রাজশাহীতে বালুমহাল ইজারার দরপত্র দাখিল নিয়ে সংঘর্ষ
Published: 18th, March 2025 GMT
রাজশাহীতে বালুমহাল ইজারার দরপত্র দাখিলকে কেন্দ্র দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের দোতলায় এসএ শাখার সামনে সংঘর্ষের সূত্রপাত, পরে তা অফিসের সামনের সড়ক পর্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
এই সংঘর্ষে মো. রায়হান নামের এক ব্যক্তি আহত হন। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি নগরের রাজপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রায়হান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শামীম সরকারের সঙ্গে দরপত্র জমা দিতে এসেছিলেন। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল দুপুর ১টা। সময় পেরিয়ে যাওয়ায় তারা দরপত্র জমা দিতে পারেননি।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
ধূমকেতু-বাংলাবান্ধা ট্রেন সংঘর্ষের কারণ তদন্তে কমিটি
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহীর বালুমহালগুলো ইজারার দরপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল মঙ্গলবার দুপুর ১টা। টেন্ডার বাক্স রাখা ছিল ডিসি অফিসের দোতলায় এসএ শাখার সামনে। দুপুর ১টার পরে শামীম সরকার দরপত্র দাখিল করতে গেলে পুলিশ এবং আগে যারা দরপত্র দাখিল করেন তারা বাধা দেন। এর ফলে শামীম সরকার দরপত্র জমা দিতে না পেরে তার লোকজন নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপর গুড়িপাড়া এলাকা থেকে দরপত্র দাখিল করতে আসেন শহীদ হাজী, জহুরুল, নাজির, টিয়া, নুরু ও ফারুকসহ কয়েকজন।
তারা নির্ধারিত সময়ের পরও জোর করে দরপত্র বাক্সে ফেলে দেন। এ সময় ছাত্রদল নেতা শামীম সরকারের পক্ষের লোকজন বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তাদেরও এখন দরপত্র দাখিল করতে দিতে হবে বলে দাবি তোলেন। তখন গুড়িপাড়ার ওই লোকজনের সঙ্গে শামীমের লোকজনের সংঘর্ষ বেধে যায়। এসএ শাখার সামনেই শামীমের সঙ্গে আসা রায়হানকে পেটানো হয়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ডিসি অফিসের সামনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহা.
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, আহত রায়হান হাসপাতাল থেকে এসে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/কেয়া/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ র দরপত র দ খ ল শ ম ম সরক র র স মন স ঘর ষ ল কজন
এছাড়াও পড়ুন:
২৭৩ কোটি টাকার মসুর ডাল ও ভোজ্য তেল ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে ভর্তুকি দামে বিক্রির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১টি প্রস্তাবে ১০ হাজার মে.টন মসুর ডাল এবং ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল ক্রয়সহ ২ ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ২৭২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (১৮মার্চ) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে কমিটির সভাপতি অর্থ উপদেষ্টা ড.সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাব ২ টিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় কমিটির সদস্য ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মে.টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
জানা গেছে, টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার মে.টন মসুর ডাল ক্রয়ের জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। ৪টি দরপ্রস্তাবই কারিগরিভাবে ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স মদিনা ট্রেডিং করপোরেশন, ঢাকা সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে এই মসুর ডাল সরবরাহ করবে। প্রতি কেজি ৯৪.২৩ টাকা হিসেবে সর্বমোট ব্যয় হবে ৯৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের নিকট ভর্তুকি দামে বিক্রির লক্ষ্যে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল ক্রয়ের জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৫টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে ৩টি দরপ্রস্তাব আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন ৩টি দরদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রাণ তেল প্রতি লিটার ১৬২.৫০ টাকা হিসেবে সর্বমোট ব্যয় হবে ১৭৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল এককভাবে কোন প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করতে অপারগতা প্রকাশ করায় ৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয় করা হবে। এরমধ্যে গ্রীণ অয়েল অ্যান্ড পোল্ট্রি ফিড ইন্ডাষ্ট্রিজ, ঢাকা থেকে ২০ হাজার লিটার, মজুমদার প্রোডাক্টস লি. ঢাকা ৪৫ হাজার লিটার এবং মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লি. যশোরের কাছ থেকে ৪৫ হাজার লিটার ক্রয় করা হবে।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ভোজ্য তেল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২৮ কোটি লিটার। এ পর্যন্ত ক্রয় হয়েছে ১৫ কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার লিটার।
ঢাকা/হাসনাত/টিপু