পাবনায় তাবিজ ফারুকসহ শীর্ষ ৩ সন্ত্রাসী আটক
Published: 18th, March 2025 GMT
পাবনার আমিনুপুরে র্যাব ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে স্থানীয় তাবিজ ফারুকসহ শীর্ষ তিন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত আমিনুপুর থানার সাগরকান্দি ইউনিয়নের শ্যামপুর ও গোবিন্দপুরসহ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) পাবনার র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন, সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে ফারুক সরদার ওরফে তাবিজ ফারুক (৩৫), শ্যামপুর গ্রামের জামাল ওরফে কাঠ জামালের ছেলে আশিক হোসেন (৩০) ও সাগরকান্দি গ্রামের আখের শেখের ছেলে হাসেম শেখ (২৮)।
র্যাব-এর দাবি, এদের মধ্যে হাসেম শেখ, তাবিজ ফারুকের নেতৃত্ব দেয়া গ্যাং এবং আশিক ভিন্ন আরেকটি গ্যাং এর হয়ে কাজ করেনল তারা দুই গ্যাং মিশে ওই এলাকায় অস্ত্র ব্যবহার করে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়ভাবে তারা শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।
র্যাব-১২ পাবনার কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলেন, “সাগরকান্দির অন্তত ৫ থেকে ৭টি জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাবিজ ফারুক ও হাসেমকে গোবিন্দপুর থেকে ও আশিককে ওই এলাকার শ্যামপুরের নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।”
তিনি বলেন, “গোয়েন্দা তথ্য ছিল, এই তিনজনসহ আরো বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে এলাকায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও র্যাবের একটি যৌথ আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। তথ্যানুযায়ী ওই এলাকায় আরো সন্ত্রাসী ছিল, তিনজনকে আটক করা গেলেও, অন্যদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটকদের কাছ থেকে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। রাতেই তাদের আমিনপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”
এ ব্যাপারে আমিনুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আলমগীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে ওই তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করলেও আসামিদের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে ফোন রেখে দেন ওসি।
ঢাকা/শাহীন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স গরক ন দ এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে মা-শিশু সন্তানসহ ৩ হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা, ৫ দিনের রিমান্ডে স্বামী ইয়াছিন
সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রী ও শিশু সন্তান সহ তিনজনকে হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করে মাটিচাপা দিয়ে গুমের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছন নিহত লামিয়ার বড় বোন মুনমুন আক্তার।
শুক্রবার রাতে এ মামলা রুজু হয়। মামলায় নিহত লামিয়ার স্বামী আটক ইয়াছিনসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। অপর দুই আসামি হলেন ইয়াছিনেন বাবা দুলাল মিয়া ও ছোট বোন শিমু।
এদিকে শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের আদালতে আসামি ইয়াছিনকে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান।
প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া বড় বাড়ি এলাকার পোশাক শ্রমিক লামিয়া আক্তার, তার চার বছর বয়সের শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ ও লামিয়ার প্রতিবন্ধী বড় বোন স্বপ্না আক্তার।
নিখোঁজের চারদিন পর বাসার পাশে রাস্তা খুঁড়ে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় তিন জনের খন্ড বিখন্ড লাশ।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনু আলম বলেন, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশের একাধিক টিমের অভিযান চলছে।