বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে।

গতকাল সোমবারের ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসের কাছে এই প্রশ্ন করা হয়।

ব্রিফিংয়ে প্রশ্নকারী বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক দিন আগে প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে কথা বলেছিলেন, উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বের প্রায় ৬০ দিন হলো। বাংলাদেশে হিন্দুদের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর মূল্যায়ন কী, তিনি কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

ব্রুস বলেন, প্রশ্নকারী কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পর্কে কিছু দিক নিয়ে কথা বলছেন যে যুক্তরাষ্ট্র ও তাঁর (ট্রাম্প) প্রশাসন অন্য দেশে যা ঘটছে, তার প্রকৃতি কী—এসব কীভাবে দেখে।

প্রশ্নকারী বলেন, বাংলাদেশ

ব্রুস বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও অবশ্যই এই বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রকৃতির ক্ষেত্রে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করেন। তবে যখন আবার আলোচনা, কূটনৈতিক বিবেচনা, এর সঙ্গে যুক্ত কথাবার্তা এবং কী ঘটতে পারে তার কথা আসে, তখন তিনি এখানে ফলাফল কী হবে, তা অনুমান করতে চান না। তাঁর মনে হয়, সেটাই সবচেয়ে ভালো কাজ হবে।

প্রশ্নকারী বলেন, তিনি কি প্রশ্নটি নতুন করে করতে পারেন?

ব্রুস বলেন, না। কারণ, তিনি এ বিষয়ে উত্তর দেবেন না। সরকারের সঙ্গে সরকারের কূটনৈতিক বিবেচনা বা একটি নির্দিষ্ট দেশে কী ঘটছে, সে সম্পর্কে মনোভাব ও পদ্ধতির উত্তর তিনি দেবেন না। যেগুলো একটি কূটনৈতিক ধরনের কথোপকথনের মধ্যে পড়ে, সেখানে স্পষ্টতই তিনি কথা বলতে পারেন না। অথবা কী ঘটতে পারে, সে সম্পর্কে তিনি অনুমান করতে পারেন না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

অবৈধ সম্পদ: মৃণাল কান্তি দাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

এক কোটি ৫৫ লাখ ১৭ হাজার ২৩০ টাকা ও এক কোটি ৪৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস ও তার স্ত্রী নীলিমা দাসের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

নী‌লিমা দা‌সের মামলায় স্বামী মৃণাল কান্তি দাসকেও আসা‌মি করা হ‌য়ে‌ছে। তা‌দের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা, এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রথম মামলায় আসামি মৃণাল কান্তি দাসের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৫৫ লাখ ১৭ হাজার ২৩০ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এছাড়া ২০১৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে তার আটটি ব্যাংক হিসাবে এক কোটি ২২ লাখ টাকা জমা এবং এক কোটি ১৮ লাখ টাকা উত্তোলনসহ মোট দুই কোটি ৪০ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

দুর্নীতি ও ঘুসের মাধ্যমে অর্জিত অর্থের অবৈধ উৎস গোপন করতে তিনি এসব সম্পদ রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে অপরাধ ক‌রে‌ছেন। মামলাটি ক‌রেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান মিরাজ।

দ্বিতীয় মামলায় আসামি নীলিমা দাস তার স্বামীর সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৪৫ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া ২০১৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে তার ৩০টি ব্যাংক হিসাবে আট কোটি ১২ লাখ টাকা জমা এবং আট কোটি ছয় লাখ টাকা উত্তোলনসহ মোট ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। দুর্নীতি ও ঘুসের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থের অবৈধ উৎস গোপন করতে তিনি এ সম্পদ রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করেছেন বলে দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ