যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশ সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তাতে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।

ভারত সফরে এসে তুলসী গ্যাবার্ড এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের মূল জায়গা। তাঁর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকেরা অর্থ উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করলে তিনি এই জবাব দেন।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।

এ সময় অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের বিষয়ে অন্যান্য দেশ বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। বাংলাদেশের অবস্থান সার্বিকভাবে সন্তোষজনক। তার মধ্যেও অনেক ভুলত্রুটি আছে। আমাদের বলা হয়েছে, ‘তোমরা যদি উত্তরণ ঘটাও, অন্যান্য দেশ সাহস পাবে। এতে দেশ হিসেবে আমাদের গৌরব একটু বাড়বে। সে জন্য কিছু প্রস্তুতি লাগবে, আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

শেষমেশ যদি মনে হয়, কিছু কিছু বিষয় একেবারেই সমাধান করা যাবে না, তখন ভেবে দেখা যাবে বলে মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা।

এদিকে গার্ডিয়ান পত্রিকার সাংবাদিক বাংলাদেশ সফর করে গিয়ে লিখেছেন, বাংলাদেশ খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে। তিনি কেন এ কথা বললেন, আপনাদের কী মনে হয়, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ খাদের কিনারায় ছিল। সেই কিনারা থেকে আমরা ফিরে এসেছি।’

সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘ওনারা কত কিছু লেখেন।’ এ কথা বলে তাঁর প্রশ্ন, ‘বাইরের সবাই কি সবকিছু জেনেশুনে লেখেন? তাঁরা মনের মাধুরী মিশিয়ে অনেক কিছুই লেখেন। অর্থনীতির বিষয়ে আমি জানি, ভেতরে কী হচ্ছে, এত হতাশ হওয়ার কারণ নেই।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তিন দিনেও উদ্ধার হয়নি পাহাড়ি পাঁচ শিক্ষার্থী

খাগড়াছড়িতে অপহরণের শিকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থী তিন দিনেও উদ্ধার হয়নি। শুক্রবারও তাদের উদ্ধারে যৌথ বাহিনী খাগড়াছড়ি সদরের পানখাইয়া পাড়া, মধুপুরসহ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালায়। এমনকি অপহরণে জড়িত সন্দেহভাজন কাউকে আটক পর্যন্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিজু উৎসব শেষে চবিতে ফেরার পথে গত বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে রিশন চাকমা, অলড্রিন ত্রিপুরা, মৈত্রীময় চাকমা, দিব্যি চাকমা ও লংঙি ম্রোকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় জেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুন ত্রিপুরা ইউপিডিএফকে দায়ী করলেও, অস্বীকার করেছেন সংগঠনের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।

অপহৃত দিব্যি চাকমার মা ভারতী দেওয়ান শুক্রবার সমকালকে বলেন, ‘সন্তানকে ফেরত না পেয়ে আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। তাদের ভালোভাবে ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা করছি।’

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অন্বেষ চাকমা জানান, অপহৃতদের পারিবারিক সূত্রে জানতে পেরেছি– অপহরণকারীরা অভিভাবকদের গোপন স্থানে ডেকে বৈঠক করলেও, প্রত্যেককে খালি হাতে বাড়ি পাঠিয়েছেন। অভিভাবকরা সন্তানদের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে পারেননি। তবে অপহরণকারীরা সময়মতো তাদের ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, পাঁচ শিক্ষার্থী উদ্ধারে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন তারা। খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি-ঢাকা ও খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কে তল্লাশি জোরদার হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা হলেও সুখবর দেওয়ার মতো তথ্য হাতে আসেনি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ