উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে ক্যাপিটাল বোর্ড মিলস লিমিটেডে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্যাস সংযোগ পুনঃস্থাপন না করলে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ক্যাপিটাল বোর্ড মিলসের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়েছে, ক্যাপিটাল বোর্ড মিলস লিমিটেডের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যাবে না বলে হাইকোর্টের আদেশ রয়েছে। কিন্তু এরপরও গত ৫ মার্চ  তিতাস গ্যাস কতৃপক্ষ ক্যাপিটাল বোর্ড মিলসের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, যা আদালতের আদেশের লঙ্ঘন। এতে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় এবং ৭০০ কর্মচারী কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এর ফলে জাতীয় পাঠ্য ও পাঠ্যক্রম বোর্ডের জন্য কাগজ সরবরাহে সমস্যা হয়। গত ১৩ মার্চ ক্যাপিটাল বোর্ড মিলস কর্তৃপক্ষ তিতাস গ্যাসকে এ বিষয়ে লিখিতভাবে গ্যাস সংযোগ পুনরায় চালুর অনুরোধ করে। কিন্তু সে অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইন ন ট শ ক য প ট ল ব র ড ম লস

এছাড়াও পড়ুন:

ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি, গাজায় নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা

রাজধানীর রমনা বটমূলে শেষ হয়েছে ছায়ানটের বর্ষবরণ ১৪৩২-এর অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহত মানুষদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আজ সোমবার বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শেষের আগমুহূর্তে শিল্পী ও দর্শনার্থীরা দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। পরে ছায়ানটের শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে ছায়ানটের এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শেষ হয়।

নীরবতা পালনের আগে ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ‘ফিলিস্তিনে, গাজায় ভয়াবহ মানবতার বিপর্যয় এবং গণহত্যায়, বিশেষ করে শিশু হত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ফিলিস্তিনবাসী আপন ভূমি রক্ষায় যে সংগ্রাম করছেন, তার প্রতি আমরা সংহতি জানাই। ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহত মানুষদের স্মরণে সবাইকে এক মিনিট নীরবতা পালনের অনুরোধ করছি।’

এর আগে সূর্যোদয়ের পর পর শুরু হয় বর্ষবরণের ছায়ানটের অনুষ্ঠান। এবারে অনুষ্ঠানের মূলভাব ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। ছায়ানটের ৫৮তম এই অনুষ্ঠান সাজানো হয় নতুন আলো, প্রকৃতি ও মানুষকে ভালোবাসার গান ও আত্মবোধনের জাগরণের সুরবাণী দিয়ে।

বাংলা বর্ষবরণের এ আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলেও এই অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়।

দেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংস্থা ছায়ানট ১৯৬৭ সাল থেকে রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। এবার ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিতে গত তিন মাস ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে চলে গানের মহড়া। আর ৮ এপ্রিল রমনার বটমূলে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ