হবিগঞ্জের মাধবপুরে সায়হাম গ্রুপ কারখানায় কর্মরত সদস্যদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মোঃ ঈশতিয়াক আহমেদ এবং পরিচালক তাসনিমা আহমেদ।

মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াপাড়ায় কারখানার হল রুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কারখানার সদস্যদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সায়হামের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে তাসনিমা আহমেদ কারখানায় কর্মরত সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, আমরা সব সময় আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আপনারা আছেন বলেই সায়হাম আজ এগিয়ে চলছে। আপনাদের টানে আমরা শত কাজে রেখে আপনাদের কাছে চলে আসি। আপনারা আমাদের পরিবার ও সায়হামকে ভালবাসেন। আপনারা আছেন বলেই সায়হাম আছে। 

সায়হামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মো.

ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, আপনাদের ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা করাবেন।আমরা সব রকমের সহযোগিতা করব। আমরা চাই আপনাদের সন্তানরা জীবনে বড় সফলতা অর্জন করুক। আপনারা আমাদের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রাখবেন। আমরা সায়হামকে নিয়ে বিশ্ব জয় করতে চাই। সায়হাম আজ এগিয়ে যাওয়ার পেছনে আপনাদের অবদান রয়েছে। 

তিনি বলেন, আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে। নতুন প্রজন্মের জন্য আমাদের দেশকে বহুদূর এগিয়ে নিতে হবে। আমরা আপনাদের পরিবারের সদস্য মনে করি। দেশের জন্য কাজ করে স্মরণীয় হয়ে থাকতে চাই। 

এর আগে মঙ্গলবার সকালে সায়হামের পরিচালক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ শাহজাহান মাধবপুর পৌর শহর ও আধাঐর ইউনিয়নের লোকজনের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইফত র ইফত র ব তরণ আপন দ র আম দ র সদস য ব তরণ আপন র আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে থানায় অভিযোগের জেরে পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা, নারীসহ আহত ৫

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পাইনাদি স্কুল রোড তালতলা ক্লাব এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবসার দখল নেয়ার পায়তারাকে কেন্দ্র করে থানায় অভিযোগ দেয়ায় পুলিশের উপস্থিতিতে মারধর করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এছাড়া এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে দুই পক্ষকে সমঝোতা প্রস্তাবে আসার কথা বলা হয় বলে জানায় ভুক্তভোগী অভিযোগকারী পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার (১৫ মার্চ) তালতলা ক্লাব এলাকায়। 

থানায় অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ইউনিভার্সেল মাল্টিমিডিয়া সেন্টার নামীয় ইন্টারনেটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক সায়হান। তিনি বর্তমানে ওমরা হজ্জে গিয়ে সৌদিতে অবস্থান করছেন।

আর এ সুযোগে জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মামুন মাহমুদের অনুসারী গাজী মনিরের অনুসারী গাজী আতাউর রহমান বাবুলের ছেলে সোহান (৩০) সহ তার সহযোগীরা মিলে সায়হানের মালিকানাধীন ইন্টারনেট ব্যবসার জোরপূর্বক দখলে নিতে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মিজমিজি ক্লাব সংলগ্ন ইন্টারনেটের ৪ টি লাইন কেটে দেয় এবং প্রায় ১০০  মিটার ফাইভার তার কেটে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সায়হানের স্ত্রী রাবেয়া বশরী খবর পেয়ে বাঁধা দিতে গেলে সোহান সহ তার সহযোগীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে নিষেধ করায় তারা মারধর করার জন্য উদ্যত হয়।

এ সময় রাবেয়ার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাধীরা সায়হান দেশে এসে নেট লাইন সংযোগ দিলে এবং উপরোক্ত ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করিলে খুন করে ফেলার হুমকি প্রদান করে। 

পরবর্তীতে থানায় অভিযোগ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই বজলুর রহমান সহ পুলিশ নিয়ে গত ১৫ মার্চ শনিবার দুপুরে ফাইভার তার উদ্ধারে বিবাদীর বাড়িতে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নূর ইসলামের মেয়ে মিনু (৪৫), ফারুক (৪০), বিপ্লব (৩৮), বাবুল (৫৫), সোহান (৩০), স্বপন (৩৩) থানায় অভিযোগকারী সায়হানের স্ত্রী  রাবেয়া বশরী সহ শান্ত (২৫), শাকিব (২২), হীরা (২৫), নিলয় (১৮) ওপর এলোপাথারী কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা জখম করে। মারধরের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ নিতে গেলে নিলয়ের মোবাইল কেড়ে নেয় সোহান।

এসময় মারধরের ঘটনায়  পুলিশ সম্পূর্ণ নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী ও স্থানীয় জনসাধারাণ। 

এবিষয়ে কথা হলে অভিযোগকারী রাবেয়া বশরী জানান, আমার স্বামী ওমরা হজ্জে সৌদি থাকায় এ সুযোগে জোরপূর্বক তার ইন্টারনেট ব্যবসা দখলে নিতে চাচ্ছে। এ ঘটনায় আমাদের ওপর হামলা করে আহত করে উল্টো গাজী আতাউর বাবুল তারা মিথ্যে হামলা ভাঙচুর চুরির নাটক সাজিয়ে থানায় অভিযোগ করেছে। আমি এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপারের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও সুবিচার দাবি করছি। 

এদিকে এ বিষয়ে কথা হলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই বজলুর রহমান জানান, আমি সেদিন ঘটনাস্থলে ছিলাম। দুই পক্ষের মাঝে উচ্চবাচ্য হয়েছে কিন্তু মারামারির ঘটনা ঘটেনি। দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। এবিষয়ে সঠিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ