকে খুঁজে পেলে তুমি?’ দুজনেই এরপর হেসে ওঠেন।
মুম্বাইয়ে আমির তার বাড়িতে গৌরীকে তার দুই তারকা বন্ধু শাহরুখ খান ও সালামান খানের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অভিনেতা।
সাংবাদিকদের আমির বলেন, ‘এখন আর লুকোচুরির কিছু নেই। কাল যদি গৌরীর সঙ্গে কোথায় কফি খেতে যাই, আপনারাও আমাদের সঙ্গে আসতে পারেন। ’
গৌরীর সঙ্গে বিয়ে নিয়ে আমির খান বলেন, ‘আমি জানি না ৬০ বছর বয়সে বিয়ে করাটা শোভা পায় কী না। তবে গৌরীকে নিয়ে আমার বাচ্চারা খুশি। এবং আমি ভাগ্যবান যে আমার সাবেক স্ত্রীদের সঙ্গে গৌরীর ভালো সম্পর্ক দাঁড়িয়েছে। ’
আমির প্রথম বিয়ে করেছিলেন ১৯৮৬ সালে রীনা দত্তকে, তখনো তিনি অভিনয়ে আসেননি। ওই সংসারে আমিরের দুই ছেলে মেয়ে ইরা খান ও জুনাইদ খান। ২০০২ সালের ডিসেম্বরে আমির-রীনার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর ২০০৫ সালে চিত্রপরিচালক কিরণ রাওকে বিয়ে করেন আমির খান। এই দম্পতির ছেলে আজাদ খান। ২০২১ সালের জুলাইয়ে আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে আমির-কিরণ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন।