আছিয়াকে নিয়ে পিজিতের প্রতিবাদী গান
Published: 18th, March 2025 GMT
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনা মানুষের হৃদয়ে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে। সেই ঘটনাকে সামনে রেখে কথা-সুরে কিছু প্রশ্ন তুলেছেন তরুণ সংগীতশিল্পী পিজিত মহাজন।
গতকাল পিজিতের ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে ‘জাস্টিস ফর আছিয়া’ শিরোনামের গানটি। কথা-সুরের পাশাপাশি গানটিতে কণ্ঠও দিয়েছেন পিজিত মহাজন।
গানটি প্রকাশের পর দারুণ সমর্থন পাচ্ছেন শ্রোতা-সমালোচক-শিল্পীদের কাছ থেকে। অনেকেই গানটির প্রশংসা করে শেয়ার করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। শিল্পীর এমন প্রতিবাদী গানের জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছেন শ্রোতারা।
আরো পড়ুন:
অলকার গানের ভক্ত লাদেন, শিল্পী কী বললেন?
সাগর দেওয়ানের ‘প্রেম সাগর’
দ্রুততম সময়ের মধ্যে গানটি তৈরি ও প্রকাশ প্রসঙ্গে পিজিত বলেন, “গানে গানে নিজের ভেতরের প্রতিবাদটুকু জানালাম। আমার দেশ শান্ত হোক, শিশুরা থাকুক নিরাপদ, এই প্রার্থনা সবসময়।”
এবারই প্রথম নয়। আগেও পিজিত সময় ও সমাজের নানা বিষয়ে গান বেঁধে কণ্ঠে তুলেছেন। এরমধ্যে করোনা মহামারি, বন্যা আর তিস্তার ভাঙন নিয়ে তৈরি গানগুলো প্রশংসা পেয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের নন্দিত সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে গান গেয়েছেন পিজিত। ‘মধ্যবিত্ত’ শিরোনামের সেই গানটি মুক্তি পাবে মহাজনের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জিনদের আহার্য
মহানবী (সা.) একবার তার সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বললেন কিছু পাথর নিয়ে আসতে। তবে হাড় বা গোবর আনতে নিষেধ করলেন। আবু হুরায়রা (রা.) কাপড়ে করে কিছু পাথর এনে সেগুলো নবীজি (সা.)-এর পাশে রেখে চলে গেলেন। নবীজি (সা.) কাজ সেরে ফিরে আসার পর আবু হুরাইরা জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর রাসুল, হাড় ও গোবরে সমস্যা কী? তিনি উত্তরে বললেন, সেগুলো জিনদের খাবার। নাসিবিন শহরে (সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যে আলজাযিরার একটি নগরী) জিনদের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা সবাই খুব ভালো জিন। আমার কাছে খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করি। তাই তারা যে হাড় বা গোবরের পাশ দিয়ে যাবে, তাতেই নিজেদের জন্য খাবার খুঁজে পাবে। (বুখারি, হাদিস: ৩,৫৭৮)
আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫তাই কেউ যদি বিসমিল্লাহ বলে খাবার খায় এবং হাড় থেকে মাংস খাওয়ার পর নাপাক স্থানে না ফেলে, মুমিন জিনেরা সেই হাড় হাতে নিলে তাতে গোশত ফিরে আসবে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩,২৫৮)
আর দুষ্ট জিন ও শয়তানরা খায় এমন খাবার, যাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয় না। যেসব খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়, সেগুলো তারা ছুঁয়েও দেখে না।
গোবরে জিনদের পশুদের জন্য খাবার জমা হয়। তার মানে জিনদের পোষা প্রাণী আছে এবং তারা তাতে আরোহণ করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘গোবর বা হাড় নাপাকি পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করো না। কারণ এগুলো তোমাদের ভাই জিনদের খাবার।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৮)
আরও পড়ুনকোরআন শুনে একদল জিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন০৬ আগস্ট ২০২৩