চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানরে জন্মদিন উপলক্ষে ঝটিকা মিছিল করার ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মিছিলের ভিডিও দেখে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে  সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় তাদের আদালত পাঠায় পুলিশ। আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  

এর আগে, রোববার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে উপজেলার শিকলবাহা এলাকায় এ মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। 

গ্রেপ্তার হওয়ারা হলেন- নগরীর খুলশী তোলাতলী ২ নম্বর গেট এলাকার আব্দুল শুক্কুরের ছেলে জিহাদ হোসেন, সদরঘাট পশ্চিম মাদারবাড়ির মৃত ইদ্রিস হোসেনের ছেলে মো.

রাকিব হোসেন, পাঁচলাইশ হিলভিউ আবাসিক ২ নম্বর গেট এলাকার মোহাম্মদ জালালের ছেলে মো. জলিল আহমেদ রকি ও পাঁচলাইশ মেয়র গলি ২ নম্বর গেট এলাকার মাহবুবুর আলমের ছেলে রেদোয়ান হোসেন হৃদয়।

কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফ বলেন, নাশকতা সৃষ্টি করতেই তারা হাতে লাঠিসোঁটা ও ইট-পাটকেল নিয়ে গভীর রাতে মিছিল বের করেন। পরে ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বালু তোলা নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের তললী গ্রামে নদীর বালু উত্তোলন নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে মেহেদি হাসান রাকিব নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তার চাচা জিয়া ও একই গ্রামের মো. সাবিদ।

গতকাল সোমবার রাতে নিগুয়ারী ইউনিয়নের পল্টন মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক রাকিব তললী নামাপাড়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, স্থানীয় ইয়াসিন খানের সঙ্গে নিহত মেহেদি হাসান রাকিবের নদীর বালু উত্তোলন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত সোমবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের লোকজন পাতলাসী বাজারে একসঙ্গে ইফতার করে নিগুয়ারী পল্টন মোড়ে আসার সময় রাকিবের সঙ্গে ইয়াসিনের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জেরে রাত ১০টার দিকে ইয়াসিন ও তার লোকজন পল্টন মোড়ে রাকিবের ওপর হামলা করে। এ সময় সংঘর্ষ শুরু হলে ইয়াসিন ও তার লোকজন রাকিবকে ধরে নিগুয়ারী পল্টন মোড়ে ইয়াসিনের অফিসে নিয়ে মারধর করে। পরে রাকিবকে অফিসের পেছনে নিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে এবং ইট দিয়ে মাথা থেঁতলিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রাকিব। এ ঘটনায় সাবিদ (২৪) নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রাকিবের চাচা জিয়াকে পিস্তল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সেও আহত হন। তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গুলিবিদ্ধ সাবিদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

নিহত রাকিবের বাবা মজিবুর রহমান বলেন, ইয়াসিন ক্ষমতা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। 

নাম না বলার শর্তে তিনি জানান, স্থানীয় নেতার ছত্রছায়ায় ইয়াসিন খান এই ইউনিয়নের মাছের খামার, ইটভাটা, বালুর ব্যবসা সব কিছু দখলে নিয়ে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। রাকিব এসব অপকর্মে বাধা দিতো বলেই পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।

নিহত রাকিবের চাচাতো ভাই মোমেন বলেন, ‘বালু উত্তোলনের উদ্বোধনের কথা বলে আমার ভাই রাকিবকে নিয়ে তারা পাতলাশী বাজারে ইফতার করে। পরে রাস্তায় আসার সময় রাকিবের সঙ্গে তর্কাতর্কি ও মারামারি করে। এরপর পল্টন মোড়ে পিটিয়ে, ইট দিয়ে তার মাথা থেঁতলিয়ে মেরে ফেলে। এমনভাবে রাকিবকে মারা হয়েছে, তাকে আর চিনার কোনো উপায় নাই।’

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ