ফাহমিদুলকে বাদ দেওয়ায় বাফুফেতে ভক্তদের বিক্ষোভ
Published: 18th, March 2025 GMT
ইতালির সিরি ‘ডি’তে খেলা প্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলাম ভারত ম্যাচের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছিলেন। সৌদি আরবের ক্যাম্পে যোগ দিতে ইতালি থেকে উড়ে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে মূল দলে না রাখায় ইতালি ফিরে গেছেন তিনি।
ফাহমিদুলকে বাদ দেওয়ায় বাংলাদেশ ফুটবলের ভক্তরা নাখোস হয়েছেন। বাংলাদেশ ফুটবল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলে এবং সিন্ডিকেটের কারণে ১৮ বছর বয়সী প্রতিভাবান এই ফুটবলারকে বাদ দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ তাদের।
ফরোয়ার্ড পজিশনে খেলা গতিময় তরুণ এই ফুটবলারকে পুনরায় জাতীয় দলে ডাকার দাবি জানিয়েছেন ভক্তরা। বাংলাদেশ ফুটবলকে সিন্ডিকেট মুক্ত করতে ও ফাহমিদুলকে দলে ফেরানোর দাবি নিয়ে মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলের বাফুফে ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন কিছু ভক্ত।
দেশের ফুটবল সমর্থক গ্রুপ ‘বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস’ এবং সাধারণ ভক্তদের পক্ষ থেকে ‘লং মার্চ টু বাফুফে’ কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়া ভক্তরা সামাজিক মাধ্যমে ‘স্ট্যান্ড উইথ ফাহমিদুল’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে প্রতিবাদ শুরু করেছেন।
ফাহমিদুলকে প্রাথমিক দলে ডেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা জানিয়েছেন, ফাহমিদুল মেধাবি ফুটবলার। তার গতি আছে। তবে বয়স কম। এখনো জাতীয় দলে খেলার জন্য তিনি প্রস্তুত নন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল দ শ ফ টবল ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
মধ্যরাতে মিছিল করে ফেসবুকে পোস্ট, ছাত্রলীগের চার কর্মী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম শহর থেকে গিয়ে পটিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলার মধ্যবর্তী শিকলবাহা ভেল্লাপাড়া সেতু এলাকায় মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে গত রোববার রাত পৌনে তিনটার দিকে তিন থেকে চার মিনিটের এ মিছিল করে দ্রুত চলে যান তাঁরা। পরে তাঁদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে পোস্ট করা মিছিলের ভিডিও ফুটেজ দেখে নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে আজ মঙ্গলবার সকালে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার কর্মীরা হলেন খুলশী থানা এলাকার মো. জিহাদ হোসেন (১৯), মো. রাকিব হোসেন (১৯), পাঁচলাইশ থানার মো. জলিল আহমেদ (২৪), পাঁচলাইশ মেয়র গলির রেদোয়ান হোসেন (১৯)।
পুলিশ জানায়, গত রোববার রাত পৌনে তিনটার সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন সদস্য ষড়যন্ত্র করার উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের শিকলবাহা ইউনিয়নের ভেল্লাপাড়া এলাকায় বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিল করে। পরে তাঁরা মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে ওই সব ভিডিও দেখে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পটিয়া উপজেলার শান্তির হাট এলাকার জে কে রাজু নামের একজনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তাঁরা নগর থেকে এসে এ মিছিল করেন বলে জানা যায়।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, এলাকায় নাশকতার পাশাপাশি ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করতে চট্টগ্রাম শহর থেকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী নিয়ে মিছিল করে ভিডিও ছড়িয়ে দেন তাঁরা। ওই ভিডিও দেখে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য ব্যক্তিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।