ঈদ সামনে রেখে জনপ্রিয় সব ব্র্যান্ডশপ থেকে গ্রাহকের কেনাকাটা আরও সহজ করতে ফেসবুকভিত্তিক লাইভ থেকে শপিং করার সুযোগ করে দিচ্ছে বিকাশ। বিকাশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ, বিকাশ ফর বিজনেস এবং সংশ্লিষ্ট মার্চেন্টদের পেজ থেকে লাইভ চলাকালীন গ্রাহকেরা লা রিভ, সারা লাইফস্টাইল, সেইলর, র নেশন, ফেব্রিলাইফ ও সেলাই–এর মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোতে কেনাকাটা করে মার্চেন্টভেদে পেতে পারেন ৫০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট বা ক্যাশব্যাক। শুধু তা–ই নয়, এই লাইভ সেশনগুলো থেকে গ্রাহকেরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ঈদ কালেকশনগুলো সম্পর্কেও ধারণা নিতে পারছেন।

লাইভ চলাকালে গ্রাহকেরা সরাসরি মার্চেন্টদের ফেসবুক অথবা ওয়েবসাইট ভিজিট করে পণ্য অর্ডার করতে পারছেন। পাশাপাশি আউটলেট থেকে কেনার ক্ষেত্রে বিকাশ পেমেন্ট করার সময় আর–ওয়ান (R1) কুপন যোগ করে গ্রাহকেরা পেতে পারেন ৫০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট।

এই ক্যাম্পেইনের অধীনে প্রতিদিন লাইভ সেশন হচ্ছে এসব পেজে, যেখানে জনপ্রিয় উপস্থাপকেরা ব্র্যান্ডগুলোর ঈদ কালেকশন তুলে ধরছেন। শুধু তা–ই নয়, গ্রাহকেরা লাইভ সেশনটি বিভিন্ন গ্রুপে, পেজে বা প্রোফাইলে শেয়ার করে জিতে নিতে পারেন উপহার। সবচেয়ে বেশি শেয়ারকারী বিজয়ী পাবেন মার্চেন্টের পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার। লাইভ চলাকালীনই বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট কিছু মার্চেন্টে গ্রাহকেরা লাইভ শেয়ার করার স্ক্রিনশট দেখালে কেনাকাটায় পাচ্ছেন আরও বিশেষ ছাড়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র হক র ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

চেক ডিজঅনার মামলায় শফিউল্লাহ মল্লিকের কারাদণ্ড

নারায়ণগঞ্জের চিহ্নিত প্রতারক শফিউল্লাহ মল্লিকের বিরুদ্ধে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫৫ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলমগীর খান চঞ্চলের দায়ের করা চেক ডিজঅনার মামলায় নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট 'ক' অঞ্চলের বিচারক এই রায় প্রদান করেন।

রায় প্রদানকালে প্রতারক শফিউল্লাহ মল্লিক পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেফতার করে রায় কার্যকরের নির্দেশ প্রদান করেন বিচারক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আবাবিল নিট কম্পোজিট ফ্যাক্টরির ম্যানেজিং ডিরেক্টর শফিউল্লাহ মল্লিকের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল কালার ভ্যালি অটো প্রিন্ট ইন্ডাস্ট্রির ডিরেক্টর আলমগীর খান চঞ্চলের।

ব্যবসায়িক লেনদেনের এক পর্যায়ে আলমগীর খান চঞ্চল শফিউল্লাহ মল্লিকের কাছ থেকে অনেক টাকা পাওনা হয়ে যায়। পাওনা টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সফিউল্লাহ মল্লিক ২০২০ সনের ২৩ জুলাই তারিখে আলমগীর খান চঞ্চলের নামে পূবালী ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখার একটি চেক প্রদান করেন।

চেকে টাকার পরিমাণ ছিল ৫৫ লক্ষ টাকা। চেক নাম্বার ছিল ঈঅ৫০-গ-০৬৬৭৫০৭ এবং অ্যাকাউন্ট নাম্বার ০০৩৭৯০১০৩৭১০৪ শফিউল্লাহ মল্লিকের কাছ থেকে ৫৫ লক্ষ টাকার চেক পেয়ে তা ব্যাংকে উপস্থাপন করলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেকটি ডিজঅনার করা হয়।

এরপর ২০২০ সালের ২৭ জুলাই তারিখে আলমগীর খান চঞ্চল একজন আইনজীবীর মাধ্যমে ৩০ দিন সময় দিয়ে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন। নিজেদের একাউন্টে টাকা নাই জেনেও চেক প্রদান করায় এবং লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার পরেও পাওনা পরিশোধ না করায় শফিউল্লাহ মল্লিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন আলমগীর খান চঞ্চল। মামলা নাম্বার দায়রা ৫৫০/২১ সিআর ৭৪৫/২০।

দীর্ঘ পাঁচ বছর মামলার শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত মামলার প্রধান আসামি শফিউল্লাহ মল্লিককে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫৫ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডের রায় প্রদান করেন এবং বাকি আসামীদের খালাস প্রদান করেন প্রধান আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন এবং আসামিকে গ্রেফতার করে বিচারের রায় কার্যকর করার জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা কে নির্দেশ প্রদান করেন বিচারক।

স্থানীয় সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর বাজার এলাকার বসবাসরত প্রতারক শফিউল্লাহ মল্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই।

তার জন্মদাতা পিতা এবং সহোদর ভাইদের সম্পত্তি আত্মসাৎ এর গুরুতর অভিযোগ পাওয়া যায় শফিউল্লাহ মল্লিকের বিরুদ্ধে। তার পিতা শফিউদ্দিন মল্লিক বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় শফিউল্লাহ মল্লিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন এবং সে মামলায় শফিউল্লাহ মল্লিক গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবাস করেন।

এছাড়াও বিভিন্ন সময় মানুষের টাকা পয়সা এবং জায়গা সম্পত্তি আত্মসাতে অভিযোগে পাওয়া যায় শফিউল্লাহ মল্লিকের বিরুদ্ধে। এলাকায় তিনি মামলাবাজ হিসেবেও পরিচিত। তিনি সম্পত্তি আত্মসাৎ এর জন্য তার নিজ ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন অনেকগুলো।

এই প্রতারক শফিউল্লাহ মল্লিক বর্তমানে পলাতক আছেন তাকে গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ