কোট-গাউন ছাড়া মামলা পরিচালনার অনুমতি চেয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি
Published: 18th, March 2025 GMT
গরমের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কোট-গাউন ছাড়া সাদা শার্ট, সাদা শাড়ি/সালোয়ার কামিজ ও সাদা নেক ব্যান্ড/কালো টাই পরিধান করে মামলা পরিচালনা করার অনুমতি চেয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেছে ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি প্রধান বিচারপতির দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
চিঠিতে বলা হয়, ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আইনজীবী সমিতি এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম আইনজীবী সমিতি। বর্তমানে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য ৩১ হাজার ৩৬৫ জন। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও অতিমাত্রায় উষ্ণতার কারণে বর্তমানে বাংলাদেশের তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আইনজীবীরা গরমে সীমাহীন কষ্ট ভোগ করছেন। বিশেষ করে, শুনানিসহ মামলার অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার সময় এবং চারটি এজলাস কক্ষ ব্যতীত অন্যান্য এজলাস কক্ষ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত না হওয়ায় অনেক গরম অনুভূত হয়। ফলে, মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, প্রচণ্ড গরমে গত বছর কোর্ট অঙ্গনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হিটস্ট্রোক করে অ্যাডভোকেট শফিউল আলম (৪২) মারা যান। তাছাড়া, তীব্র তাপদাহের কারণে প্রতিনিয়ত আইনজীবীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এবং আইনজীবীদের মধ্যে হিটস্ট্রোকের ভীতি হচ্ছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, তীব্র তাপপ্রবাহ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। এজন্য আইনজীবীদের শুধু সাদা শার্ট, সাদা শাড়ি/সালোয়ার কামিজ (কালো কোর্ট ব্যতীত) ও সাদা নেক ব্যান্ড/কালো টাই পরিধান করে মামলা পরিচালনার অনুমতির জন্য সব আইনজীবীর পক্ষ থেকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘনা আলমকে আটকের ঘটনায় ৩৮ নাগরিকের নিন্দা
মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ৩৮ নাগরিক। একই সঙ্গে মেঘনা আলমকে দ্রুত ও নিঃশর্ত মুক্তি দিতে এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আইনজীবী, আইনের শিক্ষক ও মানবাধিকারকর্মী রয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের পর ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় তাঁর কোনো হদিস ছিল না। পরে ১০ এপ্রিল রাতে তাঁকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে হাজির করা হয় বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারের সময় তাঁকে তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে দেওয়া হয়নি।
বিবৃতিতে ৩৮ নাগরিক বলেন, এই পদক্ষেপের বিস্তৃত প্রভাব নিয়ে তাঁরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নিপীড়নমুক্ত করার যে লক্ষ্য ছিল, তা এমন কর্তৃত্ববাদী পদক্ষেপের কারণে ক্ষুণ্ন হয়েছে। যেভাবে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা ন্যায়বিচার, জবাবদিহি ও মানবিক মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধার নীতি থেকে বিচ্যুতি তুলে ধরেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই পরিস্থিতিতে মেঘনা আলমকে দ্রুত এবং শর্তহীন মুক্তি দেওয়ার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কাছে জরুরিভাবে আহ্বান জানাচ্ছি, যেন কী কারণে তাঁকে আটক করা হয়েছে তা দ্রুত তদন্ত করা যায়, দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া যায় এবং মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের জন্য তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়। একই সঙ্গে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আবেদা গুলরুখ, ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, ওমর ফারুক, কাজী জাহেদ ইকবাল, মানজুর-আল-মতিন, প্রিয়া আহসান চৌধুরী, তাসলিমা ইয়াসমিন প্রমুখ।