মিছিলের ভিডিও দেখে ছাত্রলীগের ৪ কর্মী গ্রেপ্তার
Published: 18th, March 2025 GMT
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানরে জন্মদিন উপলক্ষে ঝটিকা মিছিল করার ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মিছিলের ভিডিও দেখে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় তাদের আদালত পাঠায় পুলিশ। আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে, রোববার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে উপজেলার শিকলবাহা এলাকায় এ মিছিল বের করে ছাত্রলীগ।
গ্রেপ্তার হওয়ারা হলেন- নগরীর খুলশী তোলাতলী ২ নম্বর গেট এলাকার আব্দুল শুক্কুরের ছেলে জিহাদ হোসেন, সদরঘাট পশ্চিম মাদারবাড়ির মৃত ইদ্রিস হোসেনের ছেলে মো.
কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফ বলেন, নাশকতা সৃষ্টি করতেই তারা হাতে লাঠিসোঁটা ও ইট-পাটকেল নিয়ে গভীর রাতে মিছিল বের করেন। পরে ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মারমাদের মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব যে কারণে হয়, যেভাবে এল
মারমা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাইং উৎসবের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে আছে ‘মৈতা রিলং পোয়ে’ বা মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব। এই উৎসবে পরস্পরের দিকে পানি ছিটিয়ে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হন মারমারা। ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’(এসো হে সাংগ্রাইংয়ে সবাই মৈত্রী পানিবর্ষণে) গানটিও দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আছে এই উৎসবের ‘থিম সং’।
গবেষক ও মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবের শুরু গত শতকের সত্তরের দশকে। কিছু তরুণ মিয়ানমারে সাংগ্রাইং উৎসবে এ ধরনের আয়োজন দেখে দেশেও এর প্রচলন করেন। আর ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’ উৎসবের থিম সং হয়েছে ১৯৮৪ সালে।
মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবকে অনেকেই ‘জলকেলি’ ও ‘পানি খেলা’ বলে থাকেন। তবে এসব নাম আপত্তিকর বলে মনে করেন মারমা সমাজের অনেকেই। তাঁদের দাবি, এর মধ্য দিয়ে ধর্মের যোগ থাকা অনুষ্ঠানটি ভুলভাবে উপস্থাপন হয়।
এবারের সাংগ্রাইং উপলক্ষে আজ বুধবার থেকে বান্দরবান জেলা শহরে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব শুরু হয়েছে। তবে জেলার অন্যান্য জায়গায় গতকাল মঙ্গলবার এই উৎসব শুরু হয়। খাগড়াছড়িতে কোথাও কোথাও সোমবার শুরু হয়েছে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব।
মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণদের একজন শিক্ষাবিদ থোয়াইংচ প্রু। তিনি প্রথম আলকে বলেন, সাংগ্রাইং আখ্যেয়া বা মূল সাংগ্রাই দিনে বুদ্ধমূর্তি স্নানের আগে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব হয় না। এটা প্রথাসিদ্ধ রীতি। তাই মৈত্রী পানিবর্ষণের সঙ্গে ধর্মের যোগ বেশ স্পষ্ট। তিনি বলেন, পানিকে মারমারা পবিত্র মনে করে। তাই সাংগ্রাইং উৎসবে বন্ধুত্বের বন্ধন এবং পরস্পরের প্রতি মৈত্রী ভাবনা নবায়ন ও সুদৃঢ় করার জন্য একে-অপরের দিকে পানি ছোড়েন। পানি ছিটানোর পর কেউ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখালে বোঝা যাবে, বন্ধুত্বের সম্পর্কে ও বন্ধনে টানাপোড়েন আছে। এটিই মৈত্রী পানিবর্ষণের মূল্যবোধ। এ কারণে অনেক সময় অযাচিত কাউকে পানিবর্ষণ করলে আগে সালিসের মুখোমুখিও হতে হতো।
মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবে মেতেছেন মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। গতকাল বান্দরবানের ডলুপাড়ায়