বিএনপি আবু তালেবের, আর আওয়ামী লীগ আবু জাহেলের ভূমিকায়: মামুনুল হক
Published: 18th, March 2025 GMT
বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে এক পাল্লায় মাপা ‘অনেক বড় অবিচার’ বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ইসলামি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিএনপি আবু তালেবের ভূমিকায়, আর আওয়ামী লীগ আগাগোড়া আবু জাহেলের ভূমিকায়।
বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তি ও ইসলামিক শক্তির সহযোগিতার মাধ্যমেই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে বলেও উল্লেখ করেছেন মামুনুল হক। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ছাত্রদল আয়োজিত ‘হিফযুল কোরআন ও কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার’ চূড়ান্ত পর্বের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কোনো ইসলামিক রাজনৈতিক সংগঠন নয়, তবে এই দুটির মধ্যে ঐতিহাসিক অনেক ব্যবধান রয়েছে বলে মন্তব্য করেন মামুনুল হক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কেউই ইসলামি রাজনীতি করে না বরং তাদের রাজনীতির ভিন্ন দর্শন রয়েছে। ঠিক যেমন আবু জাহেল এবং আবু তালেব—কেউই ইসলামের অনুসারী ছিলেন না। কিন্তু কেউ যদি আবু জাহেল ও আবু তালেবকে এক পাল্লায় মাপে, তার চেয়ে বড় জাহেল আর কেউ হতে পারে না।
অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে হিজবুল বাহার জাহাজে গিয়েছিলেন। সেখানে মেধার প্রতিযোগিতা হয়েছিল। পরে খালেদা জিয়া বাংলাদেশের সব বোর্ডের প্রথম ও দ্বিতীয় হওয়া শিক্ষার্থীদের বিদেশে নিয়ে যেতেন, জাতিসংঘের অধিবেশনে নিয়ে যেতেন। মেয়েদের উপবৃত্তি দিয়েছেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্রলীগের ছাত্ররাজনীতি আমাদের সমাজকে কলুষিত করেছিল। আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছিল। পাঁচ তারিখের পর জাতীয় রাজনীতি ও নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে।’
বিএনপির আরেক যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান বলেন, ‘ছাত্রদল মেধাবীদের সংগঠন। আজকে আমরা কোরআন তিলাওয়াত শুনলাম। আমাদের ছোট্ট ছোট্ট ভাই-বোনেরা কত সুন্দর করে তিলাওয়াত করল। ছাত্রদল যেন এই ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখে।’
দলটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন বলেন, ছাত্রদলকে এই কোরআন তিলাওয়াত আয়োজন করার কথা বলেছিলেন তারেক রহমান। এটা এই ক্যাম্পাসে প্রথম। এর আগে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এই ধরনের আয়োজন করতে দেননি।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের দায় রয়েছে। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আমাদের আশা থাকবে, আগামীতে যারাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন তাঁরা মাদ্রাসা শিক্ষারর্থীদের প্রতি বিশেষ নজর রাখবেন।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ম ন ল হক ছ ত রদল র জন ত আম দ র আওয় ম ইসল ম ক রআন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি, গাজায় নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা
রাজধানীর রমনা বটমূলে শেষ হয়েছে ছায়ানটের বর্ষবরণ ১৪৩২-এর অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহত মানুষদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আজ সোমবার বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শেষের আগমুহূর্তে শিল্পী ও দর্শনার্থীরা দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। পরে ছায়ানটের শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে ছায়ানটের এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শেষ হয়।
নীরবতা পালনের আগে ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ‘ফিলিস্তিনে, গাজায় ভয়াবহ মানবতার বিপর্যয় এবং গণহত্যায়, বিশেষ করে শিশু হত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ফিলিস্তিনবাসী আপন ভূমি রক্ষায় যে সংগ্রাম করছেন, তার প্রতি আমরা সংহতি জানাই। ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহত মানুষদের স্মরণে সবাইকে এক মিনিট নীরবতা পালনের অনুরোধ করছি।’
এর আগে সূর্যোদয়ের পর পর শুরু হয় বর্ষবরণের ছায়ানটের অনুষ্ঠান। এবারে অনুষ্ঠানের মূলভাব ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। ছায়ানটের ৫৮তম এই অনুষ্ঠান সাজানো হয় নতুন আলো, প্রকৃতি ও মানুষকে ভালোবাসার গান ও আত্মবোধনের জাগরণের সুরবাণী দিয়ে।
বাংলা বর্ষবরণের এ আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলেও এই অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়।
দেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংস্থা ছায়ানট ১৯৬৭ সাল থেকে রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। এবার ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিতে গত তিন মাস ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে চলে গানের মহড়া। আর ৮ এপ্রিল রমনার বটমূলে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়।