রাজশাহীতে বালুমহাল ইজারার দরপত্র দাখিলকে কেন্দ্র দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের দোতলায় এসএ শাখার সামনে সংঘর্ষের সূত্রপাত, পরে তা অফিসের সামনের সড়ক পর্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

এই সংঘর্ষে মো. রায়হান নামের এক ব্যক্তি আহত হন। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি নগরের রাজপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রায়হান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শামীম সরকারের সঙ্গে দরপত্র জমা দিতে এসেছিলেন। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল দুপুর ১টা। সময় পেরিয়ে যাওয়ায় তারা দরপত্র জমা দিতে পারেননি।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

ধূমকেতু-বাংলাবান্ধা ট্রেন সংঘর্ষের কারণ তদন্তে কমিটি

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহীর বালুমহালগুলো ইজারার দরপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল মঙ্গলবার দুপুর ১টা। টেন্ডার বাক্স রাখা ছিল ডিসি অফিসের দোতলায় এসএ শাখার সামনে। দুপুর ১টার পরে শামীম সরকার দরপত্র দাখিল করতে গেলে পুলিশ এবং আগে যারা দরপত্র দাখিল করেন তারা বাধা দেন। এর ফলে শামীম সরকার দরপত্র জমা দিতে না পেরে তার লোকজন নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপর গুড়িপাড়া এলাকা থেকে দরপত্র দাখিল করতে আসেন শহীদ হাজী, জহুরুল, নাজির, টিয়া, নুরু ও ফারুকসহ কয়েকজন।

তারা নির্ধারিত সময়ের পরও জোর করে দরপত্র বাক্সে ফেলে দেন। এ সময় ছাত্রদল নেতা শামীম সরকারের পক্ষের লোকজন বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তাদেরও এখন দরপত্র দাখিল করতে দিতে হবে বলে দাবি তোলেন। তখন গুড়িপাড়ার ওই লোকজনের সঙ্গে শামীমের লোকজনের সংঘর্ষ বেধে যায়। এসএ শাখার সামনেই শামীমের সঙ্গে আসা রায়হানকে পেটানো হয়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ডিসি অফিসের সামনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহা.

যোবায়ের হোসেন বলেন, ‘‘মারামারির ঘটনা দেখেছি। তবে কী কারণে সেটা ঘটেছে তা বলতে পারব না।’’ নির্ধারিত সময়ের পরও দরপত্র বাক্সে ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘এ রকম তো আমাকে কেউ বলেননি।’’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, আহত রায়হান হাসপাতাল থেকে এসে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/কেয়া/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ র দরপত র দ খ ল শ ম ম সরক র র স মন স ঘর ষ ল কজন

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত থেকে এলো আমদানির ১০ হাজার টন চাল

আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে আমদানি করা ১০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চালবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এই চাল আমদানির কার্যক্রমটি প্যাকেজ-৮ এর আওতায় সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে মোট ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি প্যাকেজে ৪ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির জন্য ইতোমধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী এখন পর্যন্ত দেশে পৌঁছেছে মোট ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭১৯ টন চাল। সর্বশেষ আসা চালের নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং খালাস কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/আসাদ/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারত থেকে এলো আমদানির ১০ হাজার টন চাল