একক ভ্যাট হারের সুপারিশ করেছে ঢাকা চেম্বার
Published: 18th, March 2025 GMT
আগামী বাজেটে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটের একক হার করার সুপারিশ করেছে ঢাকা চেম্বার। এ ছাড়া অনানুষ্ঠানিক খাতের ব্যবসায়ীদের জন্য এক শতাংশ ভ্যাট হার নির্ধারণ করার কথাও বলেছে সংস্থাটি।
ঢাকা চেম্বার বলছে, ভ্যাটের একক হার হলে সামগ্রিক কর ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আসার পাশাপাশি ব্যবসার পরিচালন খরচ কমবে এবং উৎপাদন খাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করার প্রস্তাবও করেছে ঢাকা চেম্বার।
আজ মঙ্গলবার আগামী অর্থবছরের প্রাক্–বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কাছে ৪২টি বাজেট প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার। আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে এ আলোচনা হয়। ঢাকা চেম্বার সভাপতি তাসকীন আহমেদ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
বর্তমানে একক ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ হলেও বিভিন্ন খাতে ১০ শতাংশ, সাড়ে ৭ শতাংশ, ৫ শতাংশসহ একাধিক ভ্যাট হার আছে।
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ আগামী অর্থবছর থেকে সব করদাতাকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন প্রদান কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগকে স্বাগত জানান। দেশে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং করজাল সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এনবিআরকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের প্রস্তাব করেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, বাণিজ্য–সংশ্লিষ্ট রাজস্ব নীতিমালা ক্রমে সংস্কারের মাধ্যমে ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে এনবিআর দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, সমাজে কেউ কর দেবে কেউ দেবে না, তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি জানান, গত ১০ বছরে টিনধারীর সংখ্যা এক কোটি ছাড়ালেও কর প্রদানকারীর সংখ্যা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বাড়েনি, যা বেশ হতাশাব্যঞ্জক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
গ্যাস–সংকটে সিইউএফএলে সার উৎপাদন বন্ধ
গ্যাস–সংকটে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডে (সিইউএফএল) সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। আজ শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে যান্ত্রিক ত্রুটির (রিঅ্যাক্টরের সমস্যা) কারণে গত ৩ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইউরিয়া সার উৎপাদন বন্ধ ছিল কারখানাটিতে। দেড় মাস পর আবারও কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ল।
উৎপাদন আবার বন্ধ হয়ে পড়ার বিষয়টি সিইউএফএলের উৎপাদন বিভাগের প্রধান উত্তম চৌধুরী প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গ্যাস সরবরাহ না থাকায় আজ সকালে উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হয়েছে।’
পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনের জন্য সম্পূর্ণ গ্যাসনির্ভর এ কারখানায় দৈনিক ৪৮ থেকে ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন। গ্যাস–সংকট ও যান্ত্রিক নানা সমস্যা থাকায় গত অর্থবছর কারখানাটিতে প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদিত হয়। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে ইউরিয়া সারের চাহিদা বছরে প্রায় ২৬ লাখ মেট্রিক টন। তার মধ্যে সিইউএফএলসহ বিসিআইসির অন্যান্য কারখানা প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করে। অবশিষ্ট ১৬ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া উচ্চমূল্যে আমদানি করতে হয়।
সিইউএফএল সূত্র জানায়, গত দুই বছর কখনো যান্ত্রিক ত্রুটিতে, কখনো গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল সিইউএফএল। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে শুধু পাঁচ দিন চালু ছিল এ কারখানা। গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ার পর ১৩ অক্টোবর সিইউএফএল চালু হয়। এ বছরের ৩ জানুয়ারি আবারও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে দীর্ঘ সময় লাগে কারখানাটি চালু করতে। সর্বশেষ যাবতীয় স্টার্টআপ (কারখানা চালু প্রক্রিয়া) শেষে ২৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত আড়াইটার সময় কারখানা চালু হয়।
১৯৮৭ সালের ২৯ অক্টোবর জাপানের কারিগরি সহায়তায় কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারা উপজেলার রাঙ্গাদিয়ায় সার কারখানাটি প্রতিষ্ঠা করে সরকার। কারখানা চালু হওয়ার সময় দৈনিক ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন এবং বার্ষিক ৫ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদনক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে দৈনিক ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছে। পাশাপাশি বার্ষিক ৩ লাখ ১০ মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া উৎপাদন করতে পারে সিইউএফএল।