পাবনার আমিনুপুরে র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে স্থানীয় তাবিজ ফারুকসহ শীর্ষ তিন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত আমিনুপুর থানার সাগরকান্দি ইউনিয়নের শ্যামপুর ও গোবিন্দপুরসহ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) পাবনার র‍্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃতরা হলেন, সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে ফারুক সরদার ওরফে তাবিজ ফারুক (৩৫), শ্যামপুর গ্রামের জামাল ওরফে কাঠ জামালের ছেলে আশিক হোসেন (৩০) ও সাগরকান্দি গ্রামের আখের শেখের ছেলে হাসেম শেখ (২৮)।

র‍্যাব-এর দাবি, এদের মধ্যে হাসেম শেখ, তাবিজ ফারুকের নেতৃত্ব দেয়া গ্যাং এবং আশিক ভিন্ন আরেকটি গ্যাং এর হয়ে কাজ করেনল তারা দুই গ্যাং মিশে ওই এলাকায় অস্ত্র ব্যবহার করে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়ভাবে তারা শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।

র‍্যাব-১২ পাবনার কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলেন, “সাগরকান্দির অন্তত ৫ থেকে ৭টি জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাবিজ ফারুক ও হাসেমকে গোবিন্দপুর থেকে ও আশিককে ওই এলাকার শ্যামপুরের নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।”

তিনি বলেন, “গোয়েন্দা তথ্য ছিল, এই তিনজনসহ আরো বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে এলাকায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের একটি যৌথ আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। তথ্যানুযায়ী ওই এলাকায় আরো সন্ত্রাসী ছিল, তিনজনকে আটক করা গেলেও, অন্যদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটকদের কাছ থেকে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। রাতেই তাদের আমিনপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”

এ ব্যাপারে আমিনুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আলমগীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে ওই তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করলেও আসামিদের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে ফোন রেখে দেন ওসি।

ঢাকা/শাহীন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স গরক ন দ এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলায় আহত ১০, থানায় অভিযোগ

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এসময় তাদের চালানো হামলায় আরো ১০জন আহত হন বলে খবর পাওয়া গেছে।

গত শনিবার রাতে উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আস্কর বাজারে ঘটনাটি ঘটে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ছাত্রদল নেতা নাফিজের বাবা মো. বুলবুল আহাম্মেদ রবিবার (১৬ মার্চ) আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

আরো পড়ুন:

ঘুমন্ত বিএনপি কর্মীর ঘরে বাইরে থেকে তালা দিয়ে আগুন

মসজিদের চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত এক ব্যক্তির মৃত্যু

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাতে আস্কর বাজারে বাগধা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাফিজ আহম্মেদকে দেখতে পেয়ে হামলা চালায় যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী সুধাংশু অধিকারী, নয়ন বিশ্বাস, পাপন বিশ্বাসসহ ৩০-৪০ জন। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাফিজকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় ছাত্রদল নেতারা নাফিজকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে স্বপন মোল্লা ও শিপন হাওলাদারসহ ১০ জনের ওপর যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালায়। হামলায় তারা আহত হন।

পরে গুরুতর আহত তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

আহত ছাত্রদল নেতা নাফিজের বাবা মো. বুলবুল আহাম্মেদ বলেন, “আমি বিএনপি সমর্থিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমার বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানো মামলাসহ তিনটি মামলা হয়। আমি বাড়িতে থাকতে পারিনি। এখন আমার ছেলে ছাত্রদল করার কারণে তার ওপর শনিবার রাতে আস্কর বাজারে হামলা করেছে যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তারা তাকে কুপিয়ে আহত করেছে। এ ঘটনায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা ৪০-৫০জনকে অভিযুক্ত করে আগৈলঝাড়ায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।” 

আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো.আলিউল ইসলাম বলেন, “ছাত্রদল নেতার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”

ঢাকা/পলাশ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলায় আহত ১০, থানায় অভিযোগ