মায়ের চিকিৎসা ব্যয়ের টাকা যোগাড় করতে না পেরে মো. আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের র‌্যাইল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, নিহত আনোয়ারের মা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগে ভুগছেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত কিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। 

প্রতিবেশীরা জানান, আনোয়ার হোসেনের মাতা সেতেরা বেগম দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও হার্ট রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তার মায়ের চিকিৎসা বাবদ অনেক টাকা প্রয়োজন। মায়ের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে না পারায় মানসিক যন্ত্রণা ও হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। সেই হতাশা থেকে ফ্যানের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

সাটুরিয়া থানার ওসি মো.

শাহিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ব্যক্তি তার মায়ের চিকিৎসার টাকা যোগাড় ও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তার আয়ের টাকা দিয়ে মায়ের ওষুধ ও সংসার চালাতে পারছিলেন না। তাই হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করার জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

রমজানে মহানবীর (সা.) কোরআন অনুশীলন

মহানবী (সা.) বিশেষভাবে রমজানকে তিলাওয়াতের জন্য বেছে নিচ্ছিলেন। কেন তিনি রমজানে এত বেশি তিলাওয়াত করতেন, এর উত্তরে ইবনে বাত্তাল (রহ.) বলেন, রাসুলের (সা.) কোরআন শিক্ষা ও অনুশীলনের একমাত্র কারণ ছিল পরকালের আকাঙ্ক্ষা ও ব্যাকুল ভাবনার জাগরণ এবং পার্থিব বিষয়ে অনীহার সৃষ্টি করা। (ইবনে বাত্তাল, শরহে বুখারি, ১/১৩)

 রমজানে কোরআন শিক্ষায় রাসুলের (সা.) সহপাঠী হওয়ার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে জিবরাইল (আ.) নিয়োজিত হতেন; যিনি রমজানে প্রতি রাতে নবীজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং ফজর অবধি তাঁর সঙ্গে অবস্থান করতেন। নবীজি তাকে কোরআন শোনাতেন। (বুখারি, হাদিস: ১,৯০২)

আরও পড়ুন  যেমন ছিল মহানবীর (সা.) সাহরি১১ মার্চ ২০২৫

অন্য একটি বর্ণনায় আছে, নবীজি (সা.) তাঁর কন্যা ফাতেমাকে গোপনে জানালেন যে, জিবরাইল প্রতি বছর আমাকে একবার কোরআন শোনাতেন এবং শুনতেন, এ বছর তিনি দুবার আমাকে শুনিয়েছেন ও শুনেছেন। একে আমি আমার সময় সমাগত হওয়ার ইঙ্গিত বলে মনে করি। (বুখারি, হাদিস: ৩,৬২৪)

ইবনে হাজার (রহ.) বলেন, জিবরাইল প্রতি বছর নবীজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এক রমজান থেকে অন্য রমজান অবধি যা নাজিল হয়েছে, তা শোনাতেন এবং শুনতেন। যে-বছর রাসুল (সা.) পৃথিবী ছেড়ে যান, সে বছর তিনি দুইবার শোনান ও শোনেন। (ফাতহুল বারি, ১/৪২)

আরও পড়ুনইসলামে যেভাবে রোজা এল১৪ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ