মায়ের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে না পেরে ছেলের আত্মহত্যা, ধারণা পুলিশের
Published: 18th, March 2025 GMT
মায়ের চিকিৎসা ব্যয়ের টাকা জোগাড় করতে না পেরে মো. আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের র্যাইল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নিহত আনোয়ারের মা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগে ভুগছেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত কিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।
প্রতিবেশীরা জানান, আনোয়ার হোসেনের মাতা সেতেরা বেগম দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও হার্ট রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তার মায়ের চিকিৎসা বাবদ অনেক টাকা প্রয়োজন। মায়ের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে না পারায় মানসিক যন্ত্রণা ও হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। সেই হতাশা থেকে ফ্যানের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
সাটুরিয়া থানার ওসি মো.
তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করার জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিদেশ যাওয়ার অনুমতির আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রী আরজুদা করিমের বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়ে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
এর আগে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ১৬ মার্চ ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়ে আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে, যার ওপর আজ শুনানি হয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান। ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ১৬ মার্চ স্পেশাল জজ আদালতের দেওয়া আদেশ আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সেদিন হাইকোর্টে আবার শুনানি হবে।
দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং–সংক্রান্ত অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। যে কারণে ওবায়দুল করিম, তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। প্রথমে স্পেশাল জজ আদালত বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন। পরবর্তী সময়ে ওবায়দুল করিম, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে বিদেশে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। এতে ওবায়দুল করিমের চিকিৎসা ও ওমরাহ হজের জন্য এবং এ ক্ষেত্রে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে স্ত্রী ও মেয়ের বিদেশযাত্রার অনুমতি চাওয়া হয়। স্পেশাল জজ ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রীকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে ১৬ মার্চ আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আবেদন করে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়ে স্পেশাল জজ আদালতের আদেশ আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছেন।
ওবায়দুল করিম ও তাঁর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়ে স্পেশাল জজ আদালতের ১৬ মার্চ দেওয়া আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান দুদকের এই আইনজীবী।