জুমাতুল বিদা, শব-ই-কদর ও পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ১৭ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। ছুটি চলকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসসমূহ আগামী ২০ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল এবং অফিসসমূহ ২৩ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।এছাড়াও ৪ এপ্রিল ও ৫ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ৬ এপ্রিল থেকে শুরু হবে।

আরো পড়ুন:

নোবিপ্রবিতে ২ ছাত্রদল নেতার জন্য মাস্টার্স চালু

নোবিপ্রবিতে কোডিং পদ্ধতিতে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের আদেশক্রমে জুমাতুল বিদা, শব-ই-কদর ও পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে নোবিপ্রবির ক্লাসসমূহ আগামী ২০ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এছাড়া প্রশাসনিক কার্যক্রম আগামী ২৩ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইনস্টিটিউট, বিভাগ, দফতর ও শাখাসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস ত্যাগের পূর্বে পানির কল, ফ্যান, লাইট, এসিসহ সব বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির সংযোগ বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া ছুটি চলাকালে জরুরি কার্য সম্পাদনের জন্য স্ব-স্ব বিভাগ ও দপ্তর প্রধানগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে হল প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র মাহে রমযান ও ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি উপলক্ষে আগামী ২২ মার্চ (শনিবার) থেকে ৪ এপ্রিল (শুক্রবার) পর্যন্ত আবাসিক হলগুলো বন্ধ থাকবে। আগামী ৫ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে আবাসিক  হলসমূহ যথারীতি খোলা থাকবে।

শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করার পূর্বে কক্ষের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সুইচ অফ করে এবং দরজা জানালা বন্ধ করে হল ত্যাগের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে হল প্রশাসন। 

অন্যদিকে, ঈদের ছুটি শেষে আগামী ৬-৮ এপ্রিলের অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সকল বিভাগের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে ঈদ-উল-ফিতর এর ছুটি শেষে আগামী ৬-৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সব বিভাগের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। আগামী ৯ এপ্রিল থেকে যথারীতি পরীক্ষা চলবে। স্থগিতকৃত পরীক্ষা সমূহের পরিবর্তিত তারিখ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ব প রব র জন য পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

হিমোফিলিয়াসহ রক্তক্ষরণজনিত রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা জরুরি

হিমোফিলিয়া একটি বিরল জেনেটিক রক্তের রোগ। এই রোগ শরীরের রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এই রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, দ্রুত ও সঠিক রোগ নির্ণয় এবং যথাযথ চিকিৎসা জরুরি।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব মতামত জানান।

হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ বরাবরের মতো এবারো বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস উদযাপন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে র‍্যালির আয়োজন করা হয়। সকাল ৮টায় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বেলুন উড়িয়ে র‍্যালির উদ্বোধন করেন। র‍্যালি পরিচালনা করেন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আদনান হাসান মাসুদ।

র‍্যালি শেষে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি উপাচার্য, সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আমীন লুৎফুল কবীর, হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি নাজমুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আরিফ।

বক্তারা হিমোফিলিয়া তথা সব রক্তক্ষরণজনিত রোগের ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, দ্রুত ও সঠিক রোগ নির্ণয় এবং যথাযথ চিকিৎসার উপরে গুরুত্ব আরোপ করেন।

পরে রোশ বাংলাদেশ লিমিটেডের সহযোগিতায় ঢাকা ক্লাবে একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো. আক্তার হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. শাহ আলী আকবর আশরাফী, পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মোহাম্মদ মইনুল আহসান, স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনার লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. জয়নাল আবেদীন টিটো এবং অসংক্রামকব্যাধি নিয়ন্ত্রণের লাইন ডিরেক্টর ডা. সৈয়দ জাকির হোসেন।

অনুষ্ঠানে হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক আমীন লুৎফুল কবীর, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আদনান হাসান মাসুদসহ অন্যান্য স্বনামধন্য হেমাটোলজিস্টবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন হিমোফিলিয়া সোসাইটি অফ বাংলাদেশের সভাপতি নাজমুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আরিফ, রোগীদের প্রতিনিধি এবং রোশ বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

গোলটেবিল বৈঠকে রোগীদের জন্য একটা কেন্দ্রীয় রেজিস্ট্রি প্রণয়ন, হিমোফিলিয়া গাইড লাইন চূড়ান্তকরণ এবং রোগীদের চিকিৎসার জন্য স্বল্পমূল্যে জরুরি ওষুধসমূহের সরবরাহ নিশ্চিত করা ইত্যাদি বিষয়ে বাস্তবমুখী এবং স্বতঃস্ফূর্ত আলোচনা হয়।

দুপুরে হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস-২০২৫ উপলক্ষে একই ভেন্যুতে একটি বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের আয়োজন করে। অধিবেশনে অতিথি হিসেবে ছিলেন সিনিয়র হেমাটোলজিস্ট অধ্যাপক এবিএম ইউনূস এবং অধ্যাপক সালমা আফরোজ।

বৈজ্ঞানিক অধিবেশনটিতে হিমোফিলিয়া রোগীদের জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা, হিমোফিলিয়া রোগীদের শল্য চিকিৎসা সম্পর্কিত গাইডলাইন এবং হিমোফিলিয়া রোগীদের জীবনযাপনের গুণগতমান উন্নতকরণের উপরে তিনটি গবেষণাপত্র পাঠ করা হয় এবং এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানটিতে বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. আব্দুস শাকুর ও অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান এবং রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অখিল রঞ্জন বিশ্বাস ও ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুতিনের এক দিনের অস্ত্রবিরতি, জেলেনস্কি বললেন ‘জীবন নিয়ে খেলছেন পুতিন’
  • ইস্টার সানডে উপলক্ষে ইউক্রেনে ৩০ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের
  • কুয়াকাটায় জলকেলিতে মাতলেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা
  • মিয়ানমারে ৫ হাজার কারাবন্দিকে মুক্তি
  • ইঞ্জিনিয়ার ফিরোজ আহমেদ’র ১ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
  • হিমোফিলিয়াসহ রক্তক্ষরণজনিত রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা জরুরি
  • সোনারগাঁ জাদুঘরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে চলছে বৈশাখীমেলা 
  • জব্বারের বলীখেলা ২৫ এপ্রিল