চাঁদপুরের শাহরাস্তির চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামে পরকীয়া ও টাকা লেনদেনের জেরে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামে এক দিনমজুরকে নির্মমভাবে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ হত্যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রহস্য উন্মোচন করে প্রবাসী আবুল হোসেন মানিকের স্ত্রী খাদিজা আক্তার (৫০) ও মেয়ে মাহমুদা আক্তার সোনিয়াকে (২৫) আটক করেছে।

সোমবার রাতে শাহরাস্তি থানার পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোনিয়ার কাছ থেকে হত্যার স্বীকারোক্তি নেয়। তিনি জানান, আলমগীরের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল, তবে তিনি তাকে বিরক্ত করছিলেন। এ কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, সোনিয়া চিতোষী বাজার থেকে হত্যার জন্য একটি ছুরি কেনেন এবং পরে সেটি ব্যবহার করে আলমগীরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রসহ আলামত উদ্ধার করেছে।

অন্যদিকে, নিহত আলমগীরের স্ত্রী তাছলিমা বেগম অভিযোগ করেন, সোনিয়া তার স্বামীর কাছে ১২ লাখ টাকা পেতেন এবং সেই টাকা দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। তবে হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পুলিশ মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য সূত্র ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় মামলা করেছেন। 

শাহরাস্তি মডেল থানার ওসি আবুল বাসার জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আটক মা-মেয়েকে আদালতে পাঠিয়ে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আলমগ র

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রীকে নিয়ে মির্জা ফখরুলের আবেগঘন পোস্ট 

নিজের স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ পোস্ট দেন তিনি। নিজের ও স্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন মির্জা ফখরুল।

২০২২ সালের ডিসেম্বরের শুরুতে মির্জা ফখরুলের স্ত্রীর গুরুতর একটি রোগ শনাক্ত হয়। ওই বছর ১০ ডিসেম্বর তার অস্ত্রোপচারের নির্ধারিত দিন ছিল। এর দুই দিন আগে মধ্যরাতে বাসা থেকে আটক হওয়ার কথা স্ট্যাটাসে তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল পোস্টে লেখেন, ‘২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে যখন আমার স্ত্রীর অসুখ ধরা পড়ে, তখন আমার পৃথিবীটা এক মুহূর্তে থেমে গিয়েছিল। তিনি আমাদের পরিবারের মূল স্তম্ভ বা ভরসা। এই পরিস্থিতিতে আমি যত দ্রুত সম্ভব তার অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত নিই। তার অস্ত্রোপচারের আগের দিন রাত তিনটায় আমাকে আমার নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় আওয়ামী পুলিশ। আমার মেয়ে ঢাকায় ছুটে আসে। যখন আমার স্ত্রীর শরীরে অস্ত্রোপচার চলছিল, তখন আমি ছিলাম কারাগারে। আমার কন্যারা এবং চিকিৎসক জাহিদ (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন) ছাড়া আর কেউ তখন হাসপাতালে ছিলেন না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান) ও আমার ভাইবোনেরা ফোনে খোঁজখবর রাখছিলেন।’

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমার স্ত্রী সবকিছু অসীম ধৈর্য ও হাসিমুখে মোকাবিলা করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চলা জটিল চিকিৎসার বিষয়টিই শুধু সহ্য করেননি, একই সঙ্গে প্রায় ৫০ বছর ধরে আমাদের পারিবারিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আজ (১০ এপ্রিল) সিঙ্গাপুরে তার চিকিৎসক জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালো দেখা যাচ্ছে। তবে ছয় মাস পর আমাদের আবার যেতে হবে। আপনাদের দোয়া ও শুভকামনার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’

৩২ দিন কারাভোগের পর ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্দেশ্যে গত ৬ এপ্রিল স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে সিঙ্গাপুরে গেছেন বিএনপির মহাসচিব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লক্ষ্মীপুরে যুবককে গুলি, আটক ২
  • বাড়ি ফেরার পথে যুবককে পেছন থেকে গুলি
  • বাড়ি ফেরার পথে যুবককে পেছন থেকে গুলি, পাঠানো হলো ঢাকায় 
  • সোমবার দেশে ফিরবেন মির্জা ফখরুল
  • মাইকিং করে দুই গ্রামের মানুষের সংঘর্ষ
  • স্ত্রীকে নিয়ে মির্জা ফখরুলের আবেগঘন পোস্ট 
  • সিঙ্গাপুর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে মির্জা ফখরুলের আবেগঘন ফেসবুক পোস্ট