চবি সমাবর্তনে থাকতে পারবে মূল সনদ গ্রহণকারীরাও
Published: 18th, March 2025 GMT
আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে মূল সনদ গ্রহণকারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী।
জানা গেছে, আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চম সমাবর্তনে মূল সনদ গ্রহণকারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ না থাকায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে মূল সনদ গ্রহণকারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন চবি শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ না করার দাবি চবি শিক্ষার্থীদের
স্টেশনে ভিক্ষা করলেও স্বপ্ন ব্যাংকার হওয়ার
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী বলেন, “২০১১ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত যারা ইতোমধ্যে সার্টিফিকেট উত্তোলন করেছেন, তারাও পঞ্চম সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত তারা আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ফরমে উত্তোলনকৃত সনদের কপি আপলোড করতে হবে। তাদের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০০ টাকা।”
গত ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য সমাবর্তন নিয়ে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা মূল সনদ উত্তোলন করেছেন, তারা পঞ্চম সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিক্ষোভ থেকে আইনজীবীদের ধর্ষকের পক্ষে না দাঁড়ানোর আহ্বান
দেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন এবং বিচার বিভাগের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ফরিদপুরের সাধারণ ছাত্র-জনতা আজ রবিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
ফরিদপুর প্রেসক্লাব থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি মজিদ সড়ক অতিক্রম করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় হয়ে ফরিদপুর কোট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানান।
মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ‘‘দেশে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনা দিন দিন বেড়ে চলেছে। অপরাধীরা শাস্তি ছাড়াই পার পেয়ে যাচ্ছে। বিচার বিভাগের অব্যবস্থাপনা ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে ন্যায়বিচার পাচ্ছে না ক্ষতিগ্রস্তরা। আমরা চাই, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন জরুরি পদক্ষেপ নেয়।’’
তারা আরো বলেন, ‘‘ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিচার বিভাগকে আরো দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে কাজ করতে হবে, যাতে অপরাধীরা দ্রুত শাস্তি পায়।’’
মিছিলে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘‘আমরা ফরিদপুর কোর্ট চত্বরে এসেছি, আমাদের সম্মানিত আইনজীবীদের হুঁশিয়ার করে দিতে, যেন তারা ধর্ষকের পক্ষে না দাঁড়ায়। তাদেরও তো বোন রয়েছে, মা রয়েছে। ধর্ষক অন্য কারো মা-বোনের ক্ষতি করবে না, এটা কে বলেছে? তাই আমরা চাই, ধর্ষকের পাশে কেউ যেন দাঁড়ায় না।’’
বিক্ষোভ মিছিলে ফরিদপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং স্থানীয় বাসিন্দারা অংশ নেয়।
ঢাকা/তামিম/বকুল