এবার সাইবার আইনে মামলার হুমকি দিলেন ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের স্ত্রী
Published: 18th, March 2025 GMT
‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমিন বলেছেন, তাঁকে নিয়ে যাঁরা ফেসবুকে পোস্ট করছেন, ভিডিও শেয়ার করছেন, মিথ্যা লাইভ করছেন, তাঁদের সবার বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করবেন। মামলার হুমকি দিয়ে তামান্না শারমিনের বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
এর আগে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পর তামান্নার আরেকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। এতে তামান্নাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা কাঁড়ি কাঁড়ি, বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে (স্বামী) নিয়ে আসব। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’
গত শনিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার একটি শপিং মলে ঘোরাঘুরি করার সময় সাজ্জাদকে আটক করে তেজগাঁও থানা-পুলিশ। পরে তাঁকে চট্টগ্রামে আনা হয়। সাজ্জাদ যখন শপিং মলে আটক হন, তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী তামান্না শারমিনও। কিন্তু তিনি সটকে পড়েন। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আটকের সময় সাজ্জাদ বারবার তাঁর স্ত্রীকে খুঁজছিলেন। তিনি ‘এই তামান্না, তামান্না’ বলে ডাকতে থাকেন। কিন্তু কোনো সাড়া পাননি স্ত্রীর।
নগরের বায়েজিদ বোস্তামী ও চান্দগাঁও থানার দুটি হত্যা মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ডে এনে সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এর আগে সাজ্জাদকে ধরতে গত ৩০ জানুয়ারি পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। আগের দিন ফেসবুক লাইভে এসে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমানকে পেটানোর হুমকি দিয়েছিলেন সাজ্জাদ হোসেন।
ভিডিওটিতে সাজ্জাদকে ভালোবেসে বিয়ে করেছেন বলে উল্লেখ করেন তামান্না শারমিন। তিনি বলেন, ‘আমাকে গালমন্দ করে যাঁরা ভিডিও করতেছেন, যাঁরা ফেসবুকে পোস্ট করতেছেন, আমি আপনাদের কোনো ক্ষতি করি নাই। আমি আপনাদের নাম ধরব না। আপনারা জানেন কাকে বলতেছি। আপনারা আমাকে নিয়ে পোস্ট করে কী লাভ, আমি আপনাদের শত্রু না, আপনাদের কাউকে আমি চিনি না। আপনারা কে, কার সঙ্গে বিরোধ, সেটি আমার দেখার বিষয় নয়। আমি যদি আপনাদের নিয়ে পোস্ট করতাম, আপনারা করতেন, সেটি একটি সৌন্দর্য।’ স্বামী সাজ্জাদের জন্য প্রয়োজনে ভিক্ষা করবেন জানিয়ে তামান্না বলেন, ‘আমি বিদেশে চাকরি করছি। প্রয়োজনে এখন ভিক্ষা করব। আপনারা কথা বলতে পারেন না।’
পুলিশ জানায়, সাজ্জাদ হোসেন বিদেশে পলাতক ‘শিবির ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত আরেক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর অনুসারী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১৭টি মামলা রয়েছে। গত বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবরে আনিস, কায়সার ও আফতাব উদ্দিন নামের তিন বালু ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার মামলার আসামি তিনি।
জানা গেছে, গত বছরের ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা-পুলিশ অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে। পরের মাসের শুরুতে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। বায়েজিদ বোস্তামী থানাসংলগ্ন হাটহাজারীর শিকারপুরের মো.
এদিকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর বিচার চেয়ে চট্টগ্রাম আদালতপাড়ায় পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। নগরের ‘চান্দগাঁও, বায়েজিদ বোস্তামী, হাটহাজারী, রাউজান, ফটিকছড়ি ও রাঙ্গুনিয়ার সর্বস্তরের জনগণ’ পরিচয়ে এই পোস্টার সাঁটানো হয়। এতে বলা হয়, ‘ন্যায়বিচার এবং চট্টগ্রামকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে একাধিক হত্যা মামলার আসামি সাজ্জাদ ও তাঁর সহযোগী হাসানের বিচার ও ফাঁসি চাই।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প স ট কর আপন দ র ফ সব ক আপন র নগর র
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে ইউএন ‘র সাথে সাংবাদিক ইউনিয়ন আড়াইহাজার নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ
আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ সাজ্জাত হোসেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন আড়াইহাজার এর নেতৃবৃন্দ ও সদস্যগণ । মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপজেলা ইউএনওর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তারা।
এদিন সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনায়েত হোসেনের সাথেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ।
দুপুর সাড়ে ১২টায় আড়াইহাজার থানায় অফিসার ইনচার্জ এর সাথে সাক্ষাৎ করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সাংবাদিকরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সাংবাদিক ইউনিয়ন আড়াইহাজার এর সভাপতি মাহাবুব মোল্লা,সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন ভূঁইয়া,সহ-সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম,সহ-সভাপতি রেজাউল হক কাউসার,সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিদুর রহমান,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান নাসির,তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শামীম হাসান,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আপেল মাহমুদ,ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ হাবিবুল্লাহ মীর,দপ্তর সম্পাদক সূচক চৌধুরী,কার্যকরী সদস্য মাসুম মিয়া ও সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
উপজেেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন। সাংবাদিক ইউনিয়ন কে অভিনন্দন জানিয়ে সংগঠনের সফলতা কামনা করেন।
সাংবাদিকরা ইউএনওকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং তাদের দায়িত্ব পালনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সহযোগিতা কামনা করেন সাংবাদিক বৃন্দ।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ এনায়েত হোসেন বলেন, এই দেশ ও সমাজটা আমাদের সবার,সাংবাদিকরা, তাদের লেখনীর মাধ্যমে দেশ এবং সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। তিনি সমাজের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরার জন্য সংবাদকর্মীদের আহ্বান জানান।