ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। 

গতকাল সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় বিএনপি সমর্থকদের অন্তত ২৫টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের জামায়াত সমর্থক মোহাম্মদ তারেক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০২০ সালে একটি ধর্ষণ মামলা হয়। 

সেই মামলার বিষয়ে ১৩ মার্চ একটি ফেসবুক পোস্ট করেন বিএনপি সমর্থিত হৃদয় নামের এক ব্যক্তি। সেই ফেসবুকের পোস্টকে কেন্দ্র করে ১৬ মার্চ প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য সোমবার রাতে বৈঠক বসে। সেই বৈঠকে দুই পক্ষের প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ লোক জড়ো হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সেখানে মীমাংসার পরিবর্তে দুই পক্ষই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে জামায়াতের ৮ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে একজনকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে, তিনজনকে ফেনী হাসপাতালে এবং চারজনকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অপরদিকে বিএনপির ৭ থেকে ৮জন কর্মী আহত হয়েছে। 

সেনাবাহিনীর টহল দল গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে একজনকে চৌদ্দগ্রাম হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপর আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে।

বিএনপি কর্মীদের অভিযোগ, জামায়াতের কর্মীরা তাদের কর্মীদের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি বাড়ি ভাঙচুর করেছে। 

চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে বলে শোনা গেছে। তবে কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি।

ঢাকা/রুবেল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ সব ক ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ গুম, আসামির দেখানো জায়গায় মাটি খুঁড়ে উদ্ধার

হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে নিখোঁজের সাতদিন পর চুনারুঘাটের কাপাইছড়া চা বাগানের গহীন জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে লিটন মিয়া (৩৮) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় চুনারুঘাট উপজেলার পাইকপাড়া  ইউনিয়নের কাপাইছড়া চাবাগানের ৯ নন্বর টিলার ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। লিটন মিয়া মাধবপুর উপজেলার গোয়াছনগর এলাকার ছায়েদ আলীর ছেলে।  

পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩ এপ্রিল সাতছড়িতে লাকড়ি সংগ্রহের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন লিটন। এরপর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। সাতদিনেও বাড়িতে ফিরে না এলে পরিবারের লোকজন বিষয়টি বুধবার পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানা পুলিশ কাপাইছড়া চা-বাগানে অভিযান চালিয়ে প্রমোদ রিকমন (৩২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। প্রমোদ কাপাইছড়া চাবাগানের মঙ্গল রিকমনের ছেলে। পরে প্রমোদকে সঙ্গে নিয়ে তার দেওয়া তথ্যমতে পাহাড়ি এলাকার কাপাইছড়া চা বাগানের ৯ নম্বর টিলার ভেতরে মাটি খুঁড়ে লিটন মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

প্রমোদ রিকমন পুলিশকে জানান, তার ১০টি গরু চুরি হয়েছে। ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় কাপাইছড়া বাগানে লিটনকে গরু চুরি সন্দেহে পাঁচজন মিলে আটক করে মারপিট করেন। একপর্যায়ে মাথায় আঘাত করলে মাটিতে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর প্রমোদ রিকমনসহ পাঁচজন মিলে লিটনের মরদেহ মাটিতে পুঁতে রেখে চলে যান। 

মাধবপুর সার্কেলের এএসপি সালিমুল হক বলেন, এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যমতে, কাপাইছড়া চা-বাগানের বাজারে অভিযান চালিয়ে প্রমোদ রিকমনকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে সঙ্গে নিয়ে চা বাগানের ৯ নম্বর টিলায় মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলম বলেন, ঘটনাটি জানার ১২ ঘণ্টার মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তারের পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ গুম, আসামির দেখানো জায়গায় মাটি খুঁড়ে উদ্ধার